ঝিনাইদহে ১৫ মাসে বিজিবির অভিযানে জব্দ শতকোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস
Published: 22nd, May 2025 GMT
ঝিনাইদহে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জব্দ করা শতকোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মহেশপুরে ৫৮ বিজিবির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। মাদকগুলো গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে জব্দ করা হয়।
বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মহেশপুর ও জীবননগর সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫ হাজার ৮১৩ বোতল ফেনসিডিল, ৩৮ হাজার ৯৮০ বোতল ভারতীয় মদ, ২৯ বোতল এলএসডি, ৯০ কেজি কোকেন, ৩৬ কেজি হেরোইন, ৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৩০ কেজি গাজা, ৬৬ হাজার ইয়াবা বড়ি, ২১ হাজার ভায়াগ্রা এবং ২০ হাজার বাংলাদেশি ও ভারতীয় ওষুধ ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস করা মাদকের বাজারমূল্য ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০২ টাকা।
মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবির যশোর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির। এ সময় অন্যদের মধ্যে কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার আহসান হাবিব, ঝিনাইদহ ৫৮ বিজিবির পরিচালক লে.
অনুষ্ঠানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক থেকে দেশকে রক্ষা করতে সীমান্তে বিজিবি কঠোর নজরদারি রেখেছে। পাশাপাশি মাদকের বিস্তার রোধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে। অভিভাবকদের সন্তানের চলাফেরার গতিবিধিতে খেয়াল রাখতে হবে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি মাদক চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে। প্রতিদিনই সীমান্তে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির হাতে মাদকের চালান ধরা পড়ছে। তবে যা আটক হচ্ছে, তার কয়েক গুণ ঢুকছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহেশপুরে প্রায় ৫৭ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্ত আছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ কিলোমিটারে কোনো কাঁটাতারের বেড়া নেই। এলাকাজুড়ে আছে কোদলা নদী। এসব এলাকা দিয়ে রাতের আঁধারে মাদকদ্রব্য আসছে। বিভিন্ন সময় এসব সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে পারাপার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও স্বর্ণও আটক হচ্ছে।
ঝিনাইদহ ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, মাদক পাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে ১৫ মাসে বিজিবির অভিযানে জব্দ শতকোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস
ঝিনাইদহে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জব্দ করা শতকোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মহেশপুরে ৫৮ বিজিবির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। মাদকগুলো গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে জব্দ করা হয়।
বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মহেশপুর ও জীবননগর সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫ হাজার ৮১৩ বোতল ফেনসিডিল, ৩৮ হাজার ৯৮০ বোতল ভারতীয় মদ, ২৯ বোতল এলএসডি, ৯০ কেজি কোকেন, ৩৬ কেজি হেরোইন, ৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৩০ কেজি গাজা, ৬৬ হাজার ইয়াবা বড়ি, ২১ হাজার ভায়াগ্রা এবং ২০ হাজার বাংলাদেশি ও ভারতীয় ওষুধ ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস করা মাদকের বাজারমূল্য ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০২ টাকা।
মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবির যশোর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির। এ সময় অন্যদের মধ্যে কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার আহসান হাবিব, ঝিনাইদহ ৫৮ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল রফিকুল আলমসহ ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক থেকে দেশকে রক্ষা করতে সীমান্তে বিজিবি কঠোর নজরদারি রেখেছে। পাশাপাশি মাদকের বিস্তার রোধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে। অভিভাবকদের সন্তানের চলাফেরার গতিবিধিতে খেয়াল রাখতে হবে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি মাদক চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে। প্রতিদিনই সীমান্তে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির হাতে মাদকের চালান ধরা পড়ছে। তবে যা আটক হচ্ছে, তার কয়েক গুণ ঢুকছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহেশপুরে প্রায় ৫৭ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্ত আছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ কিলোমিটারে কোনো কাঁটাতারের বেড়া নেই। এলাকাজুড়ে আছে কোদলা নদী। এসব এলাকা দিয়ে রাতের আঁধারে মাদকদ্রব্য আসছে। বিভিন্ন সময় এসব সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে পারাপার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও স্বর্ণও আটক হচ্ছে।
ঝিনাইদহ ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, মাদক পাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।