রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা স্থাপনায় ভাঙচুর ও হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা হুমকিস্বরূপ।

সংস্থাটি সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আইন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে আসক এ কথা বলেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, সবার আইনের সমান আশ্রয় লাভ, আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার, সম্পত্তির অধিকার ও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারগুলোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। অন্যথায় সরকারের ব্যর্থতা বলে প্রতীয়মান হওয়ার অভিযোগ ওঠার সুযোগ থাকে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের চেতনার প্রতি আসক শ্রদ্ধাশীল এবং বলিষ্ঠভাবেই সমর্থন করে। আসক মনে করে, চলমান তাণ্ডবগুলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। এ ছাড়া দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা হুমকিস্বরূপ।

আসক সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আইন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানায়। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের কার্যক্রম আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচালনা করা উচিত বলে আসক মনে করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণতন ত র আইন র ও আইন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ: ফখরুল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে “বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার এক নতুন অধ্যায়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এবারকার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, “তফসিল ঘোষণা শুধু নির্বাচনসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক গুরুত্বপুর্ণ মুহূর্ত। দেশের জনগণ বহু অপেক্ষার পর যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে, তার সূচনা এই তফসিল।” 

আরো পড়ুন:

সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ

বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

অতীতের মতো কোনোরূপ পক্ষপাত, প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি মুক্ত, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জনগণই দেশের মালিক। তাদের রায়কে সম্মান জানানো এবং ভোটের অধিকার রক্ষা করাই বিএনপির মূল অঙ্গীকার।’’

ফখরুল আরও দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে সামনে রেখে বিএনপি মাঠে শক্তিশালীভাবে উপস্থিত থাকবে এবং গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা চাই একটি সুষ্ঠু পরিবেশ, সমান সুযোগ, পর্যাপ্ত স্বাধীনতা এবং সব দলের জন্য মাঠ সমতল রাখা হোক। জনগণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চায়।” 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, তফসিল ঘোষণার পর দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাবে।

ফখরুল আরও বলেন, ‘‘অতীতের অভিজ্ঞতা জনগণকে সতর্ক করেছে। তাই এবার তারা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন ও রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নির্ধারক সময়। দেশের গণতন্ত্র, ভবিষ্যৎ এবং নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন রক্ষায় এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। 

ঢাকা/আলী//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিজয় ও বিপর্যয়
  • তারেক রহমান দেশে এলে রাজনীতিতে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে: আমীর খসরু
  • ২৫ তারিখে দেশের রাজনীতিতে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে: আমীর খসরু
  • ষড়যন্ত্র রুখতে পারে গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস: তারেক
  • মওলানা ভাসানী মজলুমদের পক্ষে ছিলেন, কখনো আপোষ করেননি: টুকু 
  • একটি দল ভোটের প্রয়োজনে আ.লীগের নাম মুখে নেয় না: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া
  • তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ: ফখরুল
  • নির্বাচন যত সহজ ভাবা হচ্ছে, তত সহজ হবে না: তারেক রহমান
  • শরিক ২৯ দলের বৈঠক, বিএনপির সঙ্গে দ্রুত ফয়সালার সিদ্ধান্ত