ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপির কাছ থেকে আওয়ামী লীগ একক নির্বাচন শিখেছে। আবার বিএনপি শিখেছে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে। এরা একই গাছের দুই ডাল, একই গাছের দুই ফল। মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ চত্বরে এক গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাটোর জেলা শাখা। সমাবেশে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নুরুল ইসলাম, হেফাজত ইসলামের নাটোর শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাটোর শাখার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাহেদ (রাহি) উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে দেশের জনগণের উদ্দেশে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে তো আপনারা পরীক্ষা করেছেন। এবার ইসলামী দলগুলোকে একবার পরীক্ষা করেন। আমাদের ক্ষমতা দিয়ে দেখেন, আমরা আপনাদের জন্য কাজ করতে না পারলে আর কোনোদিন পরীক্ষা দিতে আসব না।’

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম, বুলেটের সামনে ছিলাম। তাই দেশের প্রতি দরদ আমাদের বেশি। যাঁরা বিদেশে ছিলেন, তাঁদের দরদ থাকতে পারে না, ব্যথাও লাগবে না। আমরা রাজপথে ছিলাম, কথা বলার দায়িত্ব আমাদের। যাঁরা রাস্তায় ছিলেন, কেবল তাঁরা কথা বলবেন, যাঁরা ছিলেন না, তাঁরা থাকবেন জেলখানায়। কারণ, আমরা রাস্তায় আন্দোলন না করলে আপনারা জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না।’

চাঁদাবাজদের হুঁশিয়ার করে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘দেশটাকে মগের মুল্লুক ভাবার সুযোগ নাই। যাঁরা শেখ হাসিনার বুলেটের সামনে বুক উঁচা করে রাখতে পারেন, তাঁরা চাঁদাবাজ-ধর্ষকদের সামনেও বুক উঁচা করে দাঁড়াবেন।’

সমাবেশ শেষে আগামী নির্বাচনে নাটোরের সংসদীয় আসনে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশাল বোর্ডের ১২ কলেজে কেউ পাস করেননি

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীন ৩৪৯টি কলেজের মধ্যে ১২টির কোনো শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। অপরদিকে, মাত্র দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

৩৪৯টি কলেজ থেকে ৩৭ হাজার ৬৬ জন এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে যে ১২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেননি, সেগুলো হলো— বরগুনার বামনা সরকারি সারওয়ারজান পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বরিশাল সদরের কমার্স কলেজ, বাবুগঞ্জের মোহনগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেহেন্দিগঞ্জের আন্ধারমানিক ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলার বোরহানউদ্দিনের দেলুয়া তালুকদার বাড়ি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লালমোহনের বালুরচর দালাল বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলা সদরের ভাষা শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় ও মেদুয়া কলেজ, ঝালকাঠির নলছিটির রাঙ্গাপাশা সেকেন্ডারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও আব্দুস সালাম কলেজ, পটুয়াখালী সদরের আউলিয়াপুর সাবিনা আক্তার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দুমকি উপজেলার দুমকি নাছিমা কেয়ামত আলী মহিলা কলেজ। 

বরিশাল শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার ১৯৭টি কলেজের ৫০ শতাংশের বেশি পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। ৫০ শতাংশের নিচে পাস করেছেন ১৩৮টি কলেজে। ২০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী পাস করেছেন ৬ কলেজে, ১৫ শতাংশের কম শিক্ষার্থী পাস করেছেন ৬ কলেজে এবং ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী পাস করেছেন দুটি কলেজ। 

এ বছর বরিশাল বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে ভালো করেছেন। এ বিভাগে পাসের হার ৭১ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৮০৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৮২ জন মেয়ে এবং ৩২৪ জন ছেলে। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ। এই বিভাগে ৭৭৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬৬ জন মেয়ে এবং ১১১ জন ছেলে। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৬২ দশমিক ০৪ শতাংশ। এ বিভাগে মোট ৯১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৯ জন মেয়ে এবং ২২ জন ছেলে। 

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪ হাজার ১৬৭ জন, এবার পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৬৭৪ জন। 

ঢাকা/পলাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ