কুনুতে নাজেলা একটি বিশেষ দোয়া, যা মুসলিম উম্মাহর ওপর বিপদ, সংকট বা ফিতনা এলে নামাজে পড়া হয়। নবীজি (সা.) বিপদের সময় সাহাবিদের সঙ্গে নিয়ে এই দোয়ার আমল করতেন।

আধুনিক জীবনে, যখন আমরা ব্যক্তিগত ও সমাজের নানা সংকটে পড়ি, কুনুতে নাজেলা আমাদের জন্য হতে পারে আল্লাহর রহমতের দিকে এগিয়ে যাবার একটি উপায়। হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.

) মুসলিমদের ওপর বিপদ দেখা দিলে কুনুতে নাজিলা পড়তেন এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে দোয়া করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪,৫৬৩)

আরও পড়ুননবীজি (সা.)–এর দোয়া০১ মে ২০২৫কুনুতে নাজেলার দোয়া

কুনুতে নাজেলা একটি প্রচলিত দোয়া, যা হাদিসে বর্ণিত এবং বিপদের সময় পড়া হয়। সেটি হলো:

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাহদিনা ফি মান হাদাইতা, ওয়া ‘আফিনা ফি মান ‘আফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানা ফি মান তাওয়াল্লাইতা, ওয়া বারিক লানা ফি মা আ‘তাইতা, ওয়া কিনা শাররা মা কাদাইতা, ফাইন্নাকা তাকদী ওয়া লা ইউকদা ‘আলাইকা, ইন্নাহু লা ইযযিল্লু মান ওয়ালাইতা, ওয়া লা ই‘উযযু মান ‘আদাইতা, তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তা‘আলাইতা।

অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি যাদের হেদায়েত দিয়েছ, তাদের মধ্যে আমাদের হেদায়েত দাও। তুমি যাদের নিরাপত্তা দিয়েছ, তাদের মধ্যে আমাদের নিরাপত্তা দাও। তুমি যাদের বন্ধুত্ব গ্রহণ করেছ, তাদের মধ্যে আমাদের বন্ধুত্ব গ্রহণ করো। তুমি আমাদের যা দিয়েছ, তাতে আমাদের জন্য বরকত দাও। তুমি যা ফয়সালা করেছ, তার ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করো। নিশ্চয় তুমি ফয়সালা করো, আর তোমার বিরুদ্ধে ফয়সালা হয় না। তুমি যাকে বন্ধু করো, সে কখনো অপমানিত হয় না, আর যাকে শত্রু করো, সে কখনো সম্মানিত হয় না। হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি বরকতময়, তুমি সর্বোচ্চ। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,৭৪৫)

আরও পড়ুনদোয়া কুনুত: বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত ও পড়ার নিয়ম১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নবীজি (সা.) মুসলিমদের ওপর বিপদ দেখা দিলে কুনুতে নাজিলা পড়তেন এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে দোয়া করতেন।পড়ার নিয়ম

কুনুতে নাজেলা সাধারণত ফজর নামাজে শেষ রাকাতে রুকুর পর হাত বেঁধে সিজদায় যাবার আগে পড়া হয়। তবে অন্য ফরজ নামাজেও পড়া যায়।

রুকুর পর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে দাঁড়িয়ে দোয়া পড়ুন। মুসলিম উম্মাহর বিপদ দূরীকরণ, শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয় বা আল্লাহর সাহায্যের জন্য নিয়ত করুন। জামাতে নামাজ হলে ইমামের জন্য নিয়ম হলো জোরে পড়া এবং মুক্তাদিরাও উচ্চৈঃস্বরে ‘আমিন’ বলবেন।

কুনুতে নাজেলা বিপদের সময় মুসলিমদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য ও রক্ষা প্রার্থনার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। নবীজি (সা.) মদিনায় শত্রুর আক্রমণের সময় এই দোয়া পড়তেন এবং সাহাবিদের শিখিয়েছেন। (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ১,৫৩৭)

বর্তমানে আমরা যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অশান্তিসহ নানা সামাজিক সংকটের মুখোমুখি। কুনুতে নাজিলা পড়া আমাদেরকে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা ও ধৈর্য ধরতে শেখাবে। কেননা, এটি বিপদ ও সংকটে মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য ও রক্ষা প্রার্থনার একটি শক্তিশালী দোয়া। আসুন, বিপদের সময় কুনুতে নাজেলা পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য ও হেদায়েত কামনা করি।

আরও পড়ুনবিপদের সময় বলতে হবে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল ল হ র জন য আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন শেফালিকা ত্রিপুরা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগমের সই করা এক চিঠিতে এ নিদের্শনা দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ এর ধারা ১৪ অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

এর আগে, গত সোমবার অসদাচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে পরিষদের সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর এক দিনের মাথায় পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা।

উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান ও আরও ১৪ জন সদস্য নিয়ে পুনর্গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন খাগড়াছড়ি পার্বত্য পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর তিনদিন পর ১০ নভেম্বর নব নিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ