ঈদের পরের মাসে প্রবাসী আয় কমেছে, এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার
Published: 4th, May 2025 GMT
পবিত্র রমজান ও ঈদের পর দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আসা কমেছে। এরপরও সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের এপ্রিলে আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে প্রবাসী আয়ের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে আয় এসেছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল সময়ে আয় এসেছিল ১ হাজার ৯১১ কোটি ডলার।
রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত মার্চ মাসে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মার্চ মাসে প্রবাসীরা ৩২৯ কোটি ডলার পাঠান, যা একক মাস হিসেবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। গত বছরের মার্চে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার। আগের বছরের মার্চের তুলনায় এবার একই মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয় ৬৪ শতাংশ। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ডলার।
ফলে মার্চ মাসে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ব্যাংকাররা বলছেন, মূলত অর্থ পাচার কমে আসায় প্রবাসীরা এখন তাঁদের আয় পাঠাতে বৈধ পথকেই বেছে নিচ্ছেন।
প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোয় ডলারের যে সংকট চলছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে বলে জানান কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, ডলারের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা ছিল, তা-ও কিছুটা কমে এসেছে। ব্যাংকগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২৩ টাকার মধ্যেই প্রবাসী আয় কিনছে। এদিকে খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৪ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে।
দেশে গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর টানা ৭ মাস ধরে প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা পাঠান ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। এর আগে জানুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় ৩ শতাংশ বেশি আসে।
প্রবাসী আয় হলো দেশে মার্কিন ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না বা কোনো দায় পরিশোধ করার দরকার পড়ে না। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। আবার বিদেশি ঋণ পরিশোধেও ডলারের প্রয়োজন হয়। সার্বিকভাবে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের রিজার্ভ বা মজুত দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র একই সময় র গত বছর র প রব স র এস ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদন অপেক্ষায় ১৮ ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার পর্ষদ সভা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮টি ব্যাংক ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাব এখনো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পায়নি। ফলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ লভ্যাংশ সভার তারিখ ঘোষণা করেও তা স্থগিত করেছে।
রবিবার (৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকগুলো হলো- এবি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, রূপালি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সাউথবাংলা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ও এবি ব্যাংক।
তথ্য মতে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রুলস অনুযায়ী, অর্থবছর শেষে হওয়ার পরবর্তী ৪ মাসের মধ্যে লভ্যাংশ সভা করতে হয়। সেই হিসাবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর অর্থবছর শেষে ব্যাংকগুলোর জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লভ্যাংশ সভা করার জন্য সময় ছিল।
তবে ব্যাংকগুলোর প্রধান নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো ১৮টি ব্যাংকের ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাব অনুমোদন দেয়নি। যে কারণে ব্যাংকগুলো ৩০ এপ্রিলের মধ্যে লভ্যাংশ সভা করার জন্য তারিখ ঘোষণা সত্ত্বেও তার স্থগিত করেছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা