ভর্তিচ্ছুদের জন্য পবিপ্রবিতে বিশেষ বাস সার্ভিস
Published: 11th, April 2025 GMT
শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ভর্তিচ্ছুদের সুবিধার্থে বিশেষ বাস সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) প্রশাসন।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার কর্মকর্তা অধ্যাপক ড.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে সহায়তা করতে শনিবার দুইটি রুটে বিশেষ বাস চলবে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিট ও দুপুর ১২টার দিকে বাস দুটি লেবুখালী বাইপাস ও পটুয়াখালী শহর থেকে ছেড়ে আসবে।
উল্লেখ্য, কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো— বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সূর্য ধ্বংসের সময় পৃথিবীর কী হবে
সূর্যের শেষটা কেমন হবে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক তত্ত্ব চালু আছে। সৌরজগতে উষ্ণতা থেকে শুরু করে ভর আর সব গ্রহের কক্ষপথের স্থিতিশীলতা দিচ্ছে সূর্য। আমাদের পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা তৈরির জন্য সূর্যের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্য প্রায় ৫০০ কোটি বছর পর ধ্বংস হতে শুরু করবে। হাইড্রোজেন কমতে থাকায় শেষ পর্যন্ত সূর্য একটি লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানে প্রসারিত হবে। তখন সম্ভাব্যভাবে পৃথিবীসহ অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু গ্রহকে সূর্য গ্রাস করে ফেলবে। সূর্যের লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানের সময় চরম তাপের পরিস্থিতি দেখা যাবে। এই পর্যায় কোটি কোটি বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্যের হাইড্রোজেন কমার সময় পৃথিবীর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। মহাসাগর ও অন্যান্য জলাশয় বাষ্পীভূত হয়ে শূন্য হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে আমাদের গ্রহ প্রাণের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। বর্ধিত তাপের ফলে বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস মহাকাশে হারিয়ে যাবে। সূর্যের লোহিত দৈত্যাকার পর্যায়টি প্রায় ১০০ কোটি বছর স্থায়ী হবে। এরপর একক নীহারিকা তৈরি করবে সূর্য। একটি সাদা বামন বস্তু হিসেবে সূর্য অবস্থান করবে। এ ধরনের পরিবর্তনের সময় পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কঠিন হবে। বর্ধিত তাপ ও বিকিরণের কারণে বেশির ভাগ জীব বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার মানসার বলেন, সূর্যের মতো নক্ষত্র যখন মারা যায়, তখন তাদের কেন্দ্রস্থলে হাইড্রোজেন জ্বলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা লাল দৈত্যে পরিণত হয়। যদি তাদের গ্রহ থাকে, তবে সেগুলো গ্রাস করতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জেটিএফ এসএলআরএন-২০২০ নামের একটি নক্ষত্রকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এটি কেমন হতে পারে, তার একটি আভাস পেয়েছেন। নক্ষত্রটি তার একটি গ্রহকে গ্রাস করেছে।
প্রায় ৫০০ কোটি বছর পরে সূর্য লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানে পৌঁছাবে। এর আগেই বুধ ও শুক্র গ্রহকে গ্রাস করে ফেলবে সূর্য। পৃথিবীরও একইভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যখন সূর্য একটি শ্বেত বামন নক্ষত্রে পরিণত হয়ে যাবে, তখন কেবল মঙ্গল আর গ্রহাণু বেল্টের পরে যা কিছু আছে, তা টিকে থাকবে।
সূত্র: এনডিটিভি, স্কাইঅ্যাটনাইটম্যাগাজিন