দুপুর ১২টা বাজতে কিছুটা বাকি। পুরান ঢাকার মনেশ্বর রোডে অবস্থিত মনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে কয়েকটি মেয়েশিশু অপেক্ষা করছে; সঙ্গে দু-একজন অভিভাবক। ১২টায় ক্লাস শুরু হবে। তবে এই শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারা। তাদের বিদ্যালয়ে ‘দৃষ্টিনন্দন ভবন’ হচ্ছে। এ জন্য তাদের শিক্ষা কার্যক্রম মনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।

একজন অভিভাবক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। আগে বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ে পৌঁছে যেতেন। কিন্তু এখন বেশ কিছুটা সময় লাগে। এমন সময় আরেকজন অভিভাবক রিকশায় করে সন্তানকে নিয়ে এলেন। জানালেন, ২০ টাকা ভাড়া দিতে হলো, আগে এটা লাগত না।

দূরে গেলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাছে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে যেতে পারে বা ঝরে পড়ার আশঙ্কা আছে। তাই এর সহজ সমাধান হলো কাজ শুরুর আগে কাছাকাছি জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৬ মের চিত্র এটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমে গেছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থী ছিল ২৮২ জন। এ বছর কমে দাঁড়িয়েছে ২০১–এ। অর্থাৎ ৮১ জন শিক্ষার্থী কমেছে। গত বছর আগের জায়গায় বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলার সময় প্রাক্‌-প্রাথমিক (শিশু শ্রেণি) শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল ৩৫ জন। সেখানে এ বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২। অর্থাৎ কমেছে এক–তৃতীয়াংশ। আর গত বছর বিদ্যালয়টিতে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল ২৪ জন, এবার হয়েছে মাত্র ৪ জন। কমার হার ৮৩ শতাংশের বেশি।

প্রায় অভিন্ন পরিস্থিতি হাজারীবাগ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে। একসঙ্গে একাধিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ শুরু হলেও কাছাকাছি এলাকায় যথাযথ বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, বাস্তবায়নকাজে যথাযথ পরিকল্পনা না থাকা এবং কাজে ধীরগতির কারণে এখন এসব বিদ্যালয় সমস্যার মধ্যে পড়ছে। শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে শিক্ষার্থী কমছে।

হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোহাম্মদ ছায়িদ উল্লা প্রথম আলোকে বলেন, স্থানান্তরজনিত কারণে তাঁদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমেছে। এখন তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং ‘মা সমাবেশ’ করে অভিভাবকদের বুঝিয়ে শিক্ষার্থী ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। তাই যত তাড়াতাড়ি তাঁদের বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন করার কাজ শেষ হবে, তত বেশি ভালো হবে।

একজন অভিভাবক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। আগে বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ে পৌঁছে যেতেন। কিন্তু এখন বেশ কিছুটা সময় লাগে। এমন সময় আরেকজন অভিভাবক রিকশায় করে সন্তানকে নিয়ে এলেন। জানালেন, ২০ টাকা ভাড়া দিতে হলো, আগে এটা লাগত না।

‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে। আর নতুন বিদ্যালয় হচ্ছে ১৪টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, প্রথম পর্যায়ে ১৫৬টি বিদ্যালয়ের কাজ হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। এরই মধ্যে ১০৩টির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি পাস হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে এর কাজ পিছিয়ে যায়। নতুন সময় অনুযায়ী ২০২৭ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

নতুন ভবন করার ক্ষেত্রে স্থানান্তরজনিত সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুর রহমান। তিনি প্রথম অলোকে বলেন, যেখানে জায়গার সমস্যা, সেখানে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে যেখানে সহজে স্থানান্তরের জায়গা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে অসুবিধা হচ্ছে না। কাজ শেষ হলে বিদ্যালয়গুলো অনেক সুন্দর হবে উল্লেখ করে সাইফুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। আরও পাঁচটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে।

যেসব কারণে কমছে শিক্ষার্থী

হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ শুরুর কথা ছিল গত বছরের জুলাই মাসে। তবে বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন ভাঙা হয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। এর আগে অক্টোবর মাসে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম মনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।

৬ মে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় মাত্র তিনজন শ্রমিক প্রাথমিক পর্যায়ের মাটির কাজ করছেন। এ অবস্থায় মূল ভবন নির্মাণের কাজ কবে শুরু করে হবে, তা বলতে পারছেন না কেউ।

একই অবস্থা একই প্রাঙ্গণের মধ্যে এত দিন ধরে চলা হাজারীবাগ বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়টি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গণকটুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। ১৪ মে গণকটুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে। বিদ্যালয়ের সামনে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র বলে, এখন রিকশায় যাতায়াত করতে হয়। আগে বাসার কাছে হওয়ায় হেঁটে যেত। সময়ও কম লাগত।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, স্থানান্তরের কারণে হাজারীবাগ বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতবারের চেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। নিজস্ব জায়গায় থাকার সময় বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৩০২ জন। এ বছর কমে হয়েছে ১৪৬ জন।

বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এখানে স্থানান্তরের সময় প্রথম দিকে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কিছুটা বেশি ছিল। কিন্তু দূরত্ব, যাতায়াত ভাড়ার কারণে এখন কমেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ বলছে, দৃষ্টিনন্দন ভবন হওয়ার পর হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হাজারীবাগ বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত হয়ে যাবে।

যেখানে জায়গার সমস্যা, সেখানে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে যেখানে সহজে স্থানান্তরের জায়গা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে অসুবিধা হচ্ছে না।প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুর রহমানপরিকল্পনায় ঘাটতি দূর করার পরামর্শ

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ ভালো। তবে যথাযথ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নজনিত ঘাটতির কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেড়েছে। ঝরে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত অসচ্ছল পরিবার ও শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষের সন্তানেরা পড়াশোনা করে। ফলে বিদ্যালয় দূরে হলে তাদের সমস্যা বেশি হয়। যাতায়াতের জন্য ভাড়া গুনতে হয়। ফলে ঝরে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য, যে বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন নতুন ভবন করা হচ্ছে, সেই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে কাছের কোনো বিদ্যালয়ে বা ভাড়া করা কোনো ভবনে স্থানান্তর করা যেত। তাঁরা বলছেন, কাছাকাছি এলাকার একটি বিদ্যালয়ের কাজ শেষ করার পর আরেকটি বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করলে সমস্যা এড়ানো যেত। সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ভবন করছে, সে ক্ষেত্রে কয়েক লাখ টাকা বাড়তি খরচ করে পাশের কোনো ভবন ভাড়া নিয়ে বিকল্প ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেত। এতেও সমস্যা এড়ানো যেত। এখনো যেসব বিদ্যালয়ে কাজ শুরু হয়নি, সেসব বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

ঢাকা মহানগরীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত অসচ্ছল পরিবার ও শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষের সন্তানেরা পড়াশোনা করে। ফলে বিদ্যালয় দূরে হলে তাদের সমস্যা বেশি হয়। যাতায়াতের জন্য ভাড়া গুনতে হয়। ফলে ঝরে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হাজারীবাগ বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম একটু দূরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ দুটি বিদ্যালয়ের কাছেই হাজারীবাগ তরুণ সংঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানেও নতুন ভবন করা হচ্ছে। তারা এখন পাশের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

ঢাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এসব কাজ শুরুর আগে ভালো করে পরিকল্পনা করা দরকার। দূরে গেলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাছে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে যেতে পারে বা ঝরে পড়ার আশঙ্কা আছে। তাই এর সহজ সমাধান হলো কাজ শুরুর আগে কাছাকাছি জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ জন্য একই প্রকল্পে এলাকাভেদে প্রয়োজনে পৃথক বাজেট বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব দ য লয়গ ল প রথম আল ক ব দ য লয়ট ক সরক র র সরক র প রকল প র সমস য র রহম ন ব যবস থ ন কর র প রক শ অবস থ ন ভবন

এছাড়াও পড়ুন:

আবাসন খাতে গবেষণার জন্য রিহ্যাব ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে চুক্তি

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্টের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৯ মে রিহ্যাব সচিবালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রিয়েল এস্টেট খাতের অবদান’ বিষয়ে গবেষণাকাজের জন্য এই চুক্তি করা হয়েছে।

রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূইয়া ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিয়েল এস্টেট বিভাগের প্রধান আমির আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় অনুষদের ডিন মোহাম্মাদ মাসুম ইকবাল, রিয়েল এস্টেট বিভাগের শিক্ষক মো. রায়হানুল ইসলাম, নাফিসা ফরিদ ও শাকিল আহমেদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাব পরিচালক ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুর রাজ্জাক, পরিচালক সেলিম রাজা, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির কো–চেয়ারম্যান এস এম পলাশ প্রমুখ।

এই চুক্তির আওতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি জিডিপিতে আবাসন খাতের অবদান, প্রতিবছর কয়টি ফ্ল্যাট তৈরি হয়, কয়টি বিক্রি হয়, কোথায় কী ধরনের ফ্ল্যাটের চাহিদা, এই খাতে কত লোক কাজ করছে, কত টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে—এসব বিষয় গবেষণা করবে এবং সেটি রিহ্যাবের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ