দেশের ৪০টি চৌকি আদালতের এজলাস ও দপ্তরে ব্যবহারের জন্য ৭১টি ডেস্কটপ কম্পিউটার সরবরাহ করা হয়েছে। আদালতগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশনায় বুধবার ওই কম্পিউটারগুলো সরবরাহ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশের ২৩টি জেলায় বর্তমানে ৪০টি চৌকি আদালতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, অপেক্ষাকৃত দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত চৌকি আদালতগুলোতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।

এসব আদালতে সিনিয়র সহকারী জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, যুগ্ম জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা কর্মরত আছেন। সুপ্রিম কোর্টের সরবরাহ করা কম্পিউটারগুলো চৌকি আদালতের কার্যক্রমে গতিশীলতা সঞ্চার করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপে বিচারসেবার আধুনিকায়নসহ দ্রুততম সময়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিচারসেবা প্রাপ্তির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি চৌকি আদালতগুলোতে বিচারপ্রার্থীদের কাঙ্ক্ষিত বিচারসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতসহ এসব আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রয়োজনীয় ডেস্কটপ কম্পিউটার সরবরাহের জন্য নির্দেশনা দেন।

গত বছরের ১১ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো.

শফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশের আদালতের বিচারকাজে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে তাঁর নির্দেশনার আলোকে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জেলা আদালতগুলোতে এখন পর্যন্ত ৪০০টি ডেস্কটপ কম্পিউটার সরবরাহ করা হয়েছে। একই সময়ে দেশের ১২০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র সরবর হ

এছাড়াও পড়ুন:

কাজে আসছে না ৫৩ লাখ টাকায় নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ

হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার নিশ্চিতের লক্ষ্যে তৈরি করা হয় ‘ন্যায়কুঞ্জ’। নির্মাণ শেষে সেটি উদ্বোধন করলেও এর সুফল ভোগ করতে পারছেন না বিচারপ্রার্থীরা।
উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও চালু করা হয়নি এ ভবনটি। কারণ, এর জন্য প্রয়োজনীয় আসবাব সরবরাহ করা হয়নি। সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আদালত প্রাঙ্গণে নান্দনিক এই স্থাপনা নির্মাণ করে। সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০২৪ সালের ২ মে এটি উদ্বোধন করেছিলেন।
আদালতে আসা মনির হোসেন নামে এক বিচারপ্রার্থী জানান, ন্যায়কুঞ্জ নামে যে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য তা ছিল অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। অনেক বিচারপ্রার্থী আদালতে এসে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার 
হন। এখানে এসে বিশ্রামসহ শৌচাগার ব্যবহার করতে পারলে দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজনের সুবিধা হতো।
রহিমা বেগম নামে আরেক নারী বলেন, ‘পুরুষরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারলেও অনেক ক্ষেত্রে নারীরা অসুবিধায় পড়েন। বিশেষ করে শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে ন্যায়কুঞ্জটি দ্রুত চালু হলে সুবিধা হতো।’
আশিক মিয়া নামে আরেকজন বলেন, ‘মূলত বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছে। বছর পেরিয়ে গেলেও তার সুফল পাচ্ছেন না কেউ। দ্রুত ন্যায়কুঞ্জটি চালু করা না গেলে অবকাঠামোও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার আজিজুল ইসলাম আজিজ জানান, আদালতে আসা লোকজন যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন এবং শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন তার ব্যবস্থা রয়েছে ন্যায়কুঞ্জে। ভবনটি নান্দনিক এবং বিশ্রামের জন্য আদর্শ স্থান। আদালতে আগতদের সময় কাটানোর ভোগান্তি লাঘবে এটি নির্মাণ হয়েছে। আসবাব সরবরাহ না করায় এটি চালু হচ্ছে না।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বকুল বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি ব্যাহত হচ্ছে। আদালতে আসা ব্যক্তিদের অপেক্ষার জন্য এটি করা হয়েছিল। এতে করে তাদের ভোগান্তি অনেকাংশেই কমে যেত। আসবাব সরবরাহ না করায় ভবনটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। দ্রুত এটি চালু করা প্রয়োজন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • দাম বাড়ানোর পরও গুদামে ধান দিতে অনাগ্রহ কৃষকের
  • চীনকে মোকাবিলায় পরীক্ষার মুখে কোয়াডের ঐক্য
  • বৃহস্পতিবার ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটে ক্রেতা বেশি, মাছ কম
  • কাজে আসছে না ৫৩ লাখ টাকায় নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ
  • ভরা মৌসুমেও ইলিশ সরবরাহ কম, দাম লাগামহীন
  • ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
  • পাইপলাইনে তেল পরিবহন শুরু চলতি মাসেই