১৯৭১ সালের পর ভারতজুড়ে বেসামরিক ‘মক ড্রিল’
Published: 6th, May 2025 GMT
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতজুড়ে বেসামরিক ‘মক ড্রিল’ শুরু হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ মে ভারতের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া হবে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মোট ২৩টি জেলার ৩১ মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতজুড়ে ‘মক ড্রিল শুরু হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের যুদ্ধ প্রস্তুতি সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। আচমকা বিমান হামলায় কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন বা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কীভাবে সামলাবেন- তা বুঝানো হচ্ছে।
মহড়ায় সাইরেন বাজিয়ে সতর্কতা, ব্ল্যাক আউট পরিস্থিতিতে নাগরিকদের আচরণ, জরুরি অবস্থায় এলাকা ফাঁকা করার বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। এছাড়া বাংকার, ট্রেঞ্চ বা গর্ত পরিষ্কার ও রেডি রাখা- এসব বিষয় শেখানো হবে।
এর আগে রোববর রবিবার রাত ৯টার দিকে পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে সব আলো নিভিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট ড্রিল’ করেছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের আগে থেকেই এ নিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, তারা যেন আলোকিত বা দূর থেকে চোখে পড়ে এমন কোনও বস্তু বা আলো ব্যবহার না করেন ওই সময়ে। সাধারণত যুদ্ধের সময় বিপক্ষের নজর এড়াতে বা বিপক্ষের সেনাদের বিভ্রান্ত করতে বিস্তীর্ণ এলাকার আলো নিভিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়।
ভারতে এর আগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে গণহত্যা দিবস পালন
নাটোরের লালপুর উপজেলায় ১৯৭১ সালের ৫ মে উত্তরবঙ্গের ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) সকালে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে মিলের শহীদ সাগর চত্বরে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মিলস কর্তৃপক্ষ ও শহীদদের পরিবারের সদস্যরা।
পরে আলোচনা সভা শেষে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির, শহীদ পরিবারের সন্তান শাহীন হাসান তালুকদার, ফরহাদুজামান রুবেল, মামুনুর রশিদ, মিলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মমিন প্রমুখ। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
দুলাভাইকে হত্যা, শ্যালকের যাবজ্জীবন
মুন্সীগঞ্জে দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল অবরুদ্ধ করে তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিম, ৪২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ শতাধিক বাঙালিকে মিলের পুকুর (বর্তমান শহীদ সাগর) পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের চোখ বেঁধে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।
স্বাধীনতার পর পুকুরটির নামকরণ করা হয় শহীদ সাগর। স্মৃতিস্তম্ভের সামনে জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আর মিলের তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিমের নামে আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন নামকরণ করা হয়। লালপুরবাসীর জন্য এটি শোকাবহ দিন।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল