দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও দর্শকদের কখনো হাসাচ্ছে, কখনো কাঁদাচ্ছে ঈদে মুক্তি পাওয়া তানিম নূরের সিনেমা ‘উৎসব’। অস্ট্রেলিয়ায়ও সিনেমাটির অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, যে কারণে ছেলে অভিনীত সিনেমা দেখার কোনো টিকিটই পাচ্ছিলেন না অভিনেতা সৌম্য জ্যোতির মা অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। দীর্ঘ অপেক্ষা পর গতকাল শুক্রবার প্রবাসীদের সঙ্গে দেখলেন ছেলে অভিনীত সিনেমা। সেই সিনেমা দেখে দুই ছেলেকে জড়িয়ে ধরে দর্শকদের সামনে কাঁদলেন অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি ও নাট্যকার বৃন্দাবন দাস।

অস্ট্রেলিয়ায় সিনেমা মুক্তির সূচি ঘোষণার পরই টানা ১৩ দিনের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এ নিয়ে একদিকে যেমন আনন্দ, তেমনি অন্যদিকে ছেলের সিনেমার টিকিট কাটতে না পেরে অনেকটাই মন খারাপ হয়েছিল শাহনাজ খুশির। এই অভিনেত্রী অস্ট্রেলিয়া থেকে বলেন, ‘সিনেমাটা ঈদে মুক্তির পর থেকে এত এত প্রশংসা দেখছিলাম। সবাই ভালো বলছিল। কেউ কেউ লিখেছিলেন টিনএজ নতুন এক জুটি পেল ঢালিউড। কেউ আবার আমির খানদের সঙ্গে তুলনা করছিলেন। ছেলেকে নিয়ে এত কথা হচ্ছিল, অথচ ছেলেটার অভিনয় দেখার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। আবার সন্তানকে ছাড়া সিনেমা কীভাবে দেখি, সেটাও ভাবছিলাম।’

মায়ের সঙ্গে সৌম্য ও দিব্য জ্যোতি। ছবি: শাহনাজ খুশির সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ হন জ খ শ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বেড়েছে, মে মাসে ২০ টন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মে মাসে আরও ২০ টন সোনা কিনেছে। এই পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকটা বেশি। খবর ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের।

মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা বেড়েছে। কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংক মে মাসে সাত টন সোনা কিনেছে। এতে ব্যাংকটির মোট মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৯ টন। এ ছাড়া বছরের শুরু থেকে কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংকের মজুত বেড়েছে ১৫ টন। গোল্ড কাউন্সিল অবশ্য বলছে, সামগ্রিকভাবে সোনা মজুতের গতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে।

তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মে মাসে ছয় টন সোনা কিনেছে। এতে চলতি বছর ব্যাংকটির মোট ক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ টন। চলতি বছর সোনার সবচেয়ে বড় নিট ক্রেতা দেশ পোল্যান্ড। চলতি বছর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬৭ টন সোনা কিনেছে। মে মাসে দেশটির ক্রয়ের পরিমাণ ছিল ছয় টন।

চীনের পিপলস ব্যাংক ও চেক রিপাবলিকের ন্যাশনাল ব্যাংক, উভয়ই মে মাসে দুই টন করে সোনা কিনেছে। এ ছাড়া মে মাসে বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল সিঙ্গাপুরের মুদ্রানীতি কর্তৃপক্ষ। তারা পাঁচ টন সোনা বিক্রি করেছে। এরপর উজবেকিস্তান ও জার্মানির ডয়চে বুন্ডেসব্যাক উভয়ই এক টন করে বিক্রি করেছে।

চলতি বছরের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিট সোনা বিক্রেতা দেশ উজবেকিস্তান। এ সময় দেশটি ২৭ টন সোনা বিক্রি করেছে। সিঙ্গাপুরের বিক্রির পরিমাণ ছিল ১০ টন।

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫’-এ দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের ৪৩ শতাংশ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সোনা মজুত বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আগামী ১২ মাসে সারা বিশ্বে সরকারি পর্যায়ে সোনা মজুত বাড়বে। অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতির সময়ে বিকল্প সম্পদ ও ঝুঁকি প্রতিরোধী হিসেবে সোনার কার্যকারিতা—এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলেছে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।

এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে ‘অফিশিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস ফোরামের গ্লোবাল পাবলিক ইনভেস্টর ২০২৫ প্রতিবেদনে। ৩২ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে তারা সোনা মজুদ বাড়াতে চায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ