সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যা: ২ নারীসহ গ্রেপ্তার ৫
Published: 3rd, July 2025 GMT
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যার মামলায় দুই নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুরের র্যাব-১৩ এবং সাভারের র্যাব-৪ ক্যাম্পের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত টিম।
বুধবার (২ জুলাই) র্যাব-১৩ এর সদস্যরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাভারের র্যাব-৪ ক্যাম্পের সদস্যদের সহায়তায় ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকার কয়েকটি বাড়ি থেকে সাত্তার আলী, আখতারুল মিয়া, মোছা.
গ্রেপ্তার আসামিদের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের কছিমবাজার এলাকায়। তারা গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন। তবে প্রধান আসামি লতিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় বাড়িতে হামলা করে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) গ্রেপ্তারদের সুন্দরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের কছিম বাজার গ্রামের বাসিন্দা লতিফ মিয়ার সঙ্গে ১১ বছর আগে পাশের গ্রামের জনতা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। নাছোরবান্দা স্বামী লতিফ মিয়া ঘটনার দিন ১০ জুন রাতে তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। স্ত্রী এতে রাজি না হওয়ায় ওই রাতে লতিফ মিয়া স্ত্রীকে তার বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলায় দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করে। পরে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পর দিন সকালে গ্রামবাসী রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শহীদ মিয়া বাদী হয়ে গত ১১ জুন সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
ঢাকা/মাসুম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য স ন দরগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক এমপি সাইফুল, সাবেক ডিআইজি নুরুলসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ছয়জন আন্দোলনকারীকে পোড়ানোর ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ পলাতক আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এ মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, আশুলিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ (রনি), ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, সাবেক উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দীন, সাবেক উপপরিদর্শক শেখ আবজালুল হক, সাবেক উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ সাহা, সাবেক উপপরিদর্শক কামরুল হাসান ও সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার।
শুনানি শেষে আজ দুপুরে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, এ মামলার আট আসামি বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের হাজির করতে বলা হয়েছে। অন্য আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ১৩ জুলাই এ মামলার পরবর্তী শুনানি।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা তিনটার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর বাইরে আরও একজন গুলিতে গুরুতর আহত হন। একজনকে জীবিত ও পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় প্রথমে একটি ভ্যানে তোলা হয়। সেখান থেকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলে পুলিশ। পুলিশের গাড়িতে এই ছয়জনকে (যাঁর মধ্যে একজন জীবিত) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি ও আবুল হোসেন।