ভালভোলিনের ‘অযান্ত্রিক’ অ্যাপস উদ্বোধন
Published: 3rd, May 2025 GMT
সৌদি অ্যারামকোর আমেরিকান লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ভালভোলিনের মেকানিক মিট ও মেকানিক বেনেফিট অ্যাপস 'অযান্ত্রিক'- এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে অ্যাপসটির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল বাংলাদেশে ভালভোলিনের লুব্রিকেন্টের পরিবেশক জাপান সোলারটেক বাংলাদেশ লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ভালভোলিনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর টিভি অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ, জাপান সোলারটেক বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব বিজনেস জনাব আবু আহমেদসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ যিনি কাবিলা নামে অধিক পরিচিত। তিনি উক্ত অনুষ্ঠানে সকল মেকানিক ও ব্যবসায়ীদেরকে শুভেচ্ছা জানান ও ভালভোলিনের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
জাপান সোলারটেক বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব বিজনেস জনাব আবু আহমেদ বলেন, ভালভোলিন বিশ্বের সেরা লুব্রিকেন্ট ব্যান্ড।
ভালভোলিনের হেড অব রিটেইল সেলস নাজমুল হাসান বলেন, জাপান সোলারটেক বিশ্বমানের আমেরিকান লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ভালভোলিন লুব্রিকেন্ট যা ১৫৮ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৩২ কোটি টাকা মুনাফা কমেছে সামিট পাওয়ারের
মুনাফা কমেছে সামিট পাওয়ারের। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি–মার্চ) সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির মুনাফা কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি টাকায়। তাতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়ায় ৩৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ৭৪ কোটি টাকা। গত বছরের জানুয়ারি–মার্চে সামিট পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৬৯ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা ৩২ কোটি টাকা বা প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে গেছে।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের আর্থিক হিসাবও প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। তাতে নয় মাসে (জুলাই–মার্চ) কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৪৬ কোটি টাকা। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা মুনাফা দাঁড়ায় ১ টাকা ৪৬ পয়সায়। আগের অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ২৫৬ কোটি টাকা। ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। সেই হিসাবে নয় মাসের তুলনায় এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা কমেছে ১০০ কোটি টাকা বা ৩৯ শতাংশ।
সম্প্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের (ডিএসই) প্রকাশের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়।
শেয়ারপ্রতি আয় বা মুনাফা কমার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, কোম্পানিটির একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তি আর নবায়ন হয়নি। আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আংশিকভাবে উৎপাদন করেছে। ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টার থেকে বলা হয়েছে, চাহিদা কম। সে কারণে ওই কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যেতে পারেনি। এ ছাড়া আরও তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নবায়ন হওয়ার পর নতুন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেটা হলো, বিদ্যুৎ নেই, বিলও নেই। ক্যাপাসিটি রাজস্ব আয়ও হয়নি। এ ছাড়া প্রাথমিক চুক্তি শেষ হওয়ার পর আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের কর বেড়েছে। এসব কারণে কোম্পানিটির আয় কমে গেছে। আয় কমে যাওয়ায় মুনাফাও কমেছে।
এদিকে গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ৭ টাকা ২৩ পয়সা, যা আগের বছর ৭ টাকা ৫ পয়সা ছিল। গত ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪২ টাকা ৫৫ পয়সা।
২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সামিট পাওয়ার। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।