জেফ বেজোস ও লরেন সানচেজের বিয়ের পোশাক ও বাগদানের আংটির দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে
Published: 30th, June 2025 GMT
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জাগপার ৩ দাবি, কর্মসূচি ঘোষণা
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৩ দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি ও কর্মসূচির কথা জানান জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে নির্বাচন যেমন প্রয়োজন, তেমনি পূর্ববর্তী সব গণহত্যার বিচারও অপরিহার্য। অথচ আমরা ক্রমাগত ভুলে যাচ্ছি পিলখানা, শাপলা চত্বর, মোদী বিরোধী আন্দোলন এবং লগি-বৈঠাসহ অসংখ্য রক্তক্ষয়ী ঘটনার কথা।
জাগপা নেতারা এ সময় দাবি করেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু গণতন্ত্র ও মানবাধিকারেরই নয়, জাতীয় সার্বভৌমত্বেরও পরিপন্থি।
রাশেদ প্রধান বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে হত্যা, পানির ন্যায্য হিস্যা না দেওয়া, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং শেখ হাসিনাকে এক বছর ধরে দিল্লিতে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে ভারত তাদের আগ্রাসী অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাগপা তিন দফা দাবি পেশ করে। সেগুলো হলো-
১. গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াসহ সীমান্ত হত্যা, ভূমি দখল, পানির বণ্টনে বৈষম্য ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ইত্যাদি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
২. জুলাই, পিলখানা, শাপলা চত্বর, মোদী বিরোধী আন্দোলন এবং লগি-বৈঠা গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৩. গুম, খুন, হামলা, মামলা, অর্থপাচার ও লুটপাটে জড়িত সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ-এর বিচার করতে হবে।
এছাড়া জুলাইয়ে যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি-
১ জুলাই: জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
২ জুলাই-৩০ জুলাই: ভারতীয় আগ্রাসন, গণহত্যা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ৮ বিভাগীয় শহর এবং ২০ সাংগঠনিক জেলায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি।
৩১ জুলাই: আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল।
৫ আগস্ট: বাংলাদেশের নাজাত দিবস পালন এবং শোকরানা নামাজ।
৬ আগস্ট: গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা সংস্কার চাই, ভারতীয় প্রভাবমুক্ত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। কিন্তু তার আগে চাই ন্যায়বিচার ও জাতীয় মুক্তি।