ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পরিসর আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা। দেশটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিকল্পনার মধ্যে গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখল ও নিয়ন্ত্রণে আনার মতো বিষয় উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার (৫ মে) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “হামাসকে ধ্বংস করতে এবং অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ‘জোরালো অভিযান’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। গাজার প্রায় ২১ লাখ জনসংখ্যাকে তাদের সুরক্ষার জন্য উপত্যকার দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া হবে।” 

আরো পড়ুন:

গাজায় অভিযান জোরদারে রিজার্ভ সৈন্যদের ডাকছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৫২ হাজার ছাড়াল

নেতানিয়াহু আরো বলেন, “সেনারা এখন পর্যন্ত গাজার যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেখান থেকে তারা আর সরবে না। এর বদলে সেনারা স্থায়ীভাবে সেখানে থাকবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে।”

এর আগে, গত রবিবার ইসরায়েলি নৌঘাঁটি পরিদর্শনের সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামির বলেন, গাজায় ইসরায়েলের অভিযান আরো জোরদার ও সম্প্রসারণের জন্য কয়েক হাজার সংরক্ষিত সেনা তলব করা হয়েছে। 

সোমবার জেরুজালেমে এক সম্মেলনে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, “ইসরায়েল চূড়ান্তভাবে গাজা উপত্যকা দখল করতে যাচ্ছে।”

আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে’র মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল সফরের কথা রয়েছে। এর আগে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত ১৯ জানুয়ারি উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ১৮ মার্চ ওই যুদ্ধবিরতি ভেঙে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন ইসরায়েলি হামলায় আরো ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫২ হাজারে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে তেহরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, হাইফায় বড় বিস্ফোরণ

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর হাইফায় বড় বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছে স্থানীয়রা।

দিনের বেলা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কবার্তার পর রাতে হাইফায় বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেল। এতে কমপক্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হাইফায় একটি ভবন আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্য ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের বিস্ফোরণের স্থান থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসছে।

ইসরায়েলের চিকিৎসা পরিষেবা সূত্র বলছে, দুইজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক বালক আছে, যার অবস্থা গুরুতর। আর ৫৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে গুলি লেগেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দাদের মূল্যায়নের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেন, তেহরান ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে’ একটি কার্যকর অস্ত্র তৈরি করতে পারে।

ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ