দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে নাগরিক ঐক্য। নিজেদের জন্য শাপলা প্রতীক সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে দলটি। নতুন প্রতীক তালিকাভুক্ত হলে আগে আবেদনের কারণে তারাই এ প্রতীক পাবে বলেও দাবি তাদের।

আজ বুধবার নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার এবং দপ্তর সম্পাদক মহিদুজ্জামান মহিদ।

বৈঠক শেষে সাকিব আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, দলের প্রতীক পরিবর্তনের জন্য আবেদনের বিষয়ে বৈঠকে কথা বলেছেন তারা। গত ১৭ জুন নাগরিক ঐক্যের দলীয় প্রতীক ‘কেটলি’ পরিবর্তন করে পছন্দের ক্রমানুসারে শাপলা ও দোয়েল চাওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, সিইসি ও সচিবকে আমরা জানিয়েছি, নতুন প্রতীক হিসেবে শাপলা গেজেটভুক্ত হলে কিংবা দোয়েল যুক্ত হলে, যেহেতু আমরা আগে আবেদন করেছি এবং পরবর্তী সময় একই প্রতীক নিয়ে আরেকটা আবেদন হলেও শাপলা নাগরিক ঐক্যেরই প্রাপ্য। সেটার যেন ব্যত্যয় না ঘটে। 

নাগরিক ঐক্যের এই নেতা আরও বলেন, এখনও নতুন দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত হয়নি। সেই নতুন প্রতীক বিধিমালায় যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসির পক্ষ থেকে নাগরিক ঐক্যের দাবি পর্যালোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে নাগরিক ঐক্য নিবন্ধন আবেদন করেছিল। তখন নিবন্ধন না পাওয়ায় পছন্দের প্রতীকও পাওয়া যায়নি। বরং ওই সময় অন্য দলগুলো নিবন্ধন পেয়ে তাদের পছন্দের প্রতীক পেয়ে যায়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সেপ্টেম্বরে নিবন্ধন পায় নাগরিক ঐক্য।

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে ভোটের প্রস্তুতির বিষয়েও আলোচনার কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। প্রতীক পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথাও জানিয়েছি। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে কমিশন ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করি, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে যাচ্ছে। 

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার হামিদ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ইস

এছাড়াও পড়ুন:

শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জবি উপাচার্যের

মুসলিম সম্প্রদায়কে শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ‘ইরান বনাম ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধ পরবর্তী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব’ শীর্ষক একাডেমিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর তুলনায় মুসলমানদের মধ্যে আন্তঃসম্প্রদায়িক বিরোধ বেশি লক্ষ্য করা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যদি একত্রিতভাবে কাজ করে, তাহলে অনেক সংকটের সমাধান সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ইরানের

এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছে: ইরান

এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনি ইরানের ঐতিহাসিক বিপ্লব, বর্তমান মার্কিন-ইরান উত্তেজনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক সংকট নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ইরান ইস্যুতে বিভিন্ন শক্তির ভূমিকা ও সম্ভাব্য পরিণতি নিয়েও তিনি মূল্যায়ন করেন।

তিনি বলেন, “ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ইরানকে ‘বিপদ’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকট তৈরি করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কৌশলগত স্বার্থ মধ্যপ্রাচ্যে একত্রিত হয়েছে। তেল সম্পদ ও আঞ্চলিক আধিপত্য ধরে রাখতে ইরানকে ঘিরে সংকট তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “মার্কিন-ইসরাইলি চাপের বিপরীতে ইরান রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন পাচ্ছে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন শক্তি সমীকরণ তৈরি করছে, যা পশ্চিমা আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করছে।”

সতর্ক করে তিনি বলেন, “এই সংঘাত যদি যুদ্ধে রূপ নেয়, তাহলে গোটা অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে, তেলের বাজারে ধস নামতে পারে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

প্যানেল আলোচনায় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “ইরানের ইসলামিক বিপ্লব-পরবর্তী সময় থেকেই ইসরাইলি আক্রমণের সূচনা। মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ বিভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসরাইলি আগ্রাসন মোকাবিলা করতে হবে। ‘ইসরাইলি ফোবিয়া’র ভিত্তিতে মুসলমানদের আর দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।”

জিএসএসআরসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে টিসিবি পন্য নিয়ে কারসাজি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা 
  • নাক ভেঙেছে আদাহর
  • রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব 
  • জাবির গণিত বিভাগের ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরুর দাবি শিক্ষার্থীদের
  • ইবিতে ফের ছাত্রী হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ এক শিক্ষকের বিরূদ্ধে
  • বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: সেই সব না-বলা কথা
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছি আমরা?
  • ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠলে কী খাবেন
  • শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জবি উপাচার্যের