সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী: (প্রেক্ষাগৃহের চলচ্চিত্র, ডিজিটাল মাধ্যমের চলচ্চিত্র)

তাসনিয়া ফারিণ, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ আমার পছন্দের একটি কাজ। পুরো কাজটি একটু অন্য রকমভাবে করার চেষ্টা করেছেন শিহাব (শাহীন) ভাইয়া। কাজটি দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। দর্শকের ভোটে চূড়ান্ত মনোনয়ন সেটাই প্রমাণ করে। আমার একটি পপুলার কাজ পপুলার ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পাওয়ায় আমি অনেক খুশি।

পূজা চেরী, ‘লিপস্টিক’
প্রথম চলচ্চিত্রের জন্যই আমি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছিলাম। প্রতিবারই চূড়ান্ত মনোনয়ন পর্যন্ত আসতে পারাটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। অনেক অনেক ভালো লাগছে।

মেহজাবীন চৌধুরী, ‘প্রিয় মালতী’
‘প্রিয় মালতী’ আমার অভিনয়জীবনের একটি গভীর আবেগের অংশ। এই সিনেমার প্রতিটি দৃশ্য, প্রতিটি সংলাপ আমি নিজের হৃদয় উজাড় করে দিয়েছিলাম। দর্শকদের ভালোবাসায় আমি ভীষণভাবে অভিভূত। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জনপ্রিয় বিভাগে আমাকে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের এই নিরন্তর ভালোবাসা ও সমর্থনই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

শবনম বুবলী, ‘দেয়ালের দেশ’
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে মনোনয়ন ব্যক্তিগতভাবে শিল্পী হিসেবে অনেক বড় অর্জন। দেয়ালের দেশ–এর জন্য দর্শকের ভোটে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই মনোনয়ন সামনে ভালো ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে। ধনবাদ দর্শকদের। আমার সঙ্গে মনোনয়ন পাওয়া সবার জন্য শুভকামনা।

সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা: (প্রেক্ষাগৃহের চলচ্চিত্র, ডিজিটাল মাধ্যমের চলচ্চিত্র)

ইমন, ‘মায়া’
ক্যারিয়ারে ভালো কাজের সুযোগ কম পেয়েছি। সুযোগ পেলে চেষ্টা থাকে ভালো করার। মায়ার সেই চেষ্টা বিফলে যায়নি। দর্শক, সমালোচক—দুই ক্যাটাগরিতে মেরিল-প্রথম আলোর মনোনয়ন সেটাই প্রমাণ করে। দর্শকদের ধন্যবাদ, আমাকে ভোট দিয়ে চূড়ান্ত মনোনয়নে নিয়ে আসার জন্য। আমার সব ভালোবাসা আমার দর্শকদের জন্য সব সময়।

প্রীতম হাসান, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’
কাছের মানুষ দূরে থুইয়া আমার পছন্দের কাজ। নায়ক হিসেবে এই কাজে আমি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। দর্শকের ভোটে চূড়ান্ত মনোনয়নে এসে অনেক ভালো লাগছে। কাজটি তাঁরা হিট করেছেন। এখন আমাকে ভোট দিয়ে এগিয়ে রেখেছেন, আমি কৃতজ্ঞ তাঁদের কাছে। আশা করি যে প্রাপ্য সে–ই পুরস্কৃত হবেন।

শাকিব খান, ‘তুফান’
যেকোনো সঠিক কাজের মূল্যায়ন করতে পারাটাও সুন্দর, ‘তুফান’ তেমনই কিছু একটা। এই সুন্দরের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।

আরও পড়ুন‘ভিন্ন স্বাদের গল্পের কাজ ইন্ডাস্ট্রির জন্য সহায়ক হবে’১৭ ঘণ্টা আগে

শরীফুল রাজ, ‘দেয়ালের দেশ’
‘দেয়ালের দেশ’-এর ‘বৈশাখ’ চরিত্রের জন্য মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪-এ মনোনীত হয়ে আমি সন্মানিত বোধ করছি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র ল প রথম আল র চলচ চ ত র প রস ক র র জন য র র জন

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদা না দেওয়ায় চালককে থুথু চাটালেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা 

মানিকগঞ্জে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. অন্তর মিয়া (৩৩)। এ সময় তাকে অন্যের থুথু চেটে খেতে বাধ্য করেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. নবীন (৩৫)। 

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নবীনের ব্যক্তিগত অফিসে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। মারধরে আহত সেই চালক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

অন্তর মিয়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের বাঙ্গালা গ্রামের মৃত বাবু মিয়ার ছেলে। তিনি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কে অটোরিকশা চালান। 

অভিযুক্ত নবীন যুবদল নেতা পরিচয় দিলেও ওই সংগঠনে তার কোনো পদ নেই বলে জানিয়েছেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন। নবীন ছাত্রদলের সাবেক নেতা। 

ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিবহনের একাংশ (সিএনজি স্ট্যান্ড) নিয়ন্ত্রণ করছেন নবীন। এর অংশ হিসেবে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়, সিরিয়াল বাণিজ্য‌ এবং পরিবহন সংগঠনের নামে জিপি আদায় করছেন তিনি। এসব কাজের জন্য গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী বাহিনী। 

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ১০ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশাচালক অন্তরকে চাপ দিচ্ছিলেন নবীন। ১৮ মে অন্তরকে ফোন দিয়ে পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে চাঁদার টাকা নিয়ে নবীনের ব্যক্তিগত অফিসে আসতে বলা হয়। সময়মতো টাকা নিয়ে না আসায় অন্তরকে পুনরায় ফোন দিয়ে গালিগালাজ করা হয় এবং সিএনজি অটোরিকশার মালিককে সঙ্গে নিয়ে অফিসে দেখা করতে বলা হয়। অন্তর দুপুর দেড়টায় অটোরিকশার মালিকসহ নবীনের অফিসে উপস্থিত হন। ঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়া এবং চাঁদার টাকা না দেওয়ায় নবীন ও তার অনুসারীরা অন্তরকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে থুথু ফেলে অন্তরকে দিয়ে তা চাটানো হয়। এরপর তা পানি দিয়ে গিলে খেতে বাধ্য করা হয়। 

ভুক্তভোগী অন্তর মিয়া বলেছেন, “মাঝে-মধ্যেই আমার কাছে চাঁদার টাকা দাবি করে। আমি গরিব মানুষ, ভাড়ায় গাড়ি চালাই। অনেকবার তারে আমি বলছি, ভাই আমার পক্ষে এত টাকা একসাথে দেওয়া সম্ভব না। আমাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে লোকজনের সামনে রড দিয়ে হাত বেঁধে পিটাইছে। আমার গাড়ির মালিক তার কাছে আমার হয়ে মাফ চাইছে, চাঁদার টাকাও দিতে রাজি হইছে, তার পরেও মাইর থামায় নাই। আরেকজনের মুখের থুথু আমারে খাওয়াইছে সবার সামনে। মানুষের মধ্যে কি কোনো দয়া-মায়া নাই? আড়াই ঘণ্টা পর আমাকে সেখান থেকে ছাড়লে গাড়ির মালিক হাসপাতালে ভর্তি করে।”

প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশার মালিক ওমর ফারুক (৪০) বলেছেন, “আয়নাঘরের মতো অবস্থা সেখানে। আমার ড্রাইভারকে দুই ঘণ্টা ধরে বেধড়ক মারধর করেছে। তাদের হাত-পা ধরে মাফ চেয়েছি। বলেছি, আর আমি ব্যবসা করব না, ওরে ছাইড়া দেন। কেউ আমার কোনো কথা শোনে নাই। রড দিয়া বেধড়ক মারছে। এর চেয়েও নৃশংস ছিল অন্যের মুখের থুথু চেটে খাওয়ানো। এখনো বিষয়টা মনে পড়লে আমার গা শিউরে ওঠে। আমি গ্রামের মানুষ। ব্যবসা করে খাই। তাদের ওই নৃশংসতার ভয়ে থানা পুলিশ করতে পারি নাই।”

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে মো. নবীন বলেন, “পরিবহনের সিরিয়াল নিয়ে অন্য চালকদের সাথে তার (অন্তর) দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্ব সমাধানের জন্য তাকে অফিসে ডাকা হয়। পরে বিষয়টা মিটমাট হয়েছে। এর বাইরে আর তার সাথে অন্য কিছুই ঘটেনি।” 

পরিবহন নেতা না হয়ে ঝামেলা সমাধানে কেন তাকে অফিসে ডাকা হলো, তা জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি নবীন। 

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম আবেদিন কায়সার বলেছেন, “দল থেকে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম আমাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা করে থাকলে, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা সত্যতা যাচাই করব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন কচি বলেছেন, “বিএনপি তো এখনো ক্ষমতায় যায়নি। তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আচরণ যদি এমন হয়, তা খুবই দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আমরা সকলে ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়াতে চাই। তার আইনগত সহায়তা নিশ্চিতের জন্য আমরা সবাই তার পাশে থাকব।”

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “আমরা এ-সম্পর্কিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/চন্দন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ