সবচেয়ে পাতলা ভাঁজ করা স্মার্টফোন তৈরির প্রতিযোগিতায় নতুন চমক তৈরি করেছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অনার। নিজেদের তৈরি ‘ম্যাজিক ভি৫’ মডেলের ফোনটিকে বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ভাঁজ করা ফোন বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোয়ালকমের সর্বশেষ ‘এলিট’ প্রসেসরে চলা ফোনটিতে সংস্করণভেদে সর্বোচ্চ ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম এবং ৫ হাজার ৮২০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি রয়েছে। ফোনটির দুটি পর্দাতেই এলটিপিও ওএলইডি প্যানেল থাকায় সহজেই উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি ও ভিডিও দেখা যায়।

গত মঙ্গলবার চীনের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে অনারের তৈরি ম্যাজিক ভি৫ স্মার্টফোন। পেছনে তিনটি ক্যামেরাযুক্ত ফোনটি ভাঁজ করা অবস্থায় ৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার পুরু, যা অপোর ফাইন্ড এন৫-এর তুলনায় শূন্য দশমিক ১ মিলিমিটার কম। সংখ্যার দিক থেকে সামান্য মনে হলেও বাঁকানো নকশার কারণে ম্যাজিক ভি৫ মডেলের ফোনটিকে তুলনামূলকভাবে সরু মনে হয়। তবে এ অনুভূতি মিলবে শুধু ফোনটির ‘আইভরি হোয়াইট’ সংস্করণে। অন্য সংস্করণগুলোতে ভেগান লেদার বা ফাইবার যুক্ত থাকায় পুরুত্ব প্রায় ৮ দশমিক ৯ মিলিমিটার।

ভাঁজখোলা অবস্থায় ফোনটির ফ্রেমের পুরুত্ব ৪ দশমিক ১ মিলিমিটার, যেখানে অপোর ফাইন্ড এন৫-এর পুরুত্ব ৪ দশমিক ২ মিলিমিটার। এ ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের ট্রাই-ফোল্ড মেট এক্সটি মডেলের ফোনের পুরুত্ব কিছুটা কম হলেও ইউএসবি-সি পোর্ট নেই। অনার জানিয়েছে, শিগগিরই চীনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে বাজারজাত করা হবে ফোনটি।

প্রসঙ্গত, অপো ফাইন্ড এন৫ বাজারে আসার আগে অনার ম্যাজিক ভি৩-ই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ভাঁজ করা ফোন। নতুন ম্যাজিক ভি৫ দিয়ে আবারও সে অবস্থান ফিরে পেল অনার। শুধু পাতলাই নয়, ফোনটির ওজনও বেশ কম। তাই ২১৭ গ্রাম ওজনের ফোনটিকে বিশ্বের সবচেয়ে হালকা ভাঁজ করা ফোন হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ব র সবচ য় ফ নট র দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

দাবি মেনে নেওয়ায় ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজ্জাম্মুল হক ও অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে দুপুর থেকে রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেছিলেন। 

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।

অনশনকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বৃত্তি প্রদানের নির্দিষ্ট তারিখ, জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা এবং লাইব্রেরিতে সুবিধা বৃদ্ধি। প্রশাসন এগুলো মেনে নিয়েছে। কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও আমরা আস্থা রেখে অনশন ভেঙেছি।”

বাগছাসের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন প্রতিশ্রুতিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্বপ্নের দুয়ার উন্মোচিত হবে।”

অনশনকারী শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এমকেএম রাকিব বলেন, “প্রশাসন আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই তাদের কাঙ্ক্ষিত বৃত্তি পাবে এবং অন্যান্য ক্যাম্পাসের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বাচনের আমেজ তৈরি হবে।”

অনশনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলো।

ঢাকা/লিমন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ