মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৬৪৫ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আমীর খসরু মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।

মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল নগদের কার্যক্রম বিশদভাবে পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সময় বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে নগদ লিমিটেডের ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টগুলোয় ইস্যু করা ই-মানির বিপরীতে ১০১ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২১ আগস্ট ডাক বিভাগের সম্মতিতে নগদে প্রশাসক দল নিয়োগ করে। বর্তমানে প্রশাসক দল ডাক বিভাগের ‘নগদ’ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ঘাটতিসহ আরও কিছু গুরুতর আর্থিক অনিয়মের তথ্য তাদের নজরে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক মামলা করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সমকালকে লিখিত বক্তব্য পাঠান নগদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। 

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মামলা হয়েছে। মামলায় তারা বলেছেন, ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ঘাটতি রয়েছে নগদে। এই তথ্যটা বানাতে গিয়ে তারা হয়তো খেয়াল করেননি, নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমাদের একটা চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে পরিষ্কার বলা আছে, নগদে ই-মানির ঘাটতি ৪৮ কোটি ৬০ লাখ কোটি টাকা। এখন প্রশ্ন হলো, সরকার বদলের পরপরই বাংলাদেশ ব্যাংকের যে প্রশাসক দল নগদ দখল করে নেয়, এই টাকার ঘাটতি কি তারাই করেছে? যদি সেটাই হয়ে থাকে, তাহলে এই দায় তাদের। ফলে মামলা হলে তাদের বিরুদ্ধেই হওয়া উচিত। তারাই বরং এখন আমাদের ওপর এই দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন। খুব তাড়াতাড়ি আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিঝিল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নগদ ব যবস থ নগদ র

এছাড়াও পড়ুন:

এবার এসএসসির ফল প্রকাশিত হবে নিজ নিজ বোর্ডে, জানা যাবে যেভাবে

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মতো এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলও কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশ করা হবে না। ১০ জুলাই বেলা দুইটায় নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ড তাদের ফল প্রকাশ করবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

আজ বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১০ জুলাই বেলা দুইটায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে হবে। আর পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে। এ ছাড়া নির্ধারিত শর্ট কোড ১৬২২২-তে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকায় ফলাফল পাওয়া যাবে না।

ফল প্রকাশের পর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সময়ও জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড। ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত এ জন্য আবেদন নেওয়া হবে। আবেদনপদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং টেলিটক বাংলাদেশের দেওয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যাবে।

গত ১০ এপ্রিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। ২০২৪ সালের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল।

তবে এ বছর অনুপস্থিত পরীক্ষার্থী বেশি ছিল। যেমন এসএসসি-সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ২৬ হাজার ৯২৮ পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ তারা পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেও পরীক্ষা দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ