গাজা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার
Published: 6th, May 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পরিসর আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা। দেশটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিকল্পনার মধ্যে গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখল ও নিয়ন্ত্রণে আনার মতো বিষয় উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার (৫ মে) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “হামাসকে ধ্বংস করতে এবং অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ‘জোরালো অভিযান’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। গাজার প্রায় ২১ লাখ জনসংখ্যাকে তাদের সুরক্ষার জন্য উপত্যকার দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
গাজায় অভিযান জোরদারে রিজার্ভ সৈন্যদের ডাকছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৫২ হাজার ছাড়াল
নেতানিয়াহু আরো বলেন, “সেনারা এখন পর্যন্ত গাজার যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেখান থেকে তারা আর সরবে না। এর বদলে সেনারা স্থায়ীভাবে সেখানে থাকবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে।”
এর আগে, গত রবিবার ইসরায়েলি নৌঘাঁটি পরিদর্শনের সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামির বলেন, গাজায় ইসরায়েলের অভিযান আরো জোরদার ও সম্প্রসারণের জন্য কয়েক হাজার সংরক্ষিত সেনা তলব করা হয়েছে।
সোমবার জেরুজালেমে এক সম্মেলনে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, “ইসরায়েল চূড়ান্তভাবে গাজা উপত্যকা দখল করতে যাচ্ছে।”
আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে’র মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল সফরের কথা রয়েছে। এর আগে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত ১৯ জানুয়ারি উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ১৮ মার্চ ওই যুদ্ধবিরতি ভেঙে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন ইসরায়েলি হামলায় আরো ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫২ হাজারে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্টারকে হারাতে বার্সেলোনাকে যা করতে হবে
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের লড়াই মাঠে ফিরছে আজ। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে সান সিরোতে বার্সেলোনাকে আতিথেয়তা দেবে ইন্টার মিলান। আগের লেগে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৩-৩ গোলে ড্র করে স্প্যানিশ ও ইতালিয়ান জায়ান্টরা। আজ রাতের খেলাটা দু’দলেরই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পুনরুত্থানের লড়াই। সবশেষ ২০১৪-১৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা ঘরে তোলে বার্সা। এরপর কেটে গেছে ১০ বছর। ইন্টার মিলানের অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘ। তারা শেষবার ইউরোপ সেরার তকমা পায় ২০০৯-১০ মৌসুমে। তাই আজ দু’দলই যে মাঠে নিজেদেরকে নিংড়ে দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সান সিরোতে আজকের ম্যাচই নির্ধারণ করবে কারা উঠবে ফাইনালে।
বার্সার জন্য ম্যাচটির গুরুত্ব যেমন আকাশচুম্বী, তেমনি কঠিনও। কারণ, আজকের ম্যাচে ইনজুরির কারণে দলে থাকছেন না গুরুত্বপূর্ণ দুই ডিফেন্ডার আলেহান্দ্রো বালদে ও জুল কুন্দে। তবে স্বস্তির খবর হলো, আক্রমণভাগে ফিরছেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভান্ডোভস্কি।
ইন্টার মিলানকে হারাতে হলে আজকের ম্যাচে কিছু নির্দিষ্ট কৌশল দারুণভাবে কাজে লাগাতে হবে বার্সেলোনাকে। প্রথমটি হচ্ছে, সেট-পিসে আরও শক্ত হতে হবে। প্রথম লেগে ইন্টারের তিন গোলের মধ্যে দুইটি এসেছিল সেট-পিস থেকে। শারীরিকভাবে শক্তিশালী ও উচ্চতায় এগিয়ে থাকা ইন্টারের খেলোয়াড়দের সামলানো ছিল বার্সার রক্ষণভাগের জন্য কঠিন কাজ, যা আজও হতে পারে।
বার্সাকে আজ সেট-পিস ডিফেন্ডিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। রোনাল্ড আরাউহোর মতো শক্তিশালী ডিফেন্ডারকে কাজে লাগানো, কিংবা ছোটখাটো গড়নের খেলোয়াড়দের দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক মুভমেন্ট তৈরি করা— এই কৌশলগুলো বিবেচনায় আনতে পারেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।
চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে সুযোগ তৈরি করতে খুব একটা সমস্যা ভোগ করেনি। তবে সুযোগ যেটাই আসবে সেটাই কাজে লাগাতে হবে। প্রথম লেগেও ইন্টারের শক্তিশালী রক্ষণভাগ ভেদ করে বেশ কিছু ভালো সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। আজকের ম্যাচে রাফিনহা, লামিন ইয়ামাল, ফেরান তোরেস এবং দানি ওলমোদের এগিয়ে আসতে হবে। সুযোগ পেলেই নিখুঁতভাবে তা গোলে রূপান্তরিত করতে হবে। তাহলেই ইন্টারের জালে গোলের বৃষ্টি ঘটানো সম্ভব।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কাতালানদের নিজেদের বিশ্বাস করা। চলতি মৌসুমে বার্সা বারবার দেখিয়েছে, তারা নিজেদের ওপর আস্থা রাখে। প্রথম লেগেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ ড্র করেছে তারা। আজও সেই মানসিকতা বজায় রাখতে হবে। বার্সা যদি মনে করে, তারাই সেরা এবং মাঠে তা ফুটিয়ে তোলে, তাহলে ইন্টার মিলানকেও রুখে দেওয়া কঠিন হবে না।
মোট কথা, সান সিরোতে আজ রাতের ৯০ মিনিট নির্ধারণ করবে, বার্সা কি পারবে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ফাইনাল অবধি যেতে, নাকি থেমে যাবে সেমিফাইনালেই।