কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুটি কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে আহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন বলেন, মালুমঘাট এলাকায় কাভার্ড ভ্যান দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি কাভার্ড ভ্যানই সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যানে থাকা তিনজন ও অপর কাভার্ড ভ্যানে থাকা দুজন যাত্রী আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালুমঘাট হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মেহেদী হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

হাওর রক্ষায় পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান করছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাওর রক্ষায় একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে সরকার। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি হাওরে বাঁধ নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, পর্যটন সুরক্ষা ও নীতিমালা প্রণয়নসহ চারটি প্রধান পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউর) শফিকুল কবির মিলনায়তনে হাওরের সংকট ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হাওরের ইকো সিস্টেম পৃথিবীতেই বিরল। এটিকে অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে। হাওরের সীমানা নির্ধারণ করে কৃষিজমি থেকে মাটি উত্তোলনের মতো ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।

এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা হাওর অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ‘ভাসমান হাসপাতাল’ চালুর প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। পাশাপাশি হাওরের মাছের উৎপাদন ও আহরণের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের ওপর জোর দেন।

সেমিনারে কি-নোট উপস্থাপন করেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক, কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মুহাম্মদ মোফাজ্জল।

সংগঠনের সভাপতি রফিক মুহাম্মদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোশতাক আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মাহবুব হাসান শাহীন, বিএনপির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, গ্রিন কনসার্ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক তাহমিনা খানম, বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসাইন প্রমুখ।

এতে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী খান। ঢাকাস্থ নেত্রকোণা সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, আগাম বন্যা বা অন্যান্য কারণে হাওরের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে তার তীব্র নেতিবাচক প্রভাব আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ে। তাই জাতীয় সম্পদ হাওরকে রক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

তারা বলেন, বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হাওরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। তার প্রভাব চালের বাজারসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পড়ে। তাই যে জনগোষ্ঠী আমাদের নাগরিক জীবন ও অর্থনীতিতে এতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তারা তাদের জীবনের নাজুক অবস্থা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় প্রতি বছর তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়।

কি-নোটে মুহাম্মদ মোফাজ্জল বলেন, হাওর এলাকার জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অপুষ্টিতে ভোগে। রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা তাদের জন্য দুর্গত। জল যার জলা হবে ভার বলা হলেও সম্পদ এখনও ক্ষমতা ও বৃত্তবন্দি। অন্যদিকে হাওরের জীববৈচিত্র সংকটাপন্ন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জীববৈচিত্র রক্ষায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ যতটা প্রয়োজন তা পরিলক্ষিত হয়নি। জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব ও অন্যান্য সংকট কাটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন ব্যর্থ হলে তা হাওর অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বকে সংকটপূর্ণ করার পাশাপাশি আমাদের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ