আলভারেজের গোল বাতিলে ক্ষুব্ধ সিমিওনে, যা বললেন আনচেলত্তি
Published: 13th, March 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। টাইব্রেকারে দ্বিতীয় শট নিয়ে হুলিয়ান আলভারেজ গোল করেন। কিন্তু বলে ডাবল টাচ হওয়ায় গোলটি বাতিল হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) ১৪.১ ধারা অনুযায়ী, পেনাল্টি নেওয়া খেলোয়াড় একবার বলে স্পর্শ করার পর অন্য কেউ স্পর্শ করা ব্যতিত পুনরায় স্পর্শ করতে পারবেন না। আলভারেজ শট নেওয়ার সময় ভারসাম্য হারান। যে কারণে বাঁ-পায়ে ও ডানপায়ে বল স্পর্শ করে। ওই হিসেবে আলভারেজের গোলটি বৈধ হিসেবে গণ্য হয়নি।
তবে বিষয়টি মানতে নারাজ অ্যাতলেটিকো কোচ ডিয়াগো সিমিওনে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি, ‘রেফারি বলেছেন, হুলিয়ান বাঁ-পা দিয়ে আগে বল স্পর্শ করেছেন। অথচ বল একটু নড়লও না! আমি কখনো দেখিনি যে, ভিএআর দিয়ে পেনাল্টি গোল যাচাই করা হয়। আমি বিশ্বাস করতে চাই, তারা দুই পায়ে বল স্পর্শ হওয়া দেখেছেন।’
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সিমিওনে পাল্টা প্রশ্ন করেন তারা কেউ বল দু’বার স্পর্শ হওয়া দেখেছেন কিনা, ‘আপনারা দু’বার বল স্পর্শ হওয়া দেখেছেন। স্টেডিয়াম যে বা যারা উপস্থিত ছিলেন বল দু’বার স্পর্শ হওয়া দেখলে হাত তুলুন, সামনে আসুন। আমি তো কাউকে হাত তুলতে দেখিনি।’
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমরা সন্দেহ প্রকাশ করি, তখনই রেফারি এটি ধরতে সক্ষম হয়েছেন। আমিও বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। আমার মনে হয়েছে, সে দ্বিতীয় টাচ দিয়েছে।’
থিবো কর্তোয়া উয়েফা টিভিকে বলেন, ‘শটে অস্বাভাবিক কিছু একটা নজরে এসেছিল। যে কারণে রেফারিকে যাচাই করতে বলা। দ্বিতীয় স্পর্শ ছিল। যে কারণে গোলটি বাতিল হয়েছে। আলভারেজ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় ওমনটা হতে পারে, দূভাগ্য অ্যাতলেটিকোর।’
প্রিমিয়ার লিগে পূর্বে দু’বার ভারসাম্য হারিয়ে দুবার বলে স্পর্শ করে পেনাল্টি নিয়ে গোল করার ঘটনা ঘটেছে। একটা ২০১৭ সালে লেস্টার সিটিতে খেলা রিয়াদ মাহরেজ ম্যানসিটিতে যোগ দেওয়ার আগে সিটির বিপক্ষে ওই কাজ করেন। ২০২৩ সালে ফুলহামের অ্যালেক্সজান্ডার মিত্রোভিক একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ ল য় ন আলভ র জ স পর শ হওয় আলভ র জ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে।
প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।
তিনি মনে করেন, ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।
সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।
জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে, বিএনপি বিষয়টি কীভাবে দেখছে? এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “আমি একটা জিনিস মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং, সবাই তাদের মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই নিজেদের মতামত দেবে। এর মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। এবং এত সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরো দীর্ঘ সময়। তবে, যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।
আমীর খসরু বলেন, “আমি আগেও বলেছি, যত বেশি ঐকমত্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐকমত্যের মধ্যে এসেছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “ঐকমত্য থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করব, যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।”
তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো— একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন, এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক