সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.

মনির উদ্দিন। এর আগে তিনি গত ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর আবেদন করেন। যথাযথ সাড়া না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিবেদনেও প্রকাশ পেয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হচ্ছে।

রিটকারী আবেদনকারীর মতে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সহকারী ব্যতীত অন্য সকল প্রবেশকারীর জন্য আইডি কার্ড প্রদর্শন, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ এবং যাচাই করা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। আবেদনকারী আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, অতীতে দেশের বিভিন্ন আদালতের প্রাঙ্গণে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অভিনব কৌশলে নাশকতার ঝুঁকি রয়েছে। তাই, আইনজীবী ও সহকারীদের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে প্রমাণপত্র যাচাই সাপেক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

১০ হাজার মুচলেকায় অপু বিশ্বাসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানার এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। 

আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন অপু বিশ্বাস। শুনানি শেষে আদালত  ১০ হাজার মুচলেকায় তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

অপু বিশ্বাসের আইনজীবী আবুল বাশার কামরুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পান অপু বিশ্বাস। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অপু বিশ্বাস স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিন দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে উপস্থিত হন আপু বিশ্বাস। এরপর আদালতের এজলাসের পেছন সারির বেঞ্চে বসেন। শুনানিকালে এজলাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আপু বিশ্বাস। 

এর আগে, গত ১০ জুলাই অপু বিশ্বাস সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে জামিননাদা দাখিল করেন।

একই মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাত ফারিয়াকে। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুইদিনের মাথায় জামিন পান নুসরাত ফারিয়া।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এসময় এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিনশ’-চারশ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক। এই মামলায় ২০৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি অপু বিশ্বাস।

মামলায় অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় অপু বিশ্বাসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত
  • ১০ হাজার মুচলেকায় অপু বিশ্বাসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত
  • সোহাগ হত্যার তদন্তে জুডিশিয়াল কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট
  • লাল চাঁদ হত্যার ঘটনা তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট
  • তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড
  • নোবেলজয়ী নার্গিসকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে: নোবেল কমিটি
  • নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদিকে ইরানের প্রাণনাশের হুমকি: নোবেল কমিটি
  • মানবতাবিরোধী অপরাধ: ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে কোনো মামলায় প্রথম ‘রাজসাক্ষী’
  • রাজসাক্ষী কে, আসামি কীভাবে রাজসাক্ষী হন, শর্ত কী
  • হবিগঞ্জ আদালত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা