সিলেটের ওসমানীনগরের দৌলতপুর এলাকায় নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ রয়ে গেছে অসম্পূর্ণ। সে অবস্থাতেই লাপাত্তা প্রকল্পের ঠিকাদার। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয়দের।

উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নে বুড়ি নদীর ওপর চলছিল সেতুটির নির্মাণকাজ। চলতি বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ হওয়ার কথা। ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামবাসীর বহুদিনের প্রত্যাশা ছিল ওই নদীর ওপর একটি সেতুর। গ্রামবাসীর এই প্রত্যাশিত প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখে উধাও হয়ে যান ঠিকাদার।

এদিকে মেয়াদ শেষে প্রকল্পের কাজ কত দূর হলো এবং সেটি বুঝে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরও তাঁর কোনো খোঁজ পাচ্ছে না। ঠিকাদারের একাধিক মোবাইল নাম্বারের সবক’টি চালু থাকলেও কোনোটিই রিসিভ করছেন না তিনি। এমন অবস্থায় সেতুর কাজ কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে সে নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বুড়ি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় আয়ান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছর সেতুর পাইলিংয়ের কাজ করা হয়। চলতি বছর সেতুর মূল অংশ নির্মাণের লক্ষ্যে এর দুই পাশে কাঠামো তৈরির পর কাজ বন্ধ করে মালপত্র নিয়ে চলে যান ঠিকাদার। এর আগে কাজ শুরু করার পর মোট বরাদ্দের ৪০ শতাংশ টাকা তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার। এর পর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রাজিবের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারছেন না। এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ। পরে বাধ্য হয়ে তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, একে তো কাজ শেষ হয়নি, তার মধ্যে ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছেন তাও নিম্নমানের। 

বুড়ি নদীর ওপর প্রকল্পের সাইটে গিয়ে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত ব্রিজটি দুই পাশের ধারক (অ্যাবাটামেন্ট) ছাড়া আর কোনো কাজ হয়নি।

দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিলাল দত্ত বলেন, সেতুটি তাদের দীর্ঘদিনের দাবির ফসল। ঠিকাদার কাজ পাওয়ার পর গত বছর সেতুর নকশা ও প্রকল্প সম্পৃক্ত নথিপত্রের কাজ সম্পন্ন করেন। চলতি বছর গার্ডার ওয়ালসহ দুই পাশের প্রাথমিক কাঠামো তৈরির পর মালপত্র নিয়ে চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে ঠিকাদারের আর কোনো খোঁজ নেই।

স্থানীয়রা জানান, দুই পাশে দেয়াল থাকায় বাঁশের সাঁকোও দেওয়া যাচ্ছে না। এতে করে নদী পারাপারে অস্থায়ী ব্যবস্থা করারও উপায় নেই। তার মধ্যে যে কাজ করা হয়েছে তা নিম্নমানের। এ সময় কাজটি দ্রুত নিষ্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা। 

পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী চৌধুরী সুমন বলেন, দৌলতপুরে বুড়ি নদীতে সেতু নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেকবার কথা বলেছেন। সেতুটির কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সেই সঙ্গে চোখের সামনে এত দিনের দাবির বাস্তবায়ন এভাবে থমকে যেতে দেখে হতাশ তারা। 

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রাজিবের মোবাইল ফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করে ও খুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ঠিকাদারকে কোনোভাবেই পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। আশা করা যাচ্ছে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ র ওপর প রকল প দ লতপ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ