Prothomalo:
2025-05-23@21:44:46 GMT

ঢাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা

Published: 23rd, May 2025 GMT

প্রতি বছর বর্ষা এলেই রাজধানী ঢাকা জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। তৈরি হয় এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিতেও তলিয়ে যায় অনেক এলাকা। বন্ধ হয়ে পড়ে যানবাহন চলাচল, দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। এই সংকট কেবল সাময়িক দুর্ভোগ নয়, বরং একটি দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার ফল।

জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ। নতুন নতুন ভবন নির্মাণের সময় জলাধার বা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয় না। শহরের খাল, ডোবা ও জলাশয়গুলো দখল হয়ে গেছে গড়ে উঠেছে স্থাপনা। নর্দমা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নষ্ট, অপরিষ্কার কিংবা ভরাট হয়ে আছে ময়লা আর আবর্জনায়।

প্লাস্টিক, পলিথিন, খাবারের প্যাকেটসহ নানা বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার কারণে পানি চলাচলের পথ আটকে যায়। এতে করে বৃষ্টির পানি আর স্বাভাবিকভাবে নিষ্কাশন হতে পারে না, যা ঢাকাকে অচল করে ফেলে।

এই দুরবস্থা দিনের পর দিন চলতে থাকলেও তা রোধে নেই দৃশ্যমান উদ্যোগ। এই সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য একটি স্বতন্ত্র ও দক্ষ ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠন করা যেতে পারে। এই কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। এর পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অবহেলা কিংবা যত্রতত্র ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকা একান্ত প্রয়োজন। পানি নিষ্কাশনের পথ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।

নবাব শাহজাদা

এইচএসসি ২৫, ঢাকা কলেজ, ঢাকা

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

আফতাবনগরে দগ্ধ শিশু মিথিলাও মারা গেছে

রাজধানীর আফতাবনগরের বাসায় ‘গ্যাসের আগুনে’ দগ্ধ শিশু মিথিলা (৮) মারা গেছে। শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের চারজনেরই মৃত্যু হলো।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, শরীরের ৬০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় শুরু থেকেই মিথিলা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিল। তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পরিবারটির আরেক সদস্য তানিশা (১১) এখনও চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকেও শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

এর আগে ওই ঘটনায় দগ্ধ মিথিলার বাবা তোফাজ্জল হোসেন, মা মানসুরা ও ছোট বোন তানজিলা মারা যায়।

গত ১৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকায় একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ