Samakal:
2025-11-25@11:21:31 GMT

কখন বুঝবেন আপনি প্রস্তুত ?

Published: 20th, April 2025 GMT

কখন বুঝবেন আপনি প্রস্তুত ?

সব ধরনের চাকরিতেই ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। যে কোনো নিয়োগের লিখিত অংশের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ভাইভা শুরু হয়ে যায়। ফলে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয় না। এতে আত্মবিশ্বাস কম থাকে এবং জানা জিনিসও ভুল করে আসে। তাই চাকরির ভাইভা ভালো করতে হলে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষায় ভালো করার পরও ভাইভা দিতে গিয়ে আটকে যেতে হয়। ভাইভা ভালো না হওয়ার কারণে স্বপ্নের চাকরিটা হয়েও হয়ে ওঠে না। তবে ভাইভা দিতে যাওয়ার আগ থেকে কিছু প্রস্তুতির বিষয় থাকে। সেসব মেনে চললে ভাইভা অনেকটা সহজ ও সাবলীল মনে হয়। ভাইভার জন্য অবশ্যই ড্রেস কোড গুরুত্বপূর্ণ। এমন পোশাক নির্বাচন করুন, যা আপনাকে সুন্দর, মার্জিত ও পরিপাটি দেখতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে আত্মসম্মানবোধ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করবে।
চাকরির ভাইভায় যদি নিজেকে নিয়ে বলতে হয়, তাহলে পূর্বের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে কাজে দেবে। এ প্রশ্নের জন্য আপনি কত দিন ধরে পড়েছেন অর্থাৎ শেষ অর্জিত ডিগ্রি পর্যন্ত নিয়ে বলাই ভালো। 
যে কাজ বা চাকরির জন্য ভাইভা দিতে যাচ্ছেন তার আগে ওই প্রতিষ্ঠান ও কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। আর এখন তো সব প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার ওয়েবসাইট আছে, সেখান থেকেও বিস্তারিত জানা যেতে পারে। ওই ওয়েবসাইট থেকে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কেও জেনে নেওয়া যেতে পারে।  প্রতিষ্ঠানের অর্জনের কথাও জেনে নিতে হবে ওয়েবসাইট থেকে। আর যদি ওয়েবসাইটে বিস্তারিত না পাওয়া যায়, তবে শেষ ভরসা গুগল আর কোনো ডকুমেন্ট।
কেন আপনাকে বেছে নেওয়া হবে
 যদি ভাইভা বোর্ডে আপনার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন আমরা এ পদে আপনাকে বেছে নেব বা কেন আপনি এ পদের জন্য নিজেকে যোগ্য বলে মনে করেন।
এমন প্রশ্ন যে কোনো ভাইভার জন্য গুরুত্বপূর্ণ 
অংশ। এমন প্রশ্নের জবাবে প্রার্থীর উত্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনি হয়তো এরই মধ্যে অনেক চাকরির জন্য ভাইভা দিয়েছেন। তারা মূলত আপনার কাছে জানতে চাইছেন কেন আপনি অন্যদের চেয়ে এ কাজের জন্য সেরা। আপনি কাজটি এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কতটুকু জানেন, তাও আসলে জানতে চাওয়া হয় এমন প্রশ্নে।
মৌখিক পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই। তাই এ পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন করা হবে তা নির্দিষ্ট করে বলার সুযোগ নেই। দেশে ও দেশের বাইরের খোঁজখবর কতটুকু রাখেন বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো অনেক ক্ষেত্রেই  যাচাই করা হয়ে থাকে। যে পদের জন্য আবেদন করেছেন, সে পদ-সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন হতে পারে। 
অনার্সে যে বিষয় পড়েছেন সে বিষয়েও প্রশ্ন হতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। দখলে রাখতে হবে আন্তর্জাতিক বিষয়ও। নিজ জেলার আয়তন, জনসংখ্যা, শিক্ষার হার, কীসের জন্য বিখ্যাত, বিখ্যাত ব্যক্তি ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে। পরীক্ষার জন্য যথাসম্ভব মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।  তাই ভালো করার জন্য ভালো প্রস্তুতি একান্ত প্রয়োজন। শুধু কোনো পরীক্ষার ভাইভার জন্য নয়, যে কোনো ক্ষেত্রে সফল হতে হলে কথা বলার সময় যে তিনটি বিষয়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো– স্বচ্ছতা, স্পষ্টতা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। অন্যদিকে, ভাইভা দেওয়ার সময় তিনটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তা হলো–
আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। কোনোভাবেই নার্ভাস হওয়া যাবে না;
দৃষ্টিভঙ্গি বুদ্ধিবৃত্তিক এবং প্রাণবন্ত থাকতে হবে। চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কিছু বিষয়ে মনোযোগী থাকতে হয়। ভাইভা বোর্ডে কী করা যায়, আর কী করা যায় না– এ ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। কারণ, বিসিএসের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় অনেক নম্বর বরাদ্দ থাকে।
সুতরাং শুধু উত্তর জানলেই হয় না, উত্তর দেওয়ার এবং নিজেকে তুলে ধরার কৌশল জানতে হয়। ভাইভা বোর্ডে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন এবং কোন পরিস্থিতিতে কী করবেন, এখানে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো। মুক্তিযুদ্ধ বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাস  (৪৭-৭১)। সাম্প্রতিক আলোচিত ঘটনা, দেশ ও বিদেশ, এমডিজি, এসডিজি এগুলোতে বাংলাদেশের অর্জন, নিজ জেলার নামকরণ, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ,  সরকারের বিভিন্ন নীতি, স্বাস্থ্য খাতে পলিসি, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
নিজ সম্পর্কে জানা
 নিজের নামের অর্থ, নামের সঙ্গে মিল আছে এমন বিখ্যাত ব্যক্তি এবং পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আপনার পছন্দের কবি, সাহিত্যিক, সাহিত্য, গান, খেলাধুলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার পছন্দের বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে ভালো করা সম্ভব। 
নিজ জেলা ও উপজেলা
আপনার নিজ জেলা ও উপজেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আপনার নিজ জেলায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস,  মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার জেলা কত নম্বর সেক্টরে ছিল ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে। এ ছাড়া আপনার জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। আপনার জেলা ও উপজেলার বিখ্যাত নদী, বন্দর, বিখ্যাত স্থান। আপনার জেলার যদি কোনো কবি ও সাহিত্যিক থাকেন, তাদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ
আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত শিক্ষক এবং কী জন্য তা বিখ্যাত, এ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের যদি কোনো অবদান থাকে, সে সম্পর্কেও ধারণা নিতে হবে। 
দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যেহেতু আপনাকে দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে জানা আপনার জন্য একান্ত জরুরি। দেশের বাজেট, জিডিপি সম্পর্কে জানতে হবে।  এ ক্ষেত্রে আপনাকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হবে। অন্যদিকে, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে কী কী অবদান রাখছে, 
সে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ ম খ ক পর ক ষ আপন র জ ল প রস ত ত পর ক ষ র পর ক ষ য় চ কর র র সময় আপন ক ন আপন এমন প

এছাড়াও পড়ুন:

গুরুতর অভিযোগ তুলে স্বামীর বিরুদ্ধে সেলিনা জেটলির মামলা

স্বামী পিটার হাগের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে মামলা করেছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া, বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। ৪৭ বছরের সেলিনার অভিযোগ—অস্ট্রিয়ান স্বামী পিটার হাগের হাতে গুরুতর মানসিক, শারীরিক, যৌন ও মৌখিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ খবর প্রকাশ করেছে।  

এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২১ নভেম্বর মুম্বাইয়ের আদালতে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইনের ২(এ) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন সেলিনা জেটলি। 

আরো পড়ুন:

২৩ বছর লিভ-ইনের পর বিয়ে করলেন তারকা জুটি

বিয়ে স্থগিত: হবু স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন গায়ক পলাশ?

মাসিক ১০ লাখ রুপি ভরণপোষণ এবং পিটারের কাছে ৫০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন সেলিনা। এসব তথ্য উল্লেখ করে মামলার নথিতে বলা হয়েছে, সন্তানদের (বর্তমানে তারা অস্ট্রিয়ায় পিটারের হেফাজতে রয়েছে) সঙ্গে সেলিনা জেটলিকে কোনোরকম যোগাযোগ করতে দেন না পিটার হাগ। ফলে সেলিনা আদালতের কাছে এমন একটি হেফাজতের নির্দেশ চাইছেন, যাতে পিটার বাধ্য হন সন্তানদের সঙ্গে ‘নিরবচ্ছিন্ন ভার্চুয়াল ও টেলিফোনিক যোগাযোগের সুযোগ’ দিতে। 

সেলিনার পক্ষে আদালতে প্রতিনিধিত্ব করছে করঞ্জাওয়ালা অ্যান্ড কো.–এর আইনজীবী দল। আন্দেরির বিচারবিভাগীয় হাকিম এস.সি. টাডির আদালতে তোলা হয় মামলাটি। বিচারক অভিযোগটি পরীক্ষা করে পিটারের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেন। পরবর্তী শুনানির তারিখ ১২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। 

২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পিটার-সেলিনার বিয়ে নিবন্ধিত হয়। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। মামলার আবেদনে সেলিনা জেটলি বলেন, “বিয়ের পর মাঝে মাঝে কাজ করতাম। তবে সন্তান হওয়ার পর স্বামী বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে কাজ করতে নিষেধ করেন। আমার আর্থিক স্বাধীনতা ও মর্যাদা কেড়ে নেয়। পিটার পরিকল্পিতভাবে আমার পেশাগত জীবন ও আর্থিক অবস্থার ক্ষতি করেছেন।” 

মামলার আবেদনে পিটার হাগকে ‘আত্মকেন্দ্রিক, আত্মমগ্ন ব্যক্তি, যার স্ত্রী বা তিন সন্তানের প্রতি কোনো সহানুভূতি নেই’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার ‘রাগী স্বভাব’ ও ‘মদ্যপান–জনিত’ প্রবণতার কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে ওঠেছে বলেও দাবি করা হয়। আর্থিক অভিযোগে বলা হয়েছে, “পিটার হাগ ধীরে ধীরে অভিযোগকারীর (সেলিনা) ব্যক্তিত্বকে ধ্বংস করেছেন। কৌশলে তাকে প্রতারিত করে তার সম্পদ ও আর্থিক বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছেন।” 

সেলিনা-পিটার দম্পতির একটি সন্তান মারা গেছে। নবজাতক সন্তানের মৃত্যু ও মা–বাবার মৃত্যুর পরপরই গুরুতর হতাশায় ভুগতে থাকা অভিনেত্রীকে চাপ সৃষ্টি করে তার মুম্বাইয়ের বাড়িটি তার (পিটারের) নামে হস্তান্তর করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ সেলিনার। 

এক পর্যায়ে “তীব্র মানসিক, শারীরিক, মৌখিক এবং আর্থিক নির্যাতন”—এর মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সন্তানদের রেখে মধ্যরাতে অস্ট্রিয়া থেকে পালিয়ে ভারতে ফিরতে বাধ্য হন সেলিনা। 

২০১১ সালে হোটেল ব্যবসায়ী পিটার হাগকে বিয়ে করেন সেলিনা। ২০১২ সালে প্রথম জমজ সন্তানের জন্ম দেন এ অভিনেত্রী। সন্তানদের নাম রাখেন উইন্সটন এবং ভিরাজ। ২০১৭ সালে ফের জমজ সন্তান জন্ম দেন সেলিনা। সন্তানদের নাম রাখেন শমসের ও আর্থার, পরে শমসের মারা যায়। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ