জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম এ আর ধ্রুব। তিনি রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ধর্মান্তরিত হওয়ার পর এখন তার নাম আব্দুর রহমান ধ্রুব। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।
আব্দুর রহমান ধ্রুব জানান, তার বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে। তিনি ঢাকা দায়রা জজ আদালত থেকে হলফনামার মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক। আমি আমার বর্তমান ও ভবিষ্যত জীবনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম ও ক্ষমতাবান। আমি জাতিতে হিন্দু ধর্মালম্বী ছিলাম।’
ধ্রুব জানান, তিনি ঢাকা দায়রা জজ আদালত থেকে এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইকে কুক্ষিগত করেছে এনসিপি, তাদের অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত: ইনকিলাব মঞ্চ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী বলেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাইকে কুক্ষিগত করেছে। তাঁদের অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত। জুলাইয়ের ঐক্য মূলত নষ্ট করেছে এনসিপি।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওসমান হাদী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার অথবা জাতীয় ঐক্য কাউন্সিল গঠনের দাবি জানান ওসমান হাদী। তিনি বলেন, এই সরকার জুলাই গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার ও দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করবে।
জাতীয় সরকারের রূপরেখা উল্লেখ করে ওসমান হাদী বলেন, এই সরকারের প্রধান থাকবেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। যেখানে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকবেন। তাঁরা মন্ত্রী বা উপদেষ্টা নয়, বরং ওয়াচডগ (পর্যবেক্ষক) হিসেবে কাজ করবেন। জাতীয় সরকার বা জাতীয় কাউন্সিল গঠনে বিএনপি, জামায়াত বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল অসহযোগিতা করলে তাদের জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
এই মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে উল্লেখ করে ওসমান হাদী বলেন, এমন পরিস্থিতির দায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে।
উপদেষ্টাদের অনেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে ওসমান হাদী বলেন, ফ্যাসিস্ট পালালেও তার দোসররা এখনো পুলিশ থেকে প্রশাসনে বিরাজমান। এমনকি উপদেষ্টাদের অনেকের বক্তব্য বিভিন্ন সময়ে সন্দেহ সৃষ্টি করে। উপদেষ্টাদের অনেকে চাইছেন, কোনোভাবে যাতে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নিয়ে আসা যায়।
জুলাই ঘোষণাপত্র জারি না হলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কার্যকারিতা তৈরি হবে না উল্লেখ করে ওসমান হাদী বলেন, তারা চূড়ান্ত নিষিদ্ধ হবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের মাধ্যমে। কিন্তু তার আগে নির্বাচন হয়ে গেলে পরবর্তী যেকোনো রাজনৈতিক দল দিল্লির পরামর্শে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে। তখন জুলাই–যোদ্ধাদের ধরে ধরে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিপদ থেকে মুক্তি পেতে জুলাই ঘোষণাপত্র চাই। আগামী এক সপ্তাহজুড়ে জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য আমরা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাব।’
সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের নিশ্চয়তা না দিলে বাংলাদেশের কোনো বিচারক আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রায় দেবে না উল্লেখ করে ওসমান হাদী বলেন, ‘এই কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিন্তু আমরা মনে করি, আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও যদি এই দেশ বেঁচে যায়, তাহলে আমাদের আর কোনো আফসোস থাকবে না।’
উপদেষ্টাদের কেউ কেউ অধ্যাপক ইউনূসের ভাবমূর্তিকে ব্যবহার করে পাঁচ বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায় উল্লেখ করে ওসমান হাদী বলেন, উপদেষ্টাদের এমন মনোভাবই সরকারের জন্য কাল হয়েছে। সরকার এত সংস্কার কাদের নিয়ে করবে? তাদের প্রধান দায়িত্ব হলো, জুলাই গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন। সরকারকে অন্য বক্তব্য থকে বের হয়ে এসে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।