রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। টাইব্রেকারে দ্বিতীয় শট নিয়ে হুলিয়ান আলভারেজ গোল করেন। কিন্তু বলে ডাবল টাচ হওয়ায় গোলটি বাতিল হয়।

ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) ১৪.১ ধারা অনুযায়ী, পেনাল্টি নেওয়া খেলোয়াড় একবার বলে স্পর্শ করার পর অন্য কেউ স্পর্শ করা ব্যতিত পুনরায় স্পর্শ করতে পারবেন না। আলভারেজ শট নেওয়ার সময় ভারসাম্য হারান। যে কারণে বাঁ-পায়ে ও ডানপায়ে বল স্পর্শ করে। ওই হিসেবে আলভারেজের গোলটি বৈধ হিসেবে গণ্য হয়নি।

তবে বিষয়টি মানতে নারাজ অ্যাতলেটিকো কোচ ডিয়াগো সিমিওনে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি, ‘রেফারি বলেছেন, হুলিয়ান বাঁ-পা দিয়ে আগে বল স্পর্শ করেছেন। অথচ বল একটু নড়লও না! আমি কখনো দেখিনি যে, ভিএআর দিয়ে পেনাল্টি গোল যাচাই করা হয়। আমি বিশ্বাস করতে চাই, তারা দুই পায়ে বল স্পর্শ হওয়া দেখেছেন।’

পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সিমিওনে পাল্টা প্রশ্ন করেন তারা কেউ বল দু’বার স্পর্শ হওয়া দেখেছেন কিনা, ‘আপনারা দু’বার বল স্পর্শ হওয়া দেখেছেন। স্টেডিয়াম যে বা যারা উপস্থিত ছিলেন বল দু’বার স্পর্শ হওয়া দেখলে হাত তুলুন, সামনে আসুন। আমি তো কাউকে হাত তুলতে দেখিনি।’

রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমরা সন্দেহ প্রকাশ করি, তখনই রেফারি এটি ধরতে সক্ষম হয়েছেন। আমিও বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। আমার মনে হয়েছে, সে দ্বিতীয় টাচ দিয়েছে।’

থিবো কর্তোয়া উয়েফা টিভিকে বলেন, ‘শটে অস্বাভাবিক কিছু একটা নজরে এসেছিল। যে কারণে রেফারিকে যাচাই করতে বলা। দ্বিতীয় স্পর্শ ছিল। যে কারণে গোলটি বাতিল হয়েছে। আলভারেজ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় ওমনটা হতে পারে, দূভাগ্য অ্যাতলেটিকোর।’

প্রিমিয়ার লিগে পূর্বে দু’বার ভারসাম্য হারিয়ে দুবার বলে স্পর্শ করে পেনাল্টি নিয়ে গোল করার ঘটনা ঘটেছে। একটা ২০১৭ সালে লেস্টার সিটিতে খেলা রিয়াদ মাহরেজ ম্যানসিটিতে যোগ দেওয়ার আগে সিটির বিপক্ষে ওই কাজ করেন। ২০২৩ সালে ফুলহামের অ্যালেক্সজান্ডার মিত্রোভিক একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ল য় ন আলভ র জ স পর শ হওয় আলভ র জ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ