বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাবিহীন নতুন যুগে ভারতের টেস্ট দল সাফল্যের ধারা কতটা ধরে রাখতে পারবে, সময়ই বলবে। তবে অধিনায়কের পারফরম্যান্সের দৃষ্টিকোণ থেকে আশার গল্পই শোনাচ্ছেন শুবমান গিল। হেডিংলিতে সেঞ্চুরি করা গিল তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন গতকাল শুরু এজবাস্টন টেস্টেও।

প্রথম দিনের খেলা শেষে গিল অপরাজিত ১১৪ রানে, ভারতও দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৩১০ রানের স্বস্তিদায়ক স্কোর নিয়ে। আজ দ্বিতীয় দিনে গিলের সঙ্গে অপরাজিত থেকে নামবেন ৪১ রান করা রবীন্দ্র জাদেজা।

প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়া ভারত দিন শুরু করেছিল ১৫ রানে লোকেশ রাহুলকে হারিয়ে। ২৬ বল খেলে মাত্র ২ রান করেই ফিরেছেন হেডিংলিতে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ভারতীয় ওপেনার। গিল ব্যাটিংয়ে নামেন ভারত ৯৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর। ব্রায়ডন কার্সের বলে দ্বিতীয় স্লিপে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ হওয়ার আগে ৩১ রান করেন করুণ নায়ার।

সেখান থেকে ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গিলের। টানা দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ১৩ রানের জন্য সেটি হারিয়েছেন জয়সোয়াল। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসের লোপ্পা শর্ট বলে চালাতে গিয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ওপেনার।

১০৭ বলে ৮৭ রান করে জয়সোয়ালের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামা ঋষভ পন্তও টেকেননি বেশিক্ষণ। ৪২ বলে ২৫ রান করে শোয়েব বশিরের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন হেডিংলিতে জোড়া সেঞ্চুরি করা পন্ত। এরপর নীতীশ কুমার রেড্ডিও ফিরেছেন দ্রুত। তবে দিনের বাকি ২৩.

২ ওভার জাদেজাকে নিয়ে নিরাপদেই কাটিয়েছেন ভারত অধিনায়ক, ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরিও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই সেঞ্চুরি করে মনে দুই সাবেক অধিনায়ক আজহারউদ্দিন ও বিজয় হাজারেকে মনে করিয়েছেন গিল। হাজারে ১৯৫১–৫২ মৌসুমে দিল্লি ও ব্রেবোর্নে আর আজহাউদ্দিন ১৯৯০ সালে লর্ডস ও ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংলিশদের বিপক্ষে টানা দুই সেঞ্চুরি করেছিলেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)

ভারত ১ম ইনিংস: ৮৫ ওভারে ৩১০/৫ (গিল ১১৪*, জয়সোয়াল ৮৭, জাদেজা ৪১*, নায়ার ৩১; ওকস ২/৫৯, কার্স ১/৪৯, স্টোকস ১/৫৮)।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জয়স য় ল র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩

তিনি বলেন, ‍“ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ