প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে জুস রপ্তানি হয়েছে। আকিজ গ্রুপ ও হাসেম ফুড নামে দুটি কোম্পানি এসব জুস রপ্তানি করে।

বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ মেট্রিকটন জুস বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান ভারতে প্রবেশ করে। ভারতের দিপালী এন্টারপ্রাইজ ও সুকন ডিংকস নামের দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব জুস আমদানি করেছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাশেদ ফেরদৌস বলেন, “গত মঙ্গলবার এই বন্দর দিয়ে প্রথম ১০টন জুস রপ্তানি হয়েছে। আজও দুটি প্রতিষ্ঠান জুস রপ্তানি করেছে। আমাদের সাথে আরো কোম্পানি যোগাযোগ করছে বিভিন্ন পণ্য আমরা রপ্তানি করব। গত দুইদিনে দুই ট্রাকে প্রায় ২০ টন অর্থাৎ ২ হাজার কার্টন জুস রপ্তানি করা হয়েছে। যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ১৮ হাজার ডলার। এসব যাচ্ছে ভারতের কলকাতায়।”

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, “চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অর্থ বছরের শেষ পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে কোনো পণ্য রপ্তানি হয়নি। তবে নতুন অর্থ বছরের প্রথমদিন থেকেই ভারতে বেশ কয়টি কোম্পানিতে জুস রপ্তানি করা হচ্ছে। এটা আমাদের দেশের জন্য নিঃসন্দেহে ভালো।”

সম্প্রতি চলতি বছরের গত ১৭ মে বেশকিছু স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেয় ভারত সরকার। 

তবে হিলি স্থলবন্দর সেই বিধিনিষেধ এর আওতামুক্ত থাকায় বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো এই বন্দর দিয়ে এসব পণ্য ভারতে রপ্তানি করছে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

ঋতুপর্ণাদের সামনে বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি

ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল! প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ঋতুপর্ণাদের দলটি। অনেকেই বলছেন, এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম বড় সাফল্য। র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে সেই ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।

বাছাইপর্বে গ্রুপ 'সি'র ম্যাচে মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। দুই অর্ধে জোড়া গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। এর আগে বাহরাইনকে হারিয়েই দারুণ সূচনা করেছিল মেয়েরা। এরপর বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হওয়ায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা।

নারী এশিয়ান কাপের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালে যাত্রা শুরু হলেও এবারই প্রথমবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। তারা হবে টুর্নামেন্টের ২৩তম দল। এরই মধ্যে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া, এবং তৃতীয় স্থান পাওয়া জাপান ছাড়াও একটি দল জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাকি আটটি দল উঠে আসবে বাছাইপর্ব থেকে।

২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, গোল্ড কোস্ট এবং পার্থের পাঁচটি ভেন্যুতে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্ট। ২৯ জুলাই সিডনিতে অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্বের ড্র। চূড়ান্ত ১২টি দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ গ্রুপে থাকলেও বাকিদের অবস্থান নির্ধারিত হবে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে। সম্ভবত বাংলাদেশ থাকবে চতুর্থ পটে। গ্রুপ পর্ব শেষে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল এবং তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা দুটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। এখান থেকেই শুরু হবে বিশ্বকাপের টিকিটের লড়াই।

২০২৬ এশিয়ান কাপ শুধুই একটি টুর্নামেন্ট নয়, এটি ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ও ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্বও। ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে, যেখানে এশিয়া থেকে সরাসরি ৬টি দল অংশ নেবে। এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে ওঠা চারটি দল সরাসরি যাবে বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া চার দল খেলবে প্লে-ইন ম্যাচ। সেখান থেকে জেতা দুটি দলও বিশ্বকাপে যাবে। যারা হারবে, তাদের জন্য থাকবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের আরেকটি সুযোগ।

এছাড়াও, কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল সুযোগ পাবে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইপর্বে অংশ নেওয়ার। বাছাইয়ে দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পাবে অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঋতুপর্ণাদের সামনে বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি
  • নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
  • ইতিহাস গড়ে প্রথমবার এশিয়ান কাপে মেয়েরা
  • ইতিহাস গড়ে প্রথমবার এশিয়া কাপে মেয়েরা
  • ‘গোলাপ’-এ ফুটবে পরী-নিরবের প্রথম প্রেম!
  • চীনে প্রথমবারের মতো ফুটবল ম্যাচে অংশ নিল এআইচালিত রোবট
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮৩ জন ছাত্রীকে প্রথমবারের মতো আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা
  • ‘অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব
  • উইম্বলডন এখন ‘ডিজিটাল’, ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম যা নেই