‘নীল সম্পদ আহরণ ও রক্ষার ক্যাপাসিটি এখনো পাইনি’
Published: 25th, May 2025 GMT
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম শাখাওয়াত হোসেন নৌবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আপনাদের স্যাক্রিফাইস, অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত বলবে আমাদের সমুদ্রসীমা কতখানি অক্ষত থাকবে। আমরা এখন পর্যন্ত নেভীর সেই ক্যাপাসিটি পাইনি, যারা আমাদের নীল সম্পদ আহরণ ও রক্ষা করবে। দুটি সাবমেরিন হয়েছে। আরও বেশ কিছু সাবমেরিন যুক্ত হওয়া দরকার। যদি হয়, তাহলে আমাদের নেভী ছোট হলেও খুব কার্যকর হবে। যদিও অন্তবর্তী সরকারের সময় খুব কম। তারপরও আশা করছি আমরা এটি দেখে যেতে পারব।”
রবিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে দশটায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪৬৩ জন নবীন নাবিকের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ শেষে বর্ণাঢ্য শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে অপারেশন জ্যাকপটের সময় নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রায় কিছুই ছিল না। আজকে নেভী অনেক উন্নত হয়েছে। শুধু যুদ্ধে নয়, শান্তিতেও নৌবাহিনীর প্রচুর অবদান রয়েছে।”
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পায়রা বন্দর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। যদিও এটা নতুন। তবে আমি সেকেন্ড ভিজিটে এটা দেখেছি সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার পথে রয়েছে। যদি হয়, তাহলে আমাদের দেশের তিনটি সমুদ্র বন্দর হবে। এই বন্দর রক্ষা করার কাজে আমি নৌবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি।”
নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা দেশ মাতৃকার সেবায় নিয়োজিত আছেন, থাকবেন। আপনাদের উপরে সমুদ্রের নিরাপত্তা নির্ভর করছে। সেদিন দূরে নয়, যখন আমরা দেশের ২০০ নটিক্যাল মাইল সমুদ্রসীমার বাইরেও নিরাপত্তা দিতে পারব। নৌবাহিনীর এ ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নবীনরা ভবিষ্যতে পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা অর্জন করবে।”
দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন নাবিকসহ সকল নৌসদস্যকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ নবীনদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এর আগে তিনি প্যারেড রাউন্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী নবীন নাবিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নৌবাহিনীর এ-২০২৫ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো.
মো. হাসিব হোসেন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. নাঈম গাজী তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ অর্জন করেন।
শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসওগণ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ইমরান/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ইলিশ রক্ষায় জাটকা শিকারে আজ থেকে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী জাটকা ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা।
আগামী ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত চলবে এই ৮ মাস মেয়াদি নিষেধাজ্ঞা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট ইলিশ (জাটকা) আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
এর আগে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ (১৯ আশ্বিন থেকে ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষম ইলিশ রক্ষায় ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়ন করা হয়। ওই সময়ে ডিমওয়ালা ইলিশ থেকে নিঃসৃত ডিমের পরিস্ফুটনের মাধ্যমে উৎপাদিত পোনা বর্তমানে উপকূলীয় নদ-নদী ও মোহনাসমূহে বিচরণ করছে। এসব পোনা নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারলেই ভবিষ্যতে দেশের ইলিশ উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে সরকার জানায়।
নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে অনধিক ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়া লাগতে পারে।
মৎস্য অধিদপ্তর সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র্যাব, ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় কঠোরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা