সেঞ্চুরিতে আজহারউদ্দিন–হাজারেদের মনে করালেন গিল
Published: 2nd, July 2025 GMT
বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাবিহীন নতুন যুগে ভারতের টেস্ট দল সাফল্যের ধারা কতটা ধরে রাখতে পারবে, সময়ই বলবে। তবে অধিনায়কের পারফরম্যান্সের দৃষ্টিকোণ থেকে আশার গল্পই শোনাচ্ছেন শুবমান গিল। হেডিংলিতে সেঞ্চুরি করা গিল তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন গতকাল শুরু এজবাস্টন টেস্টেও।
প্রথম দিনের খেলা শেষে গিল অপরাজিত ১১৪ রানে, ভারতও দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৩১০ রানের স্বস্তিদায়ক স্কোর নিয়ে। আজ দ্বিতীয় দিনে গিলের সঙ্গে অপরাজিত থেকে নামবেন ৪১ রান করা রবীন্দ্র জাদেজা।
প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়া ভারত দিন শুরু করেছিল ১৫ রানে লোকেশ রাহুলকে হারিয়ে। ২৬ বল খেলে মাত্র ২ রান করেই ফিরেছেন হেডিংলিতে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ভারতীয় ওপেনার। গিল ব্যাটিংয়ে নামেন ভারত ৯৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর। ব্রায়ডন কার্সের বলে দ্বিতীয় স্লিপে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ হওয়ার আগে ৩১ রান করেন করুণ নায়ার।
সেখান থেকে ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গিলের। টানা দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ১৩ রানের জন্য সেটি হারিয়েছেন জয়সোয়াল। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসের লোপ্পা শর্ট বলে চালাতে গিয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ওপেনার।
১০৭ বলে ৮৭ রান করে জয়সোয়ালের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামা ঋষভ পন্তও টেকেননি বেশিক্ষণ। ৪২ বলে ২৫ রান করে শোয়েব বশিরের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন হেডিংলিতে জোড়া সেঞ্চুরি করা পন্ত। এরপর নীতীশ কুমার রেড্ডিও ফিরেছেন দ্রুত। তবে দিনের বাকি ২৩.
ভারত ১ম ইনিংস: ৮৫ ওভারে ৩১০/৫ (গিল ১১৪*, জয়সোয়াল ৮৭, জাদেজা ৪১*, নায়ার ৩১; ওকস ২/৫৯, কার্স ১/৪৯, স্টোকস ১/৫৮)।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।