বাংলাদেশের শ্রম অধিকারের তিনটি বিষয়ে দ্রুত সমাধান করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুই সংগঠন—আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) এবং ফেয়ার লেবার অ্যাসোসিয়েশন (এফএলএ)। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে শ্রম অধিকারের বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে শ্রম অধিকারসংক্রান্ত তিনটি বিষয়ের সমাধানে দ্রুত বাস্তব অগ্রগতি প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন দুটি যে তিনটি শ্রম অধিকার বিষয়ে বাস্তব অগ্রগতি দেখতে চায়, সেগুলো হচ্ছে ২০২৩ সালের নিম্নতম মজুরি আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার; তৈরি পোশাক, জুতা ও ভ্রমণশিল্পের জন্য একটি স্বচ্ছ ও নিয়মিত মজুরি পর্যালোচনা পদ্ধতির বাস্তবায়ন এবং ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন সহজ করাসহ আন্তর্জাতিক শ্রম মান অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধন করা।

যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন দুটির মধ্যে এএএফএ হল সে দেশের তৈরি পোশাক ও জুতাশিল্পের ব্যবসায়ীদের সংগঠন। অন্যদিকে ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান, শ্রমিকনেতা এবং নাগরিক সমাজের সংগঠন হচ্ছে এফএলএ। উভয় সংগঠন যৌথভাবে ২০ মে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে সই করেন এএএফএর সভাপতি স্টিভ লামার ও এফএলএর সভাপতি জেভ ভক্রডট। এএএফএ নিজেদের ওয়েবসাইটে চিঠির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর শ্রম অধিকার উন্নয়নের পাশাপাশি তিনটি বিষয়ে দ্রুত সমাধানের তাগিদ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছিল এএএফএ ও এফএলএ। সেই চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া গত বছরের নভেম্বরে ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরাও ঢাকা সফরকালে বিষয়গুলোর সমাধান চেয়েছেন।

এমন তথ্য দিয়ে যৌথ চিঠিতে এএএফএ ও এফএলএ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা যে বিষয়গুলোর সমাধান চেয়েছিলাম, সেগুলোর অগ্রগতি দেখা যায়নি। আমরা অস্থায়ী সরকারের প্রতিশ্রুতিকে সাধুবাদ জানাই।’ তবে এখন আর আলোচনার সময় নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব বিষয়ে বাস্তব অগ্রগতি দেখতে চায় দুই সংগঠন।

দুই বছর আগে নিম্নতম মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের সময়ে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তি ও তখনকার মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন দুটি বলেছে, ২০২৩ সালের শেষ ভাগে নিম্নতম মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ফৌজদারি অভিযোগ প্রত্যাহার করা হোক। তারা হাজার হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ বাতিল করার দাবিও জানায়। এ ছাড়া বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতা জুয়েল মিয়ার মতো শ্রমিকনেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় দুই সংগঠন।

শ্রমিকদের নিয়মিত মজুরি পর্যালোচনার বিষয়ে সংগঠন দুটি বলেছে, তৈরি পোশাক, জুতা ও ভ্রমণ খাতের জন্য স্বচ্ছ ও নিয়মিত বার্ষিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা পদ্ধতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক, যেখানে কিনা সরকার, মালিক ও শ্রমিকপক্ষের অংশগ্রহণ থাকবে। পাঁচ বছর অন্তর মজুরি পর্যালোচনার পরিবর্তে এ ধরনের বার্ষিক পদ্ধতি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে শ্রমিকদের খাপ খাওয়াতে সহায়তা করবে। তা ছাড়া এমন প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদে শিল্পের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

ভবিষ্যতে শ্রম অসন্তোষ রোধ ও শান্তিপূর্ণ শিল্প সম্পর্ক বজায় রাখতে দুই সংগঠন দুটি অনুরোধ করে বলেছে, সরকার যেন চলমান ত্রিপক্ষীয় আলোচনা দ্রুত শেষ করে আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধন করে। এর মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে, বিশেষ করে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্যসংখ্যার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে। তারা সরকারকে অবৈধ শ্রমচর্চার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) শ্রমিকদের পূর্ণ শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে।

এএএফএ ও এফএলএ বলেছে, শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আলোচনা সফলভাবে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। শ্রমিক অধিকার উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার এই রূপান্তরে তারাও অংশীদার হতে আগ্রহী।

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে সেগুলোর ওপর গত ২ এপ্রিল রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। তাতে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক দাঁড়াত ৩৭ শতাংশ। তবে ৯ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট। যদিও সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করা হয়।

পাল্টা শুল্ক আরোপ নিয়ে দর-কষাকষি করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দপ্তর। তারা বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব পেলে আনুষ্ঠানিক দর-কষাকষি শুরু হবে।

বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে ৭ মে লেখা এক চিঠিতে এ কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। এর আগে গত মাসে বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া এবং আলোচনার আগ্রহের কথা জানিয়ে জেমিসন গ্রিয়ারকে চিঠি দিয়েছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স গঠন দ ট দ ই স গঠন র স গঠন সরক র র র জন য র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে শ্রম অধিকারের তিন বিষয়ে সমাধান দরকার

বাংলাদেশের শ্রম অধিকারের তিনটি বিষয়ে দ্রুত সমাধান করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুই সংগঠন—আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) এবং ফেয়ার লেবার অ্যাসোসিয়েশন (এফএলএ)। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে শ্রম অধিকারের বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে শ্রম অধিকারসংক্রান্ত তিনটি বিষয়ের সমাধানে দ্রুত বাস্তব অগ্রগতি প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন দুটি যে তিনটি শ্রম অধিকার বিষয়ে বাস্তব অগ্রগতি দেখতে চায়, সেগুলো হচ্ছে ২০২৩ সালের নিম্নতম মজুরি আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার; তৈরি পোশাক, জুতা ও ভ্রমণশিল্পের জন্য একটি স্বচ্ছ ও নিয়মিত মজুরি পর্যালোচনা পদ্ধতির বাস্তবায়ন এবং ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন সহজ করাসহ আন্তর্জাতিক শ্রম মান অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধন করা।

যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন দুটির মধ্যে এএএফএ হল সে দেশের তৈরি পোশাক ও জুতাশিল্পের ব্যবসায়ীদের সংগঠন। অন্যদিকে ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান, শ্রমিকনেতা এবং নাগরিক সমাজের সংগঠন হচ্ছে এফএলএ। উভয় সংগঠন যৌথভাবে ২০ মে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে সই করেন এএএফএর সভাপতি স্টিভ লামার ও এফএলএর সভাপতি জেভ ভক্রডট। এএএফএ নিজেদের ওয়েবসাইটে চিঠির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর শ্রম অধিকার উন্নয়নের পাশাপাশি তিনটি বিষয়ে দ্রুত সমাধানের তাগিদ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছিল এএএফএ ও এফএলএ। সেই চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া গত বছরের নভেম্বরে ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরাও ঢাকা সফরকালে বিষয়গুলোর সমাধান চেয়েছেন।

এমন তথ্য দিয়ে যৌথ চিঠিতে এএএফএ ও এফএলএ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা যে বিষয়গুলোর সমাধান চেয়েছিলাম, সেগুলোর অগ্রগতি দেখা যায়নি। আমরা অস্থায়ী সরকারের প্রতিশ্রুতিকে সাধুবাদ জানাই।’ তবে এখন আর আলোচনার সময় নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব বিষয়ে বাস্তব অগ্রগতি দেখতে চায় দুই সংগঠন।

দুই বছর আগে নিম্নতম মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের সময়ে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তি ও তখনকার মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন দুটি বলেছে, ২০২৩ সালের শেষ ভাগে নিম্নতম মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ফৌজদারি অভিযোগ প্রত্যাহার করা হোক। তারা হাজার হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ বাতিল করার দাবিও জানায়। এ ছাড়া বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতা জুয়েল মিয়ার মতো শ্রমিকনেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় দুই সংগঠন।

শ্রমিকদের নিয়মিত মজুরি পর্যালোচনার বিষয়ে সংগঠন দুটি বলেছে, তৈরি পোশাক, জুতা ও ভ্রমণ খাতের জন্য স্বচ্ছ ও নিয়মিত বার্ষিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা পদ্ধতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক, যেখানে কিনা সরকার, মালিক ও শ্রমিকপক্ষের অংশগ্রহণ থাকবে। পাঁচ বছর অন্তর মজুরি পর্যালোচনার পরিবর্তে এ ধরনের বার্ষিক পদ্ধতি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে শ্রমিকদের খাপ খাওয়াতে সহায়তা করবে। তা ছাড়া এমন প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদে শিল্পের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

ভবিষ্যতে শ্রম অসন্তোষ রোধ ও শান্তিপূর্ণ শিল্প সম্পর্ক বজায় রাখতে দুই সংগঠন দুটি অনুরোধ করে বলেছে, সরকার যেন চলমান ত্রিপক্ষীয় আলোচনা দ্রুত শেষ করে আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধন করে। এর মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে, বিশেষ করে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্যসংখ্যার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে। তারা সরকারকে অবৈধ শ্রমচর্চার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) শ্রমিকদের পূর্ণ শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে।

এএএফএ ও এফএলএ বলেছে, শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আলোচনা সফলভাবে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। শ্রমিক অধিকার উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার এই রূপান্তরে তারাও অংশীদার হতে আগ্রহী।

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে সেগুলোর ওপর গত ২ এপ্রিল রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। তাতে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক দাঁড়াত ৩৭ শতাংশ। তবে ৯ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট। যদিও সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করা হয়।

পাল্টা শুল্ক আরোপ নিয়ে দর-কষাকষি করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দপ্তর। তারা বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব পেলে আনুষ্ঠানিক দর-কষাকষি শুরু হবে।

বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে ৭ মে লেখা এক চিঠিতে এ কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। এর আগে গত মাসে বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া এবং আলোচনার আগ্রহের কথা জানিয়ে জেমিসন গ্রিয়ারকে চিঠি দিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ