সব ধরনের চাকরিতেই ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। যে কোনো নিয়োগের লিখিত অংশের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ভাইভা শুরু হয়ে যায়। ফলে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয় না। এতে আত্মবিশ্বাস কম থাকে এবং জানা জিনিসও ভুল করে আসে। তাই চাকরির ভাইভা ভালো করতে হলে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষায় ভালো করার পরও ভাইভা দিতে গিয়ে আটকে যেতে হয়। ভাইভা ভালো না হওয়ার কারণে স্বপ্নের চাকরিটা হয়েও হয়ে ওঠে না। তবে ভাইভা দিতে যাওয়ার আগ থেকে কিছু প্রস্তুতির বিষয় থাকে। সেসব মেনে চললে ভাইভা অনেকটা সহজ ও সাবলীল মনে হয়। ভাইভার জন্য অবশ্যই ড্রেস কোড গুরুত্বপূর্ণ। এমন পোশাক নির্বাচন করুন, যা আপনাকে সুন্দর, মার্জিত ও পরিপাটি দেখতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে আত্মসম্মানবোধ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করবে।
চাকরির ভাইভায় যদি নিজেকে নিয়ে বলতে হয়, তাহলে পূর্বের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে কাজে দেবে। এ প্রশ্নের জন্য আপনি কত দিন ধরে পড়েছেন অর্থাৎ শেষ অর্জিত ডিগ্রি পর্যন্ত নিয়ে বলাই ভালো।
যে কাজ বা চাকরির জন্য ভাইভা দিতে যাচ্ছেন তার আগে ওই প্রতিষ্ঠান ও কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। আর এখন তো সব প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার ওয়েবসাইট আছে, সেখান থেকেও বিস্তারিত জানা যেতে পারে। ওই ওয়েবসাইট থেকে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কেও জেনে নেওয়া যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানের অর্জনের কথাও জেনে নিতে হবে ওয়েবসাইট থেকে। আর যদি ওয়েবসাইটে বিস্তারিত না পাওয়া যায়, তবে শেষ ভরসা গুগল আর কোনো ডকুমেন্ট।
কেন আপনাকে বেছে নেওয়া হবে
যদি ভাইভা বোর্ডে আপনার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন আমরা এ পদে আপনাকে বেছে নেব বা কেন আপনি এ পদের জন্য নিজেকে যোগ্য বলে মনে করেন।
এমন প্রশ্ন যে কোনো ভাইভার জন্য গুরুত্বপূর্ণ
অংশ। এমন প্রশ্নের জবাবে প্রার্থীর উত্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনি হয়তো এরই মধ্যে অনেক চাকরির জন্য ভাইভা দিয়েছেন। তারা মূলত আপনার কাছে জানতে চাইছেন কেন আপনি অন্যদের চেয়ে এ কাজের জন্য সেরা। আপনি কাজটি এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কতটুকু জানেন, তাও আসলে জানতে চাওয়া হয় এমন প্রশ্নে।
মৌখিক পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই। তাই এ পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন করা হবে তা নির্দিষ্ট করে বলার সুযোগ নেই। দেশে ও দেশের বাইরের খোঁজখবর কতটুকু রাখেন বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো অনেক ক্ষেত্রেই যাচাই করা হয়ে থাকে। যে পদের জন্য আবেদন করেছেন, সে পদ-সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন হতে পারে।
অনার্সে যে বিষয় পড়েছেন সে বিষয়েও প্রশ্ন হতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। দখলে রাখতে হবে আন্তর্জাতিক বিষয়ও। নিজ জেলার আয়তন, জনসংখ্যা, শিক্ষার হার, কীসের জন্য বিখ্যাত, বিখ্যাত ব্যক্তি ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে। পরীক্ষার জন্য যথাসম্ভব মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই ভালো করার জন্য ভালো প্রস্তুতি একান্ত প্রয়োজন। শুধু কোনো পরীক্ষার ভাইভার জন্য নয়, যে কোনো ক্ষেত্রে সফল হতে হলে কথা বলার সময় যে তিনটি বিষয়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো– স্বচ্ছতা, স্পষ্টতা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। অন্যদিকে, ভাইভা দেওয়ার সময় তিনটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তা হলো–
আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। কোনোভাবেই নার্ভাস হওয়া যাবে না;
দৃষ্টিভঙ্গি বুদ্ধিবৃত্তিক এবং প্রাণবন্ত থাকতে হবে। চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কিছু বিষয়ে মনোযোগী থাকতে হয়। ভাইভা বোর্ডে কী করা যায়, আর কী করা যায় না– এ ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। কারণ, বিসিএসের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় অনেক নম্বর বরাদ্দ থাকে।
সুতরাং শুধু উত্তর জানলেই হয় না, উত্তর দেওয়ার এবং নিজেকে তুলে ধরার কৌশল জানতে হয়। ভাইভা বোর্ডে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন এবং কোন পরিস্থিতিতে কী করবেন, এখানে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো। মুক্তিযুদ্ধ বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাস (৪৭-৭১)। সাম্প্রতিক আলোচিত ঘটনা, দেশ ও বিদেশ, এমডিজি, এসডিজি এগুলোতে বাংলাদেশের অর্জন, নিজ জেলার নামকরণ, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের বিভিন্ন নীতি, স্বাস্থ্য খাতে পলিসি, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
নিজ সম্পর্কে জানা
নিজের নামের অর্থ, নামের সঙ্গে মিল আছে এমন বিখ্যাত ব্যক্তি এবং পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আপনার পছন্দের কবি, সাহিত্যিক, সাহিত্য, গান, খেলাধুলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার পছন্দের বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে ভালো করা সম্ভব।
নিজ জেলা ও উপজেলা
আপনার নিজ জেলা ও উপজেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আপনার নিজ জেলায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার জেলা কত নম্বর সেক্টরে ছিল ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে। এ ছাড়া আপনার জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। আপনার জেলা ও উপজেলার বিখ্যাত নদী, বন্দর, বিখ্যাত স্থান। আপনার জেলার যদি কোনো কবি ও সাহিত্যিক থাকেন, তাদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ
আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত শিক্ষক এবং কী জন্য তা বিখ্যাত, এ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের যদি কোনো অবদান থাকে, সে সম্পর্কেও ধারণা নিতে হবে।
দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যেহেতু আপনাকে দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে জানা আপনার জন্য একান্ত জরুরি। দেশের বাজেট, জিডিপি সম্পর্কে জানতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হবে। অন্যদিকে, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে কী কী অবদান রাখছে,
সে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ ম খ ক পর ক ষ আপন র জ ল প রস ত ত পর ক ষ র পর ক ষ য় চ কর র র সময় আপন ক ন আপন এমন প
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জটিলতা কাটছে, কমিটি গঠন
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশসংক্রান্ত জটিলতা অবশেষে কাটতে যাচ্ছে। খুব শিগগির নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ১১ সদস্যের ‘প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসছে এ কমিটি। কমিটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) একটি সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার তারা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ কমিটির বিষয়ে অবগত হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আজ রোববারই উদ্যোগ শুরু করেছে তারা। আগামী বুধবার কমিটির বৈঠক হতে পারে। অবশ্য কমিটির অনুমোদন হয়েছে গত মাসেই।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী দুটি কমিটি গঠন করার বিধান আছে। একটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি, যারা কার্ড ইস্যুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আরেকটি অ্যাক্রিডিটেশন আপিল কমিটি। নীতিমালায় কমিটির রূপরেখাও দেওয়া আছে।
জানা গেছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গঠিত ১১ সদস্যের এ কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা। সদস্য হিসেবে আছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. মাসুদ খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবালয় নিরাপত্তা শাখার উপসচিব, জিটিভির জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাজী জেসিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ইনডিপেনডেন্ট টিভির যুগ্ম সম্পাদক শামীম আবদুল্লাহ জাহেদী, জাগো নিউজের সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক।
নতুন কমিটি তিনটি কাজ করবে। প্রথমত, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া; দ্বিতীয়ত, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডসংক্রান্ত আপত্তি বা অভিযোগের শুনানি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং তৃতীয়ত, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের বিষয়ে সুপারিশ করা।কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন পিআইডির জ্যেষ্ঠ উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা (প্রটোকল)। এ কমিটি গঠনের ফলে আগের কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
নতুন কমিটি তিনটি কাজ করবে। প্রথমত, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া; দ্বিতীয়ত, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডসংক্রান্ত আপত্তি বা অভিযোগের শুনানি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং তৃতীয়ত, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের বিষয়ে সুপারিশ করা।
বর্তমানে পিআইডির দেওয়া প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড থাকলেও অনেক পেশাদার সাংবাদিক সেই কার্ড দেখিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে পারছেন না। একটি অস্থায়ী তালিকায় নাম থাকা সাংবাদিকেরা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। সাংবাদিকেরা বলে আসছিলেন, মাসের পর মাস ধরে এ জটিলতা চললেও এর কার্যকর সমাধান না হওয়ায় তাঁরা পেশাগত কাজে প্রতিবন্ধকতায় পড়ছেন।
সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়ে আসছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পিআইডি। তাদের তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকার আমলের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত হাজার। যদিও পরে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি গণমাধ্যমের কার্ডের কোটা কমিয়ে দিয়েছিল। পরে বৈধ কার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ৯০০।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন দফায় মোট ১৬৭ জনের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে পিআইডি। বিপুলসংখ্যক অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের পদক্ষেপ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের অন্তরায় বলে প্রতিবাদ জানায় সম্পাদক পরিষদ।
সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (নোয়াব) সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনও উদ্বেগ প্রকাশ করে। তবে সমালোচনার মুখে গত ডিসেম্বরে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পিআইডি যেসব সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তা পুনর্বিবেচনা করা হবে। কোনো পেশাদার সাংবাদিক তাঁর কার্ড বাতিলের বিষয়টি ন্যায়সংগত মনে না করলে তিনি লিখিতভাবে জানাতে পারবেন। এরপর অধিদপ্তর আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এর মধ্যে গত ডিসেম্বরে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়ে সচিবালয়ে ঢোকার অনুমতি বাতিল করা হয়। এরপর তথ্য অধিদপ্তর জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অস্থায়ী পাস দেওয়া হবে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার পর নির্ধারিত–সংখ্যক সাংবাদিকের একটি তালিকা করা হয়। তাতে ৬১৫ জন সাংবাদিকের নাম রয়েছে, যাঁরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারছেন। অন্যরা কার্ড থাকলেও প্রবেশ করতে পারছেন না। এ নিয়ে অনেক সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পরে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা, ২০২২ পুনর্মূল্যায়নে গত জানুয়ারিতে ১৭ সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশে কর্মরত দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের জন্য নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে জারি করা এই নীতিমালা অনুযায়ী, গণমাধ্যমের সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, উপসম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক, প্রতিবেদক, আলোকচিত্রী ও ভিডিওগ্রাফারের মোট সংখ্যার আনুপাতিক হারে কার্ড দেওয়ার কথা আছে। তবে কার্ডের সংখ্যা মোট সংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি নয় এবং একক কোনো প্রতিষ্ঠান ১৫টির বেশি কার্ড পাবে না।
বর্তমানে স্থায়ী ও অস্থায়ী—এ দুই ধরনের কার্ড দেওয়া হয়। স্থায়ী কার্ডের মেয়াদ তিন বছর এবং অস্থায়ী কার্ডের মেয়াদ এক বছর। নতুন নীতিমালায় সবাই একই ধরনের কার্ড পাবেন। মেয়াদ হবে তিন বছর।
অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক বা কলামিস্টরা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাবেন। এ ক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমে কমপক্ষে ২০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা ও মূলধারার গণমাধ্যমে বছরে অন্তত ১০টি প্রতিবেদন প্রচার বা প্রকাশের প্রমাণ দাখিল করতে হবে। তবে সাড়ে চার মাস হতে চললেও এ নীতিমালা কার্যকর হয়নি। অবশেষে এখন এটি কার্যকর হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনপ্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জটিলতার অবসান কবে ০৯ জুলাই ২০২৫