চমক রেখে নেশনস লিগের সেমিফাইনালের দল ঘোষণা ফ্রান্সের
Published: 21st, May 2025 GMT
ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল দল ২০২৫ সালের উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনালের জন্য ২৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। যেখানে তরুণ প্রতিভা রায়ান চেরকির প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়া অন্যতম চমক। দিদিয়ের দেশঁম নেতৃত্বাধীন এই দলটি আগামী ৫ জুন জার্মানির স্টুটগার্টে স্পেনের মুখোমুখি হবে। চেরকি, যিনি অলিম্পিক লিয়ঁর হয়ে এই মৌসুমে ৮টি গোল ও ১১টি অ্যাসিস্ট করেছেন তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন।
তবে ইনজুরির কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার উইলিয়াম সালিবা ও মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। তাদের অনুপস্থিতিতে রক্ষণভাগে সুযোগ পেয়েছেন পিয়েরে কালুলু ও লোইক বাদে।
আক্রমণভাগে কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলে, মার্কাস থুরাম, র্যান্ডাল কোলো মুয়ানি ও ব্র্যাডলি বারকোলা রয়েছেন, যারা সবাই সাম্প্রতিক সময়ে ক্লাব ফুটবলে ভালো ফর্মে আছেন।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্য-কানাডা-ফ্রান্সের
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স
মাঝমাঠে অরেলিয়েন চুয়ামেনি, আদ্রিয়েন রাবিও, ম্যাটেও গুয়েনদোজি, মানু কোনে ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরি দলের ভারসাম্য রক্ষা করবেন।
গোলরক্ষক হিসেবে মাইক মাইনিয়ান, লুকাস চেভালিয়ার ও ব্রাইস সাম্বা দলে রয়েছেন।
ফ্রান্সের স্কোয়াডে তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মিশ্রণ দেখা যাচ্ছে, যা দলটির ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক সংকেত।
দলটি যদি সেমিফাইনালে স্পেনকে হারাতে পারে তবে ৮ জুন মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফাইনালে জার্মানি বা পর্তুগালের মুখোমুখি হবে।
ফ্রান্সের ২৫ সদস্যের স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: মাইক মাইনিয়ান (এসি মিলান), লুকাস চেভালিয়ার (লিল), ব্রাইস সাম্বা (রেন)।
রক্ষণভাগ: থিও হার্নান্দেজ (এসি মিলান), লুকাস হার্নান্দেজ (পিএসজি), ইব্রাহিমা কোনাতে (লিভারপুল), বেঞ্জামিন পাভার্ড (ইন্টার মিলান), লোইক বাদে (সেভিয়া), মালো গুস্তো (চেলসি), পিয়েরে কালুলু (জুভেন্টাস), ক্লেমেন্ট লেংলে (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), লুকাস ডিগনে (অ্যাস্টন ভিলা)।
মাঝমাঠ: অরেলিয়েন চুয়ামেনি (রিয়াল মাদ্রিদ), ম্যাটেও গুয়েনদোজি (লাজিও), মানু কোনে (রোমা), আদ্রিয়েন রাবিও (মার্সেই), ওয়ারেন জাইরে-এমেরি (পিএসজি)।
আক্রমণভাগ: কিলিয়ান এমবাপে (রিয়াল মাদ্রিদ), উসমান দেম্বেলে (পিএসজি), মার্কাস থুরাম (ইন্টার মিলান), ব্র্যাডলি বারকোলা (পিএসজি), রায়ান চেরকি (লিয়ঁ), দেজিরে দোউই (পিএসজি), র্যান্ডাল কোলো মুয়ানি (জুভেন্টাস), মাইকেল ওলিস (বায়ার্ন মিউনিখ)।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ ইন ল প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
মেসিদের আরও একটি হতাশাজনক হার
লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির জন্য যেন দুঃস্বপ্নের রাত ছিল রোববার। ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা। যা চলতি মৌসুমে তাদের অন্যতম বাজে পারফরম্যান্স।
এই হার শুধু হারই নয়, বরং সম্প্রতি টানা বাজে ফর্মের ধারাবাহিকতাও। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ সাত ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে মায়ামি। পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সে তারা নেমে গেছে ষষ্ঠ স্থানে। আর অরল্যান্ডো তাদের পেছনে ফেলে এখন এগিয়ে।
ম্যাচে মেসির পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। গোলমুখে মাত্র দুইটি শট নিতে পেরেছেন। একটি ফ্রি কিক নষ্ট করেছেন। নিজের পারফরম্যান্স ও দলের ছন্দহীনতার হতাশা ঝরেছে মেসির কণ্ঠেও।
আরো পড়ুন:
মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ: অতীতের সোনালি অধ্যায়ের মূল্যায়নে মুখ খুললেন মেসি
গোল বন্যার ম্যাচে নিষ্প্রভ মেসি, জয়বঞ্চিত মায়ামি
তিনি বলেন, ‘‘এখনই বোঝা যাবে, আমরা সত্যিকারের দল কিনা। কারণ, ভালো সময় হলে সবাই এক থাকে। কঠিন সময়ে বোঝা যায় আসলে কে কার সঙ্গে। এখন আমাদের আগের চেয়ে অনেক বেশি একতাবদ্ধ হতে হবে।’’
ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেও বাস্তবতা বলছে, হারের জন্য দায়ী মায়ামির দুর্বল রক্ষণ। এলোমেলো মাঝমাঠ এবং নিরুত্তাপ আক্রমণভাগ। লুইস সুয়ারেজের ফর্মেও ধারহীনতা স্পষ্ট।
অরল্যান্ডোর প্রথম গোল আসে ৪৩ মিনিটে, একদম সহজ কৌশলে। গোলরক্ষক গায়েসে লং পাসে বল বাড়ান। আর লুইস মুরিয়েল সহজেই গোলরক্ষক উস্তারিকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান।
মায়ামির রক্ষণভাগ যেন কোনো পরিকল্পনাহীনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আর্জেন্টাইন মার্টিন ওজেদা একবার গোলের সামনে বল পেয়ে সুযোগ নষ্ট করেন। তবে এরপর গোলরক্ষক উস্তারির ব্যর্থতায় গোল হজম করে মায়ামি।
দ্বিতীয় গোলটি আসে মার্কো পাশালিচের পায়ের নিচু শটে। যেটি গোলরক্ষক উস্তারির হাত আর পায়ের ফাঁক গলে জালে ঢোকে।
মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাচেরানো শেষদিকে একের পর এক আক্রমণভাগের খেলোয়াড় নামিয়েও কোনো ফল পাননি। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে দানকান ম্যাকগুয়েরের লো ক্রস থেকে ড্যাগুর থরহালসন গোল করে ম্যাচের ফলাফল ৩-০ তে নিয়ে যান।
মায়ামি তাদের শেষ সাত ম্যাচে ২০টি গোল খেয়েছে। জয় পেয়েছে মাত্র একটি। সেটিও ৩ মে নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে।
কোচ মাচেরানোর ভাষ্য, “ম্যাচের প্রথম ২৫-৩০ মিনিট পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। প্রতিপক্ষের অর্ধে খেলছিলাম। কিন্তু একটা ভুলেই ম্যাচ বদলে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ থেকে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের কাছে বিদায়ের পর থেকেই দল মানসিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। আত্মবিশ্বাসের বড় অভাব দেখা দিয়েছে। আমরা অনেকভাবে চেষ্টা করছি। নতুন কৌশল, নতুন খেলোয়াড়— কিন্তু এখনও নিজেদের সেরাটা ফিরিয়ে আনতে পারছি না।”
ঢাকা/আমিনুল