২৪ ইনিংসে মাত্র ১ ফিফটি, তবুও বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন অধিনায়ক?
Published: 4th, May 2025 GMT
লিটন কুমার দাস ওয়েস্ট ইন্ডিজে বার্তাটা দিয়ে রেখেছিলেন, “বিসিবি চাইলে আমি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব করতে প্রস্তুত আছি।”
গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে লিটন অধিনায়কত্ব নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন। এমন মঞ্চে লিটন নিজের মনের কথা বলেছিলেন, বিসিবি তা ভাবতে বাধ্য হয়েছে। ভাবতে বাধ্য হয়েছেন নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। যার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে লিটন দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
নতুন বছরের শুরুতে নাজমুল ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট্ট ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান। ফলে লিটন ও অধিনায়কত্বের দায়িত্বের মাঝে আর কোনো ‘বাঁধা’ ছিল না। পাঁচ মাস পর লিটনকেই পাকাপাকি দায়িত্ব দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আরো পড়ুন:
শুরুর আগেই শেষ লিটনের পিএসএল যাত্রা
ওয়াসিম-ইমরান পারলে তাসকিন কেন পারবে না, সুজনের প্রশ্ন
বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম রোববার জানিয়েছেন, আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন। যার শুরুটা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফর দিয়ে। যেখানে সাত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। লিটনের ডেপুটি হিসেবে আছেন শেখ মাহেদী। তাকেও লম্বা সময়ের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে আপাতত দুটি সফরের জন্যই তাকে সহ অধিনায়ক করা হয়েছে।
নাজমুল অবেদীন বলেছেন, “শেখ মাহেদী কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে অনেকটা অটোমেটিক চয়েজ। ওর যে অভিজ্ঞতা আছে, ট্যাকনিক্যাল জ্ঞান আছে, সেটা আমরা প্রায়ই দেখতে পাই। সেটা আমাদের চোখে পড়েছে। সেটা নিয়ে নির্বাচক, কোচসহ সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে যদি তাকে এই সুযোগটা দেই, তাহলে দেখতে পারব, কীভাবে সে এটি প্রয়োগ করে। আমরা কিন্তু শুধু এই সফরের জন্য এটি (সহ-অধিনায়ক) ঘোষণা করেছি। আমাদের ইচ্ছা আছে, এভাবে বিভিন্ন জনকে দেখার চেষ্টা করব। পাশাপাশি একজন অধিনায়কের নেতৃত্বে আরেকজনকে গড়ে তোলার চেষ্টা থাকবে। আমরা হয়তো ২-৩ জনকে দেখব। এর মধ্যে কেউ না কেউ হয়তো খুব ভালো হিসেবে বেরিয়ে আসবে। হয়তো পরবর্তীতে তাকেই আমরা দায়িত্ব দেব।”
লিটনকে অধিনায়ক করা হলেও এই ফরম্যাটে তার পারফরম্যান্স আহামরি ভালো নয়। সবশেষ সিরিজে তিন ইনিংসে তার রান ছিল ১৭। সবশেষ ২৪ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে তার ফিফটি স্রেফ একটি। পারফরম্যান্স না থাকলেও তার অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করছেন নির্বাচকরা। এছাড়া বিসিবির বিশ্বাস, লিটন দারুণভাবেই ফিরে আসবে।
নাজমুল যোগ করেন, ‘‘অভিজ্ঞতা আমাদের এখানে খুব বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে খুব বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আমাদের নেই। পাশাপাশি ওর (লিটন) বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আমাদের যেটা মনে হয়েছে, ওর মধ্যে যে সম্ভাবনাটা আছে, ও যদি নিজের খেলাটা গুছিয়ে নিতে পারে, তাহলে দলের জন্য অনেক বড় সম্পদ হতে পারে। ওর অধিনায়কত্ব নিয়ে সবারই ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আছে। যারা টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড, তারাও তার অধিনায়কত্বের গুণের কথা বলে। পাশাপাশি আমরা জানি, তার পারফরম্যান্সটা খুব জরুরি। ব্যাটিংয়ে বিশেষ করে। এটা যদি আমরা গুছিয়ে নিতে পারি, তাহলে আমাদের এই দলটায় খুব ভালো একটা দায়িত্ব পালন করতে পারবে। দলের শক্তির একটা বড় জায়গা হয়ে দাঁড়াতে পারে লিটন।”
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল টন দ স প রফরম য ন স র জন য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইপিএলে অবনমনের শঙ্কায় থাকা স্পার্স ইউরোপার ফাইনালের পথে
এই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) টেবিলের ১৬তম স্থানে অবস্থান করছে টটেনহ্যাম হটস্পার। বিগত ৪৮ বছরের মধ্যে অর্থৎ ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমের পর এরচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল না নর্থ লন্ডনের দলটির। এই মৌসুমে ইপিএলের শেষ তিনটা দল যদি খুব বাজে পারফরম্যান্স না করত, তাহলে স্পার্স হয়ত অবনমিত হয়ে যেত। অথচ এই দলটাই ইউরোপায়ের ক্লাব লড়াইয়ের মঞ্চে চমক দেখিয়েই যাচ্ছে।
ইউরোপা লিগের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে নরওয়েজিয়ান ক্লাব গ্লিমটকে বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাতে ৩-১ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম। যা এই মৌসুমে নর্থ লন্ডনের ক্লাবটির অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। খুব বড় অঘটন না ঘটলে স্পার্স ফাইনাল খেলবে, যা ২০০৮ সালের পর তাদের প্রথম শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
আরো পড়ুন:
‘ফুটবল ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে নেই’- স্পার্স কোচ
গোলখরা কাটাতে মনোবিদের শরণাপন্ন রিচার্লিসন
ইউরোপে যাই ঘটুক টটেনহ্যামের অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলু হয়ত চাকরি হারাবেন। তবে একটি শিরোপা জয় দিয়ে মৌসুম শেষ করা হবে দারুণ সম্মানের। অন্যদিকে ১৭ বছর শিরোপা ক্ষরায় থাকা স্পার্স সবশেষ ইংলিশ লিগ কাপ জিতেছিল। এরপর মরিসিও পোচেত্তিনো, জোসে মরিনহো কিংবা আন্তোনিও কন্তের মতো ইউরোপের বিখ্যাত ম্যানেজাররাও তাদের শিরোপা এনে দিতে পারেননি। ইউরোপা লিগ জিততে পারলে লন্ডনের ক্লাবটি আগামী মৌসুমে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারবে।
ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে স্বপ্নের মতো শুরু করে ইংলিশ ক্লাবটি। পেড্রো পোরোর ক্রস থেকে ব্রেনান জনসন মৌসুমের ১৭তম গোলটি করেন। এরপর জেমস ম্যাডিসন ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে পোরোর আরেকটি পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনজন ডিফেন্ডারের মাঝে দিয়ে সেটি জালে জড়িয়ে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও একটি গোল আসতে পারত যদি না রদ্রিগো বেনটাকুরের ভলি গ্লিমট গোলকিপার হাইকিন ঠেকিয়ে না দিতেন। তৃতীয় গোল আসে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির হস্তক্ষেপে। রোমেরোকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। স্ট্রাইকার ডমেনিক সোলাঙ্কি স্পট কিক থেকে ব্যবধান ৩-০ করতে ভুল করেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে গ্লিমট ৭০ শতাংশ বলের দখল রেখেও কোনো বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। শুধুমাত্র উলরিক সাল্টনেসের একটি শট বেনটানকুরের গায়ে লেগে স্পার্সের জালে ঢুকে যায়।
স্পার্সের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ এখন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের দুই স্কোরার ম্যাডিসন ও সোলাঙ্কির চোটে পড়ে মাঠ ছাড়াটা। অন্যদিকে দ্বিতীয় লেগটা হতে যাচ্ছে খুবই কঠিন। গ্লিমট যে এই মৌসুমে ঘরের মাঠে পোর্তো, বেসিকতাস, অলিম্পিয়াকোস ও লাৎসিওর মতো দলকে হারিয়েছে। অন্যদিকে ২০২২-২৩ মৌসুম থেকে ইউরোপা লিগে তাদের ঘরের মাঠে জয় ৭০ শতাংশ আর অ্যাওয়ে ম্যাচে তা মাত্র ৯ শতাংশ।
আগামী বৃহস্পতিবার আর্কটিক সার্কেলে অ্যাস্পমিরা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগে অনুষ্ঠিত হবে। স্পার্স বড় কোন কোনো বিপর্যয় না পড়লে, ১৯৮৪ সালের পর আবারও এই আসরের ফাইনাল খেলবে। তেমনটা হলে ফুটবল বিশ্ব বিলবাওয়ে দেখতে যাচ্ছে একটি অলইংলিশ ফাইনাল হতে পারে। আরেক সেমিফাইনালে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাথলেতিক বিলবাওকে।
স্পার্স আগে ১৯৭২, ১৯৭৪ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলেছে। প্রথম ও শেষবার শিরোপা জিতেছিল।
ঢাকা/নাভিদ