পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম কোনো মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
Published: 25th, May 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে এটিই প্রথম কোনো মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল। এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনাল আমলে নিলে এর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কোনো মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।
প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে চিফ প্রসিকিউটর আজকে ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ দাখিল করেছেন। এর ওপর ট্রাইব্যুনালে আজকে শুনানি হবে।
চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করে গত ২১ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেই প্রতিবেদন যাচাইবাছাই করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করল প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।
মামলার আট আসামি হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো.
আট আসামির মধ্যে শেষের চারজন এখন কারাগারে আছেন, বাকিরা পলাতক। কারাগারে থাকা চার আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ খ ল কর তদন ত অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।