এনআরবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ৪০০ কোটি টাকার ঋণ
Published: 2nd, July 2025 GMT
দেশের চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের ঋণ পোর্টফোলিও ৪০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। অর্থাৎ ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকেরা তাঁদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন। আজ বুধবার ব্যাংকটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্যাংকটি জানিয়েছে, চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ব্যাংক হিসেবে এনআরবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের পোর্টফোলিও ৪০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। এ উপলক্ষে আজ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কেক কেটে এই অর্জন উদ্যাপন করা হয়।
রাজধানীর গুলশানে আজ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো.
ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ৬৭ হাজারের বেশি। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি সর্বশেষ ২০২৪ সালে ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। আর চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকটির কর–পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। চতুর্থ প্রজন্মের এই ব্যাংকের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬৯০ কোটি টাকা। এটির শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য ১০ টাকা ৪০ পয়সা। ব্যাংকটি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এটির শেয়ারের ৫৫ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। বাকি ৪৫ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৪০০ ক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবির ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
বুধবার (১ জুলাই) সকাল ১০টায় টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় বিভিন্ন হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহ স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে একত্রিত হন। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাস জুড়ে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
আরো পড়ুন:
৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের
বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান
সকাল সাড়ে ১০টায় টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ।
এছাড়াও পায়রা চত্বরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী আয়োজনে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং কেক কাটা হয়। এ সময় সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান। বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এতে বিশেষ সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুজ্জামান দুদু বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবসময় মুক্ত চিন্তা, স্বাধীনতা, মুক্তির পথ দেখিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পতাকাও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উড়ানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্ররা পথ দেখান। আজ এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সব মহলকে শ্রদ্ধা জানাই।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অ্যালামনাইরা অংশ নেন।
আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে প্রকাশিত ‘স্মরণিকা’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে কেন্দ্র করে উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও টিএসসি-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং সড়কসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।
এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ ছিল। তবে পরীক্ষাসমূহ পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯২১ সালের ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠান জ্ঞান, চিন্তা ও মুক্তচিন্তার আলো ছড়িয়ে দেশের অগ্রগতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী