ভোলার চরফ্যাসনে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের মানসিক নির্যাতন সইতে না পেয়ে ওমান প্রবাসী স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে মোসাম্মদ মিতু বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার সন্ধ্যার আগে শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ওই গৃহবধূর বাবার বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শশীভূষণ থানা পুলিশ রাত ৮টায় চরফ্যাসন হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে করে থানায় নিয়ে যান। নিহত গৃহবধু মিতু ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো.

কামাল আখনের মেয়ে ও রসুলপুর ইউনিয়নের ওমান প্রবাসী বেল্লাল হোসেনের স্ত্রী।

গৃহবধূর মামী মুনিরা বেগম জানান, রসুলপুর ইউনিয়নের বাবুল বেপারীর ছেলে ওমান প্রবাসী বেল্লাল হোসেনের সাথে ৯ মাস আগে মিতুর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পরে জামাতা বেল্লাল প্রবাসে চলে যান। এরপর থেকে মিতু কালো বলে তার শ্বশুর বাবুল বেপারীর পরিবারের সদস্যরা নানা সময় তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। পুত্রবধূ কালো তাই তারা প্রায় সময় ২ লাখ টাকা যৌতুক ও সাংসারিক জিনিসপত্রের জন্য মিতুর সঙ্গে ঝগড়াবিবাদ করত। প্রায় সময় শ্বশুর ও শাশুড়ি ও ননদেরা মিতুকে মারধর করতো। স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হয়ে মঙ্গলবার বিকালে মিতু বাবার বাড়িতে চলে আসে। এসব বিষয় নিয়ে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে তর্কবিতর্ক করে তিনি বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন।

গৃহবধূর ছোট বোন রিতু বেগম জানান, ঘটনার দিন বিকালে মা বাড়িতে ছিলেন না। অসুস্থ ফুফুকে দেখতে তাদের বাড়িতে যান। তিনি এবং বড় বোন মিতু একাই ঘরে ছিলেন। বিকালে বোন মিতু দুলাভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। আমি ঘরে থাকায় তাদের ভিডিও কলে কথা বলতে অসুবিধা হওয়ায় বোন আমাকে পাশে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তখন তিনি দুলাভাইয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন। অনেকক্ষণ পরে আমি ঘরে ফিরে বোনের কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে তার শোবার ঘরে যায়। এ সময় দেখি আড়ার সঙ্গে বোন মিতু ঝুলে আছে। কল চলা অবস্থায় পাশে পড়ে ছিল তার মোবাইল ফোন। আমার ডাক চিৎকারের প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান।

মিতুর মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে তার শ্বশুরসহ তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

শশীভুষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আগামীকাল সকালে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ড ও কল গ হবধ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ