আমার দিন শেষ হয়নি, দিন তো মাত্র শুরু : শাকিব খান
Published: 24th, May 2025 GMT
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বসেছিল মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের ২৬তম আসর। অনুষ্ঠানের বড় চমক ছিলেন শাকিব খান। ঢাকাই সিনেমার এই তারকা ২৫ বছর ধরে তিনি চলচ্চিত্রশিল্পে অবদান রেখে চলেছেন। তাঁর কাজের বিশেষ দৃশ্যগুলো তুলে ধরা হলো পর্দায়। পূজা চেরী, নিরব, ইমন ও রোশানের অংশগ্রহণে ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’, ‘দিল দিল দিল’, ‘আসছে তুফান’সহ বিভিন্ন গানের সঙ্গে ছিল বিশেষ নৃত্য পরিবেশনা। চলচ্চিত্রে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শাকিব খানের হাতে বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের রজতজয়ন্তীর বিশেষ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও নির্মাতা মতিন রহমান। এরপর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় শাকিব খান কথা বলেন নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ার, উত্থান-পতনসহ নানা প্রসঙ্গে।
চলচ্চিত্রে শুরুর গল্প বলতে গিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘আমি তখন ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি, দেখতে শুনতে হয়তো একটু ভালোই ছিলাম। একটা সিনেমার অফার পেলাম, বলল তিন মাস সময় লাগবে। তিন মাসেই সিনেমা শেষ হয়ে যাবে। তিন মাসের জন্য এলাম, আর ফিরে যাওয়া হলো না। ২৫ বছর পার হয়ে গেছে। এই ২৫ বছরে এত ভাঙাগড়া দেখেছি চলচ্চিত্রে, এত রং দেখেছি জীবনের। কখনো খুব উচ্ছ্বসিত হয়েছি, কখনো অবাক হয়েছি, কখনো খুব দুঃখিত হয়েছি, কখনো রোমাঞ্চিত হয়েছি। আবার অনেক সময় অনেক কষ্টের সাগরেও ভেসেছি।’
নিজের কঠিন সময়ের কথা বলতে গিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘এই চলচ্চিত্র (জগৎ) সত্যি অনেক রং দেখাইয়াছে। একসময় যখন সত্যিই খুব হতাশ হয়ে যেতাম। ভাবতাম, সত্যিই হয়তো বা আমাকে দিয়ে আর কিছু হবে না। আপনাদের হয়তো কারও কারও মনে থাকতে পারে, কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে যখন এসেছি কিছু কারণে অনেক কাছের মানুষকেও বলতে শুনেছি, “তোমার দিন শেষ শাকিব, ইউ আর ডেড হর্স।” নিজের চেনা মুখগুলোকেই পাল্টে যেতে দেখেছি। অবাক হয়েছি, দুঃখিত হয়েছি। ভেবেছি হয়তো এখানেই শেষ। ইতি টানতে হবে। আবার ভেবেছি, যাওয়ার আগে একটা ট্রাই (চেষ্টা) তো করে যাই। এত বছর ধরে মানুষ আমাকে এত ভালোবাসল, একটা ট্রাই করে যাই। না হলে ছেড়ে দেব, ছেড়ে দেব চলচ্চিত্র। শূন্য হাতে এসেছিলাম, যা পেয়েছি তা অনেক।’
শাকিব খান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র ২৫ বছর ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
মুকুলের মৃত্যুতে ভাই রাহুল দেবের হৃদয়স্পর্শী শোকবার্তা
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মুকুল দেব মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতা মুকুল দেব। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি একমাত্র কন্যা সিয়া দেবসহ ভাই-বোন রেখে গেছেন। মুকুলের ভাই অভিনেতা রাহুল দেব জানিয়েছেন, মুকুলের শেষকৃত্য আজ বিকেল ৫টায় নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।
মুকুলের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ প্রকাশ না করলেও, জানা গেছে, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল।ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরির মাধ্যমে রাহুল দেব লেখেন, ‘আমাদের ভাই মুকুল দেব গতরাতে নয়াদিল্লিতে পরলোকগমন করেছেন। তাঁর একমাত্র কন্যা সিয়া দেব তাকে রেখে গেছেন। আমরা, ভাইবোন রেশমি কৌশল, রাহুল দেব এবং ভাতিজা সিদ্ধান্ত দেব তাকে খুব মিস করব। আজ বিকেল ৫টায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ করছি।’
মুকুলের সঙ্গে ‘সন অব সারদার’ ছবিতে কাজ করেছিলেন অভিনেতা বিন্দু দারা সিং। তিনি বলেন, ‘মা-বাবার মৃত্যুর পর থেকেই মুকুল নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। কারও সঙ্গে দেখা করতেন না, ঘর থেকেও বের হতেন না। শেষ কয়েকদিনে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা সবাই তাঁকে ভীষণ মিস করব।’
নয়াদিল্লিতে এক পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম মুকুল দেবের। তার বাবা হরি দেব সেই সময়ের সহকারী পুলিশ কমিশনার ছিলেন। বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে ছোট ছেলের প্রাথমিক পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন তিনিই। হরি দেব মুকুলকে আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি পশতু ও ফারসি ভাষায় দক্ষ ছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা।
প্রথম ছবি ‘দস্তক’-এ পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেন মুকুল দেব। এই ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনও। সালমান খানের সঙ্গে ‘জয় হো’ ছবিতে মুকুলের অভিনয় নজর কেড়েছিল।
এ ছাড়া হিন্দি ‘সন অব সরদার’, ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’, ‘আর রাজকুমার’ ছাড়া বাংলা, মালয়ালি, পাঞ্জাবি ও মারাঠি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। টালিউড নায়ক জিৎ এর ‘আওয়ারা’, ‘বচ্চন’, ‘সুলতান: দ্য স্যাভিয়ার’ সিনেমায় অভিনয় করেন মুকুল।