চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার না করার জের ধরে পটিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ও পুলিশের পিটুনিতে ছাত্র সমন্বয়কের ৭ সদস্যসহ ১১ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাকর্মী সকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন, যা প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে চলে। পরে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। 

এসময় চট্টগ্রাম জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমরা সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সড়কে থাকবো। আগামী ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিন দফা দাবি মেনে নেওয়া না হলে সারাদেশে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় শিক্ষকের চড়ে নাক ফাটল শিশুশিক্ষার্থীর, হাসপাতালে ভর্তি

পাবনার চাটমোহরে শিক্ষকের চড়ে সোয়াদ হোসেন (৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আঘাতে তার নাক ফেটে যায় ও রক্তক্ষরণ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়ের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ঘটনার পর তিনি দ্রুত বিদ্যালয় থেকে চলে যান। আহত সোয়াদ কানাইয়ের চর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে।

বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্লাস চলাকালে শিক্ষক হাফিজুর রহমানের অনুমতি নিয়ে বাইরে যায় সোয়াদ। ফিরতে দেরি হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ঢোকার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড় মারেন হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় সোয়াদের নাকে আঘাত লাগে ও রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

শিশুটির বাবা মুকুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক লেখাপড়ার জন্য শাসন করতেই পারেন। কিন্তু এমনভাবে মারধর করে রক্তাক্ত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অফিসে ছিলাম না। পরে খবর পেয়ে ক্লাসে গিয়ে দেখি সোয়াদ বাড়ি চলে গেছে। পরে আমি তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিশুটি ক্লাস চলাকালে বারবার বাইরে যাচ্ছিল। কয়েকবার ডাকার পরও সে বাইরে যাওয়া অব্যাহত রাখে। ক্লাসে ঢোকার সময় আমি চড় মারতে গেলে সেটা নাকে লাগে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ