লিটন কুমার দাস ওয়েস্ট ইন্ডিজে বার্তাটা দিয়ে রেখেছিলেন, “বিসিবি চাইলে আমি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব করতে প্রস্তুত আছি।”

গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে লিটন অধিনায়কত্ব নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন। এমন মঞ্চে লিটন নিজের মনের কথা বলেছিলেন, বিসিবি তা ভাবতে বাধ্য হয়েছে। ভাবতে বাধ্য হয়েছেন নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। যার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে লিটন দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

নতুন বছরের শুরুতে নাজমুল ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট্ট ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান। ফলে লিটন ও অধিনায়কত্বের দায়িত্বের মাঝে আর কোনো ‘বাঁধা’ ছিল না। পাঁচ মাস পর লিটনকেই পাকাপাকি দায়িত্ব দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আরো পড়ুন:

শুরুর আগেই শেষ লিটনের পিএসএল যাত্রা

ওয়াসিম-ইমরান পারলে তাসকিন কেন পারবে না, সুজনের প্রশ্ন

বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম রোববার জানিয়েছেন, আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন। যার শুরুটা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফর দিয়ে। যেখানে সাত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। লিটনের ডেপুটি হিসেবে আছেন শেখ মাহেদী। তাকেও লম্বা সময়ের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে আপাতত দুটি সফরের জন্যই তাকে সহ অধিনায়ক করা হয়েছে।

নাজমুল অবেদীন বলেছেন, “শেখ মাহেদী কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে অনেকটা অটোমেটিক চয়েজ। ওর যে অভিজ্ঞতা আছে, ট্যাকনিক্যাল জ্ঞান আছে, সেটা আমরা প্রায়ই দেখতে পাই। সেটা আমাদের চোখে পড়েছে। সেটা নিয়ে নির্বাচক, কোচসহ সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে যদি তাকে এই সুযোগটা দেই, তাহলে দেখতে পারব, কীভাবে সে এটি প্রয়োগ করে। আমরা কিন্তু শুধু এই সফরের জন্য এটি (সহ-অধিনায়ক) ঘোষণা করেছি। আমাদের ইচ্ছা আছে, এভাবে বিভিন্ন জনকে দেখার চেষ্টা করব। পাশাপাশি একজন অধিনায়কের নেতৃত্বে আরেকজনকে গড়ে তোলার চেষ্টা থাকবে। আমরা হয়তো ২-৩ জনকে দেখব। এর মধ্যে কেউ না কেউ হয়তো খুব ভালো হিসেবে বেরিয়ে আসবে। হয়তো পরবর্তীতে তাকেই আমরা দায়িত্ব দেব।”

লিটনকে অধিনায়ক করা হলেও এই ফরম্যাটে তার পারফরম্যান্স আহামরি ভালো নয়। সবশেষ সিরিজে তিন ইনিংসে তার রান ছিল ১৭। সবশেষ ২৪ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে তার ফিফটি স্রেফ একটি। পারফরম্যান্স না থাকলেও তার অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করছেন নির্বাচকরা। এছাড়া বিসিবির বিশ্বাস, লিটন দারুণভাবেই ফিরে আসবে।

নাজমুল যোগ করেন, ‘‘অভিজ্ঞতা আমাদের এখানে খুব বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে খুব বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আমাদের নেই। পাশাপাশি ওর (লিটন) বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আমাদের যেটা মনে হয়েছে, ওর মধ্যে যে সম্ভাবনাটা আছে, ও যদি নিজের খেলাটা গুছিয়ে নিতে পারে, তাহলে দলের জন্য অনেক বড় সম্পদ হতে পারে। ওর অধিনায়কত্ব নিয়ে সবারই ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আছে। যারা টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড, তারাও তার অধিনায়কত্বের গুণের কথা বলে। পাশাপাশি আমরা জানি, তার পারফরম্যান্সটা খুব জরুরি। ব্যাটিংয়ে বিশেষ করে। এটা যদি আমরা গুছিয়ে নিতে পারি, তাহলে আমাদের এই দলটায় খুব ভালো একটা দায়িত্ব পালন করতে পারবে। দলের শক্তির একটা বড় জায়গা হয়ে দাঁড়াতে পারে লিটন।”

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল টন দ স প রফরম য ন স র জন য আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যর্থতার বৃত্তে নারী ফুটবল দল, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন

মাস দুয়েক আগেও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ লাফ দিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কিন্তু সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে টানা ব্যর্থতার কারণে সেই অর্জন ফিকে হয়ে গেল। টানা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হারের ধাক্কায় ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ নিচে নেমে গেল আফঈদা-ঋতুপর্ণাদের দল।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপসেরা হয়ে মূল পর্বে ওঠার পর আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ১০৪তম স্থানে উঠে এসেছিল, যা ছিল দলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অবস্থান। সেই সময় তাদের র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট ছিল ১১৮০।

আরো পড়ুন:

আসিফের মন্তব্যে বাফুফের কাছে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ

ফ্লাইট মিস করার পর ঢাকায় পা রাখলেন হামজা

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের সাফল্যের পর বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে দেখা দিয়েছে ধারাবাহিক অবনতি। সাম্প্রতিক সময়ে খেলা চারটি ম্যাচের ফলই ছিল নেতিবাচক, যা র‌্যাঙ্কিংয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

অক্টোবর (ব্যাংকক): থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে যথাক্রমে ৩-০ এবং ৫-১ গোলে পরাজিত হয়।

নভেম্বর-ডিসেম্বর (ঢাকা): ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত তিন জাতি সিরিজে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে এবং আজারবাইজানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়।

টানা চারটি পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশ এখন ১০৪ নম্বর থেকে নেমে এসেছে ১১২ নম্বরে। তাদের বর্তমান র‌্যাঙ্কিং পয়েন্টও ১১৮০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১৬৮।

যে দলগুলোর কাছে বাংলাদেশ হেরেছে, তাদের র‌্যাঙ্কিং প্রায় অপরিবর্তিত বা উন্নতি হয়েছে। থাইল্যান্ড (৫৩) এবং আজারবাইজান (৭৪) তাদের পূর্বের অবস্থানেই আছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া মালয়েশিয়া এক ধাপ উন্নতি করে এখন ৯১ নম্বরে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ নারী দলের এই র‌্যাঙ্কিং পতন স্পষ্টতই সাম্প্রতিক দুর্বল পারফরম্যান্সের ফল। কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের এখন এই পিছিয়ে পড়া কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধুরন্ধর ঝড়: ৭ দিনে আয় ৪১৩ কোটি টাকা
  • ব্যর্থতার বৃত্তে নারী ফুটবল দল, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন
  • আইফোন ১৭ বাজারে এলেও কেন বিশ্বে বিক্রির শীর্ষে আইফোন ১৬