বন্দরে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে দু’টি ডাব। শুক্রবার (২৩ মে) বন্দর থানা জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর সরাসরি ডাকের মাধ্যমে ডাব দু’টি বিক্রি করা হয়। মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা এক মুসুল্লী ওপেন ডাকে অংশ নিয়ে ডাব দু’টি কিনে নেন।

মুসুল্লীরা জানান, বন্দর থানা কমপ্লেক্সে জামে মসজিদ সংলগ্ন গাছ থেকে শুক্রবার দু’টি ডাব পাড়া হয়। এরপর জুমার নামাজ শেষে মুসুল্লীদের উপস্থিতিতে ওপেন ডাক অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ঈমাম ও খতিব ডাকের ব্যবস্থা করেন। আমিত হাসান নামে জনৈক মুসুল্লী ১০০০ টাকা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ডাব দুটি কিনে নেন।

আমিত হাসান জানান, বাজারে ডাব দু’টির সর্বোচ্চ মূল্য ৩শ’ টাকা। কিন্তু তিনি মসজিদে সহযোগিতার জন্য ডাব দু’টি এক হাজার টাকায় কিনেন। এতে তিনি সওয়াবও পেতে পারেন বলে জানান। 

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, যতটুকু জানতে পেরেছি ডাব দু’টি বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে টাকা জমা করা হয়েছে । মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে এ টাকা। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: মসজ দ ন র য়ণগঞ জ মসজ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের আগেই আসছে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট

পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই নতুন নকশার টাকা বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঈদের আগে নতুন নকশার ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। এসব নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকছে না। এতে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির পাশাপাশি আগের নকশাও ফিরে আসছে। নতুন নকশার এই তিন ধরনের নোটের ছাপা চলছে গাজীপুরের দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড বা টাঁকশালে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও টাঁকশালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০ টাকার নোটের ছাপা প্রায় সম্পন্ন। আগামী সপ্তাহে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করবে টাঁকশাল কর্তৃপক্ষ। পরের সপ্তাহে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বাংলাদেশ ব্যাংককে বুঝিয়ে দেবে টাঁকশাল। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে এই টাকা কবে বাজারে ছাড়বে। প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও অন্যান্য শাখা এবং পরে ব্যাংকগুলোকে এই টাকা দেওয়া হবে। ঈদের ছুটি শুরুর আগে সীমিতসংখ্যক নোট ছাড়া হতে পারে। কারণ, নতুন টাকার যে চাহিদা, তার তুলনায় ছাপা হচ্ছে কম।

টাঁকশালের কর্মকর্তারা জানান, নতুন নকশার নোট ছাপাতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গত ডিসেম্বরে নতুন নকশার নোট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে নতুন নকশার নোট ছাপানো শুরু করে। তবে একসঙ্গে তিনটি নোটের বেশি ছাপানোর সক্ষমতা নেই টাঁকশালের। তাই প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ নোট নিয়ে বিতর্ক ওঠায় গত ১০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি দিয়ে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যেসব নতুন নোট গচ্ছিত আছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণের কথা বলা হয়। এরপর থেকে নতুন নোটের বিনিময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাজারে ছেঁড়াফাটা নোট বাড়তে থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের আগেই আসছে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট