ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর আইনগত জটিলতা হাইকোর্টের আদেশে দূর হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উত্তাপ। ইশরাকের শপথ ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন রূপ নিচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ সংলগ্ন আন্দোলনের স্থান ঘুরে দেখা যায়, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুধু শপথে দাবিতেই সীমাবদ্ধ নেই, তারা এখন নির্বাচনের দাবিও জোরালোভাবে তুলে ধরছেন।

খিলগাঁও থানার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে আসা মনির হোসেন বলেন, “আমরা চাই অতিদ্রুত ইশরাক ভাইকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো হোক। পাশাপাশি এ আন্দোলনের ময়দান থেকেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই আমরা। সরকারের অবস্থান অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে। সাধারণ মানুষ আজ নির্বাচন চায়।”

আরো পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা ইশরাকের

দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত লড়াই চলবে: ইশরাক

ওয়ারি থানা থেকে আসা আরেক আন্দোলনকারী আদম আলী বলেন, “নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই। আমাদের নেতা ইশরাক হোসেনের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তাকে দ্রুত শপথ পড়ানো হোক।”

নেতাকর্মীরা স্লোগানে মুখর করছিলেন কাকরাইলের রাজপথ। তাদের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছিল ‘আসিফের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘ইশরাক ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, নির্বাচিত সরকার’, ‘শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা, এক হও লড়াই কর’ ইত্যাদি স্লোগান।

এদিন বিকেলে হাইকোর্ট বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারপতি মো.

আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, রিটটি শুনানির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।

এ বিষয়ে ইশরাক হোসেনের আইনজীবীরা জানান, আদালতের এই আদেশের ফলে তার শপথ গ্রহণে আর কোনো আইনগত বাধা রইল না।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আন্দোলনের মঞ্চে সংহতি জানাতে এসে ইশরাক হোসেন নিজেও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন দক্ষিণ সিটির মানুষ। আমার শপথে বিলম্ব করে জনগণের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। একইসঙ্গে আমাদের দাবির পেছনে আছে গণমানুষের রায়।”

সেগুন বাগিচার বাসিন্দা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা (অব.) তৌহিদুর রহমান বলেন, “ইশরাককে ঘিরে আন্দোলনের সূচনা হলেও এখন বিএনপি এই প্ল্যাটফরমকে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ব্যবহার করছে। দলীয় নেতাদের মতে, সরকার যদি রোডম্যাপ না দেয়, তাহলে এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

তিনি বলেন, “একটি নির্বাচিত সরকারের মেয়রের শপথের মতো সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় বিলম্ব রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করে। আদালতের আদেশ ইতিবাচক। এখন রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রশ্নে স্পষ্টতা দরকার।”

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ড এসস স ইশর ক হ স ন র জন ত সরক র ব এনপ র শপথ

এছাড়াও পড়ুন:

ইশরাকের শপথ ঘিরে রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর আইনগত জটিলতা হাইকোর্টের আদেশে দূর হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উত্তাপ। ইশরাকের শপথ ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন রূপ নিচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ সংলগ্ন আন্দোলনের স্থান ঘুরে দেখা যায়, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুধু শপথে দাবিতেই সীমাবদ্ধ নেই, তারা এখন নির্বাচনের দাবিও জোরালোভাবে তুলে ধরছেন।

খিলগাঁও থানার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে আসা মনির হোসেন বলেন, “আমরা চাই অতিদ্রুত ইশরাক ভাইকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো হোক। পাশাপাশি এ আন্দোলনের ময়দান থেকেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই আমরা। সরকারের অবস্থান অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে। সাধারণ মানুষ আজ নির্বাচন চায়।”

আরো পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা ইশরাকের

দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত লড়াই চলবে: ইশরাক

ওয়ারি থানা থেকে আসা আরেক আন্দোলনকারী আদম আলী বলেন, “নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই। আমাদের নেতা ইশরাক হোসেনের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তাকে দ্রুত শপথ পড়ানো হোক।”

নেতাকর্মীরা স্লোগানে মুখর করছিলেন কাকরাইলের রাজপথ। তাদের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছিল ‘আসিফের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘ইশরাক ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, নির্বাচিত সরকার’, ‘শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা, এক হও লড়াই কর’ ইত্যাদি স্লোগান।

এদিন বিকেলে হাইকোর্ট বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, রিটটি শুনানির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।

এ বিষয়ে ইশরাক হোসেনের আইনজীবীরা জানান, আদালতের এই আদেশের ফলে তার শপথ গ্রহণে আর কোনো আইনগত বাধা রইল না।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আন্দোলনের মঞ্চে সংহতি জানাতে এসে ইশরাক হোসেন নিজেও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন দক্ষিণ সিটির মানুষ। আমার শপথে বিলম্ব করে জনগণের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। একইসঙ্গে আমাদের দাবির পেছনে আছে গণমানুষের রায়।”

সেগুন বাগিচার বাসিন্দা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা (অব.) তৌহিদুর রহমান বলেন, “ইশরাককে ঘিরে আন্দোলনের সূচনা হলেও এখন বিএনপি এই প্ল্যাটফরমকে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ব্যবহার করছে। দলীয় নেতাদের মতে, সরকার যদি রোডম্যাপ না দেয়, তাহলে এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

তিনি বলেন, “একটি নির্বাচিত সরকারের মেয়রের শপথের মতো সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় বিলম্ব রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করে। আদালতের আদেশ ইতিবাচক। এখন রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রশ্নে স্পষ্টতা দরকার।”

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ