ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙার নিন্দা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের
Published: 6th, February 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা স্থাপনায় ভাঙচুর ও হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা হুমকিস্বরূপ।
সংস্থাটি সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আইন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে আসক এ কথা বলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, সবার আইনের সমান আশ্রয় লাভ, আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার, সম্পত্তির অধিকার ও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারগুলোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। অন্যথায় সরকারের ব্যর্থতা বলে প্রতীয়মান হওয়ার অভিযোগ ওঠার সুযোগ থাকে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের চেতনার প্রতি আসক শ্রদ্ধাশীল এবং বলিষ্ঠভাবেই সমর্থন করে। আসক মনে করে, চলমান তাণ্ডবগুলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। এ ছাড়া দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা হুমকিস্বরূপ।
আসক সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আইন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানায়। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের কার্যক্রম আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচালনা করা উচিত বলে আসক মনে করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণতন ত র আইন র ও আইন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গণতন্ত্র রক্ষায় আলেম সমাজের অবদান অনস্বীকার্য: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, “বাংলাদেশের সংকটময় সময়ে মানুষের অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আলেম সমাজের অবদান অনস্বীকার্য। সামনের দিনে আলেম সমাজকে পাশে না রেখে বাংলাদেশ এগোতে পারবে না।”
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কে জামেয়া ইসলামিয়া দারুল হক্ব মাদ্রাসার ইফতা ও হিফজ সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের ‘দস্তরবন্দি’ উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “দ্বীনের খেদমত, সামাজিক নেতৃত্ব, নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা কিংবা যেকোনো জাতীয় উদ্যোগ—সব ক্ষেত্রেই আলেম সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ, ঐক্য ও আধ্যাত্মিক পরিবেশ জোরদার করতে এবং তরুণ প্রজন্মকে কোরআনের প্রতি আরো অনুরাগী করে তুলতে সারা দেশে ক্বেরাত সম্মেলন আয়োজন বাড়ানো জরুরি।”
ইফতা ও হিফজ সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের পাগড়ি পরিয়ে দেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত আলেম মাওলানা তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী।
ক্বেরাত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্বারী আহমেদ বিন ইউসুফ আজহারী, ইরানের ক্বারী মাহদি গোলাম নেযাদ, মিশরের ক্বারী শেখ আহমেদ আল-জাহরি, ফিলিপাইনের ক্বারী নাজীর আসগর, পাকিস্তানের ক্বারী আনোয়ারুল হাসান শাহ বুখারী প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/রফিক