সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রুল হাইকোর্টের
Published: 21st, April 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.
রিট আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিবেদনেও প্রকাশ পেয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হচ্ছে।
রিটকারী আবেদনকারীর মতে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সহকারী ব্যতীত অন্য সকল প্রবেশকারীর জন্য আইডি কার্ড প্রদর্শন, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ এবং যাচাই করা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। আবেদনকারী আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, অতীতে দেশের বিভিন্ন আদালতের প্রাঙ্গণে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অভিনব কৌশলে নাশকতার ঝুঁকি রয়েছে। তাই, আইনজীবী ও সহকারীদের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে প্রমাণপত্র যাচাই সাপেক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নয়
সুপ্রিম কোর্টে জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলার কার্যক্রম লাইভ (সরাসরি) সম্প্রচারের ব্যবস্থা প্রবর্তনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মামলার কার্যক্রম লাইভ স্ট্রিমিং ব্যবস্থা প্রবর্তনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইনসচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, রিট আবেদনে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো যেন সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়—তা চাওয়া হয়। ২১টি দেশে এই ব্যবস্থা চালু আছে। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়েছেন। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৬ জুন দিন রেখেছেন আদালত।
চলতি বছরের শুরুতে পাঁচ আইনজীবী ও আইনের ছয় শিক্ষার্থী ওই রিট করেন। তাঁরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন, মিজানুন হক, আব্দুল্লাহ সাদিক, আমিনুল ইসলাম শাকিল, জজকোর্টের আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র শাহনেওয়াজ সাকিব, মাহমুদুল হাসান, হাবিবুর রহমান আল হাসান, রাফিউর রাব্বি, শামিম শাহিদি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র সাব্বির হাসান।