সূর্যের শেষটা কেমন হবে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক তত্ত্ব চালু আছে। সৌরজগতে উষ্ণতা থেকে শুরু করে ভর আর সব গ্রহের কক্ষপথের স্থিতিশীলতা দিচ্ছে সূর্য। আমাদের পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা তৈরির জন্য সূর্যের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্য প্রায় ৫০০ কোটি বছর পর ধ্বংস হতে শুরু করবে। হাইড্রোজেন কমতে থাকায় শেষ পর্যন্ত সূর্য একটি লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানে প্রসারিত হবে। তখন সম্ভাব্যভাবে পৃথিবীসহ অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু গ্রহকে সূর্য গ্রাস করে ফেলবে। সূর্যের লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানের সময় চরম তাপের পরিস্থিতি দেখা যাবে। এই পর্যায় কোটি কোটি বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্যের হাইড্রোজেন কমার সময় পৃথিবীর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। মহাসাগর ও অন্যান্য জলাশয় বাষ্পীভূত হয়ে শূন্য হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে আমাদের গ্রহ প্রাণের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। বর্ধিত তাপের ফলে বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস মহাকাশে হারিয়ে যাবে। সূর্যের লোহিত দৈত্যাকার পর্যায়টি প্রায় ১০০ কোটি বছর স্থায়ী হবে। এরপর একক নীহারিকা তৈরি করবে সূর্য। একটি সাদা বামন বস্তু হিসেবে সূর্য অবস্থান করবে। এ ধরনের পরিবর্তনের সময় পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কঠিন হবে। বর্ধিত তাপ ও বিকিরণের কারণে বেশির ভাগ জীব বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার মানসার বলেন, সূর্যের মতো নক্ষত্র যখন মারা যায়, তখন তাদের কেন্দ্রস্থলে হাইড্রোজেন জ্বলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা লাল দৈত্যে পরিণত হয়। যদি তাদের গ্রহ থাকে, তবে সেগুলো গ্রাস করতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জেটিএফ এসএলআরএন-২০২০ নামের একটি নক্ষত্রকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এটি কেমন হতে পারে, তার একটি আভাস পেয়েছেন। নক্ষত্রটি তার একটি গ্রহকে গ্রাস করেছে।
প্রায় ৫০০ কোটি বছর পরে সূর্য লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানে পৌঁছাবে। এর আগেই বুধ ও শুক্র গ্রহকে গ্রাস করে ফেলবে সূর্য। পৃথিবীরও একইভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যখন সূর্য একটি শ্বেত বামন নক্ষত্রে পরিণত হয়ে যাবে, তখন কেবল মঙ্গল আর গ্রহাণু বেল্টের পরে যা কিছু আছে, তা টিকে থাকবে।
সূত্র: এনডিটিভি, স্কাইঅ্যাটনাইটম্যাগাজিন
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র অবস থ ন গ র স কর র গ রহ র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় নিজ বাড়িতে গৃহবধূ ও শ্বশুর খুন, মালপত্র লুট
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় নিজ বাড়ি থেকে হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক গৃহবধূ ও তাঁর শ্বশুরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আফতাব হোসেন (৭০) ও তাঁর ছেলের বউ রিভা আকতার (২৮)। রিভার স্বামী মো. শাহজাহান সৌদি আরবে থাকেন। তাঁদের বাড়ির আসবাব তছনছ করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি চুরি বা ডাকাতির ঘটনা। স্বজনেরা বলছেন, বাড়ি থেকে কয়েক লাখ টাকার মালপত্র খোয়া গেছে। জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
নিহত আফতাব হোসেনের দুই ছেলে। এর মধ্যে বড় মো. শাহজাহান সৌদি আরবে থাকেন। তাঁর স্ত্রী রিভা আকতার ছেলে নীরব ও মেয়ে মালিহাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। আফতাব হোসেনের ছোট ছেলে ঢাকায় থাকেন।
স্বজনেরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে আফতাব হোসেন তাঁর ঘরে এবং রিভা তাঁর মেয়ে মালিহাকে (৫) নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। আজ সকালে মালিহা তার পাশে হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস অবস্থায় মাকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে সে পাশের বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। প্রতিবেশীরা এসে ঘরের বাইরে আফতাব হোসেনকেও হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্বশত্রুতা, পারিবারিক বিরোধ কিংবা চুরির উদ্দেশ্যে হামলা—সম্ভাব্য সবদিক বিবেচনা করে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।