মুখরোচক চাইনিজ খাবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতারপাড়া ক্যানাল পাড়ে ফেইলর ব্রোস ফাস্ট ফুডের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাতানপাড়া ফাযিল মাদ্রাসা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম,এ,হালিম জুয়েল এ ফাস্ট ফুড রেষ্টুরেন্টের উদ্বোধন করেন। 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নাজিম উদ্দিন, হাজী আলমগীর হোসেন, জালাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, গোলাপ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মীর হোসেন, রুবেল, সাইফি, হাসবী, আকাশ, রনি আহম্মেদ, শাকিল ও রাতুল প্রমূখ।

উক্ত উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন বাতেন পাড়া ফাযিল মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি হাফেজ খোরশেদ আলম। 

স্বল্প মূল্যে উন্নত মানের স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের অঙ্গিকার নিয়ে ফেইলর ব্রোস ফাস্ট ফুড রেষ্টুরেন্টের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা।

উদ্ধাধন কালে এম,এ,হালিম জুয়েল বলেন, শিক্ষিত তরুণ যুবকরা উদ্দ্যোগী হয়ে গড়ে তুলেছে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। লেখাপাড়ার পাশাপশি তারা ব্যবসা করছে আমি তাদের কে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরো বলেন, এই ফাস্টফুড থেকে মানুষ যেন স্বল্প মূল্যে ভালো খাবার খেতে পারে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি এই ফাস্টফুডের দোকানের সফলাতা কামনা করছি।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ