কিশোরগঞ্জে বিবাহিত হয়েও অবিবাহিত দাবি করে নাঈম হাছান নামের একজন এসআই পদে মনোনীত হয়েছিলেন। এলাকার এক যুবক পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কাবিননামার কপিসহ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত শেষে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার নিয়োগটি বাতিল হয়ে গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত সরকার।

অভিযোগে জানা যায়, ইটনা উপজেলার চৌগাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কিষ্টপুর গ্রামের আব্দুল মোতালিবের ছেলে নাঈম হাছান বিয়ের তথ্য গোপন করে পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। চৌগাঙ্গা ইউনিয়নের বিড়ারভিটা গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে আব্দুর রব গত ৩০ জুন পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নাঈম হাছানের কাবিননামার কপিসহ একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এর পরই তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায় জেলা পুলিশ।

বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরে অবহিত করলে নাঈম হাছানের নিয়োগটি বৃহস্পতিবার বাতিল করা হয়। অভিযোগকারী আব্দুর রব তার অভিযোগে নাঈম হাছানকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী বলেও উল্লেখ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৬ জানুয়ারি নাঈম হাছান পাকুন্দিয়া উপজেলায় বিয়ে করেছেন। একই বছর অক্টোবর মাসে পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে নাঈম হাছান নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে মনোনীত হন। নাঈম হাছানের নাম নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকার ৪৬০ নম্বর ক্রমিকে ছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষানবিশকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবিবাহিত থাকার শর্ত উল্লেখ ছিল। অথচ বৈবাহিক অবস্থার সনদে নাঈম হাছানকে অবিবাহিত লিখেছেন চৌগাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো.

ছাইফুল ইসলাম। আবার নাঈম হাছানের বিয়ের কাবিননামায় চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম এক নম্বর সাক্ষীও হয়েছিলেন। 

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলামকে প্রশ্ন করলে জানান, সনদটি বৈবাহিক অবস্থা সংক্রান্ত ছিল কিনা, তা তিনি খেয়াল করেননি। তিনি বিশ্বাসের ওপর সনদটি না দেখেই স্বাক্ষর করেছিলেন।

অভিযুক্ত নাঈম হাছানকে একাধিকবার ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই, তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা আব্দুল মোতালিব স্বীকার করেন, তার ছেলে বিয়ের তথ্য গোপন করে চাকরির আবেদন করেছিলেন। তবে নাঈম আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ছিলেন তিনি চাকরিটা করবেন না। কারণ নাঈম বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ অব ব হ ত

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩

যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু

নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।

তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন।

তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩