ভারতের কর্ণাটকে দারিদ্র্য ও পারিবারিক অস্থিরতায় কেটেছে তাঁর ছোটবেলা। কৈশোরের বড় সময় থেকেছেন কলকাতার ভবানীপুরে। ভালো বাংলা বলতেন। এই বাংলা-যোগ জীবনভরই ছিল। তাঁর শিল্পচিন্তায়ও গভীরভাবে প্রভাব ফেলে কলকাতার সাহিত্য-সংস্কৃতি। বিয়েও করেন এক বাঙালি শিল্পীকে, গীতা রায়। বলিউডে কোরিওগ্রাফার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর সময়ই নাম থেকে বাদ দেন পারিবারিক পদবি ‘পাড়ুকোন’। সংসার চালাতে এ সময় পাশাপাশি টেলিফোন অপারেটরের কাজও করেছেন। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তাঁর স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সালের মধ্যে, গুরু দত্তর বয়স যখন ২২ কী ২৩ বছর, ‘কশমকশ’ নামে একটা ছোটগল্প লেখেন তিনি; শিল্পীর হতাশা ও সমাজবিমুখতা ছিল গল্পের মূল সুর। পরে এ গল্প থেকেই তৈরি করেন কালজয়ী সিনেমা ‘পিয়াসা’।

সিনেমার দৃশ্যে গুরু দত্ত। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শরীরে অক্সিজেন বাড়াবে এই রেসিপি

আয়রনসমৃদ্ধ কচুশাক ইলিশ, চিংড়ি কিংবা শুঁটকি মাছের সঙ্গে রান্না করলে মুখরোচক এক পদে পরিণত হয়। খাবার হিসেবে বেশ সুস্বাদু। কচুশাকের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এই শাকের প্রধান উপাদান আয়রন। যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রেখে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বজায় রাখে। এই বর্ষায় সুস্থ থাকার জন্য খেতে পারেন কচুশাক। আরা কচুশাককে মুখোরোচক করে তুলতে চিংড়ি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন এই পদ।

উপকরণ
কচুপাতা ও ডগা কেটে সিদ্ধ করা: ২ কাপ

চিংড়ি: আধা কাপ

আরো পড়ুন:

চার ধাপে বানান আম-নারকেলের  পুডিং

দুই ধাপে বানান কাঁঠালের কেক

পেঁয়াজ-কুচি: ৩টি

কাঁচামরিচ: ৫,৬টি

নারিকেল-বাটা: দেড় টেবিল-চামচ

সরিষা-বাটা: ১ চা-চামচ

আদা-বাটা: ১ চা-চামচ

রসুন-বাটা: দেড় চা-চামচ

জিরা-গুঁড়া: আধা চা-চামচ

হলুদ-গুঁড়া: আধা চা-চামচ

প্রথম ধাপ: শুরুতে প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ হালকা ভেজে নিন। এরপর এতে আদা, রসুন, জিরা, হলুদ ও লবণ দিয়ে কষিয়ে চিংড়ি মাছ দিয়ে দিন। কিছু সময় কষিয়ে তাতে কচু-শাক দিয়ে নেড়ে এক কাপ পানি দিতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: ‍চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন। এরপর নারিকেল-বাটা ও কাঁচা-মরিচ দিয়ে দিন।  নামানোর আগে সরিষা-বাটা দিয়ে পাঁচ মিনিটের মতো রাখুন। এই সময় মাঝে মাঝে নেড়ে দিন।

উল্লেখ্য, লেবুর রস দিতে পারেন, এতে স্বাদ  ও ঘ্রাণ বাড়বে। ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে নিন।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ