ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শাহপুর-ঘিঘাটি এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের শাহপুর-ঘিঘাটি এলাকায় দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন জেলার মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ (সোমবার) সকালে মহেশপুর শহর থেকে মোটরসাইকেলে কালীগঞ্জ শহরের দিকে আসছিলেন। শাহপুর-ঘিঘাটি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী মেহেদি হাসান রানা বলেন, “আমার সামনে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিহত ওই ব্যক্তি কালীগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ কোটচাঁদপুরগামী একটি ফাঁকা ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকটি খুবই দ্রুত গতিতে আসছিল। এ সময় ওই ব্যক্তি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এদিকে ট্রাকটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।”

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার ওপরে, খোলা হলো বাঁধের ১৬টি গেট

রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট (জলকপাট) গতকাল সোমবার রাত ১২টা ২ মিনিটে খুলে দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এসব গেট খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৬টি গেটে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হচ্ছে।

কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, হ্রদে পানির চাপ বাড়ায় আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় কাপ্তাই বাঁধের সব কটি গেট খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে দ্রুত পানি বেড়ে যাওয়ায় রাতেই গেট খুলে দেওয়া হয়।

পানি ছাড়ার আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি ছিল ১০৮ দশমিক ৫ ফুট। ১০৮ ফুট উচ্চতা কাপ্তাই হ্রদের পানির বিপৎসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট পর্যন্ত।

এদিকে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল থাকায় এর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ