জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম এ আর ধ্রুব। তিনি রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ধর্মান্তরিত হওয়ার পর এখন তার নাম আব্দুর রহমান ধ্রুব। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।

আব্দুর রহমান ধ্রুব জানান, তার বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে। তিনি ঢাকা দায়রা জজ আদালত থেকে হলফনামার মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক। আমি আমার বর্তমান ও ভবিষ্যত জীবনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম ও ক্ষমতাবান। আমি জাতিতে হিন্দু ধর্মালম্বী ছিলাম।’

ধ্রুব জানান, তিনি ঢাকা দায়রা জজ আদালত থেকে এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। 

 

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কাউখালীর দুর্গম এলাকা থেকে রাউজানের যুবদল কর্মীর লাশ উদ্ধার

সন্ত্রাসীর হাতে যুবদল নেতা সেলিম (৪৫) হত্যার চার দিন পর রাঙামাটি জেলার কাউখালী থেকে দিদারুল আলম (৩২) নামে রাউজানের আরও এক যুবদল কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিদারুল ও সেলিম একই গ্রামের বাসিন্দা এবং তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কাউখালীর বেতবুনিয়ার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে। নিহত দিদারুল আলম রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শমসের পাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুলের ৮ ও ১১ বছরের দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত ১০টায় রাউজানের নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ঘরে ফেরেননি দিদারুল। আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে তাঁর লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে শনাক্ত করেন। দিদারুল কখনো সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন, আবার কখনো দিনমজুরির কাজ করে সংসার চালাতেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত দিদারুল গত ৫ আগস্টের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব সেলিমের সহযোগী ছিলেন তিনি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রথম আলোর কাছে দাবি করেছেন, নিহত দিদারুল তাঁর কর্মী। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার যেসব সন্ত্রাসী যুবদল নেতা সেলিমকে হত্যা করেছেন, তাঁরা দিদারুলকেও হত্যা করেছেন।

নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কোহিনুর আকতার বলেন, বুধবার রাত ১০টার সময় তাঁর স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে মেজবানের দাওয়াত খেতে যান। তখন স্ত্রীকে ফোনে জানান, মোবাইল বন্ধ থাকলে যেন চিন্তা না করেন। রাতেই বাসায় ফিরে আসবেন তিনি। রাতে বাসায় না ফিরলে সকালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও পাননি। বিকেলে কাউখালীতে অজ্ঞাতনামা একটি লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন তাঁর স্বামীর লাশ এটি।

কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে নিহত ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ড কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ