২ / ৯জমিতে চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষক

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে চার গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনা রোগী। একজনের মৃত্যুতে বাসিন্দারা আতঙ্কিত। স্বাস্থ্য প্রশাসনের ঘুম হারাম। তবে ভাইরাসটি অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ। তারা সংক্রমণের অজুহাতে বাড়িয়ে দিয়েছে সুরক্ষা সামগ্রীর দাম।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নগরীতে মাস্কের দাম হয়েছে চার গুণ। এতদিন যেসব মাস্ক মানভেদে ৫০ টাকা প্যাকেট (৫০ পিস) বিক্রি হয়েছে, তা ২০০ টাকার নিচে মিলছে না। বাড়তি দাম দিয়েও অনেক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে হেক্সিসল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে মাস্কসহ সুরক্ষা সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা। কিন্তু কিছু কোম্পানি বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ করছে না। এ কারণে দাম বেড়ে গেছে।

নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার, ওষুধের সবচেয়ে বড় মোকাম হাজারী গলি, গোলাম রসুল মার্কেট ও তামাকুমন্ডি লেনে আগে যেসব মাস্ক পাইকারি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হতো, গতকাল বুধবার তা নিচ্ছে ২০০ টাকার ওপরে। ৮০ থেকে ১০০ টাকার প্যাকেট হাঁকছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। পাইকারির প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে। মানভেদে প্রতি পিস ২ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হওয়া সার্জিক্যাল মাস্ক এখন নিচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা। দাম বেড়ে গেছে কাপড়ের তৈরি ও কেএন-৯৫ মাস্কেরও। আগে শিশুদের যেসব মাস্ক ৩০ থেকে ৫০ টাকা ছিল, এখন তা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা নিচ্ছে।

২৫০ এমএল হেক্সিসল বোতলের চাহিদা বেশি থাকলেও কোম্পানিগুলো তা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। হাজারী গলির ইজি ওয়ানের মালিক সৈকত চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক দিন বাজারে মাস্কসহ করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা বেড়ে গেছে। বাজারে ২৫০ এমএল হেক্সিসল বোতলের চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ কম।’

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বাজার তদারকিতে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট দল কাজ শুরু করেছে। চসিকের ম্যাজিস্ট্রেটরাও প্রয়োজনে অভিযান পরিচালনা করবেন। একটি মাস্কের দাম খুচরা পর্যায়ে তিন টাকার বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে আমরা মাস্ক পরার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। সাধারণ মানুষ মাস্ক কিনতে পারে, সেটি প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।’

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, ‘কেউ যাতে সুরক্ষা সামগ্রীর দাম নিয়ে নয়ছয় করতে না পারে, সে জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রশাসন। জড়িতদের জরিমানার পাশাপাশি দেওয়া হবে কারাদণ্ড।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ