কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীরা র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, একই বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁদের শ্রেণিকক্ষে দরজা বন্ধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

গত বুধবার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মার্কেটিং বিভাগের ক্লাস শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগী অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী জানান, প্রথম দিনের ক্লাস শেষে ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ক্লাসরুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর ক্রমান্বয়ে পরিচয়পর্ব আর ম্যানার শেখানোর নামে শুরু হয় নির্যাতন ও হয়রানি। একই সঙ্গে নবীন শিক্ষার্থীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করা হয়। শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয় শ্রেণিকক্ষের টুলের ওপর। এ সময় এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড়ও মারা হয়। শার্টের হাতা ভাঁজ করা কেন—এ কথা বলে এক শিক্ষার্থীর ডায়ালাইসিস করা হাতে হ্যাঁচকা টান দিলে তাঁর হাতের ক্যানুলা খুলে যায়।

লিখিত অভিযোগ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এক ভুক্তভোগী বলেন, প্রথমে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র এসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে প্রশাসন এরই মধ্যে বিষয়টি জানতে পেরে ব্যবস্থা নিয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শুধু জুনিয়রদের ক্রেস্ট দিতে গিয়েছিলাম। কোনো র‍্যাগিং হয়নি। ডায়ালাইসিসের সমস্যাযুক্ত শিক্ষার্থীর সঙ্গে একজনের ধাক্কা লাগে, এরপর ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত নয়।’

মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র পরামর্শক আফজাল হোসাইন বলেন, ‘এক শিক্ষার্থী ও তাঁর ভাই বিভাগীয় প্রধানের কক্ষে এসে ঘটনার বিস্তারিত জানান। আমি সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাসে গিয়ে কথা বলি এবং অভিযুক্তদের নাম দিতে বলি। পরে প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবদুল হাকিম বলেন, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত ছাত্রদের ক্লাস ও পরীক্ষা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে র‍্যাগিংয়ের নামে হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এক শ ক ষ র থ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম প্রান্তিকে ১২৯ কোটি টাকার বিমা দাবি দিয়েছে গার্ডিয়ান লাইফ

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে গার্ডিয়ান লাইফ ১২৯ কোটি টাকার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে। ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় যা ৩৪ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে গার্ডিয়ান লাইফ মোট ৪৩৯ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করেছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকাসুরেন্সেও ভালো করেছে কোম্পানিটি। খবর বিজ্ঞপ্তি

দ্রুততম সময়ে দাবি নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৯৫ শতাংশ দাবি মাত্র তিন কর্মদিবসে নিষ্পত্তি করছে। সময় আরও কমাতে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের ১ কোটি ২৬ লাখ মানুষ গার্ডিয়ান লাইফের বিমা সুরক্ষা উপভোগ করছেন। এর মধ্যে আছে ৫০০-র বেশি দেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী বাহিনী। প্রতিষ্ঠানটি খুচরা, মাইক্রো ইনস্যুরেন্স, ডিজিটাল ও গ্রুপ বিমা—এই চার ধরনের বিমা সেবা দিচ্ছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে ব্যাংকাস্যুরেন্স চালুর পর এ খাতেও দ্রুত এগিয়ে আসে গার্ডিয়ান। বাজার গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকাস্যুরেন্স খাতে মোট বিক্রয়ের ৭৯ শতাংশ করেছে গার্ডিয়ান লাইফ।

ব্যাংকাস্যুরেন্স প্রক্রিয়া আরও কার্যকর ও ঝামেলাবিহীন করতে গার্ডিয়ান এসটিপি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও কাগজবিহীন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকেরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিমা সেবা নিতে পারছেন, বাড়তি দাপ্তরিক জটিলতা ছাড়াই।

গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স ইনস্যুরটেক, মাইক্রোইনস্যুরেন্স ও ব্যাংকাস্যুরেন্সের মতো খাতগুলোতে উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের বিমা খাতকে আরও গতিশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলছে। কোটি মানুষের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহজপ্রাপ্য ও আধুনিক বিমা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি অঙ্গীকারবদ্ধ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম প্রান্তিকে ১২৯ কোটি টাকার বিমা দাবি দিয়েছে গার্ডিয়ান লাইফ
  • কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে মাশুল বাড়বে না
  • গরিব পাচ্ছে বিদ্যুৎ ভর্তুকির ছিটেফোঁটা, লাভবান ধনীরা
  • র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে কুবির একটি ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, তদন্ত
  • আবেগে নেইমারের স্বাক্ষর করা বল নিয়ে ১৭ বছরের কারাদণ্ড
  • ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়
  • শিক্ষার মান বাড়বে কীভাবে
  • আগের পাঁচ মাসের চেয়ে জুনে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশি, ‘জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি’ ঘোষণার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা
  • প্রবাসী আয় ও রপ্তানিতে সুবাতাস