হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে এ+ পেতে চাও, গাণিতিক সমাধান ঠিক করো
Published: 6th, May 2025 GMT
প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, হিসাববিজ্ঞান বিষয়টি ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এটি একটি প্রায়োগিক বিষয়। মনে রেখো, এখানে গাণিতিক সমস্যা সমাধান করে দেখানোর বিষয় রয়েছে। রেওয়ামিল, দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি, জাবেদা ও খতিয়ানের অধ্যায় কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে চাইলে নিচের টিপসগুলো মনে রেখো।
নম্বর বিভাজন জেনে নাও
পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০টি প্রশ্ন থেকে ৩০টির উত্তর দিতে হবে। আর সৃজনশীল অংশে ১১টি প্রশ্ন থাকবে। ১১টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ৭টির উত্তর দিতে হবে। সৃজনশীল অংশের প্রশ্ন নির্বাচনে তোমাকে সতর্ক থাকতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে সময়ের বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখবে।
বহুনির্বাচনি অংশ
বহুনির্বাচনিতে ভালো করতে নির্ধারিত অধ্যায়গুলো খুব ভালোভাবে রিভিশন দেবে। পুরো বই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর আসবে। তাই পুরো বই ভালো করে রিভিশন দেব। চারটি বিকল্প উত্তরের মধ্যে সবচেয়ে সঠিক উত্তরটি বেছে নেবে। বহুনির্বাচনির উত্তরপত্রে টিক দেওয়ার সময় কোনো কাটাকাটি করবে না।
সৃজনশীল অংশ
সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে এমন অঙ্ক বাছাই করবে, যেন ২৫ মিনিটের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের (ক+খ+গ) উত্তর দিতে পারো। নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই পড়ে যেটি পারবে এবং নিশ্চিত থাকবে, সেটির সঙ্গে সঙ্গে সঠিক উত্তর দিতে চেষ্টা করবে। অন্যথায় সম্পূর্ণ প্রশ্নপত্র একনাগাড়ে পড়তে শুরু করলে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দেবে, তা নির্বাচন করতে অধিক সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ঠিক করে লিখবে। চারটি ধাপ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর লেখা শেষ করবে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে বৃত্তিও চালু করতে যাচ্ছি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা০৩ মে ২০২৫সময়কে কাজে লাগাও
যেকোনো পরীক্ষায় ভালো করার পূর্বশর্ত হচ্ছে, সে বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া। হিসাববিজ্ঞানের জন্যও সেটা প্রযোজ্য। সব অধ্যায়ের অঙ্কগুলো আবার রিভিশন দেওয়ার উপযুক্ত সময় এটাই। এসএসসি পরীক্ষার আগের এ সময়টা কাজে লাগাও বেশি বেশি অনুশীলনের মাধ্যমে। এতে অঙ্কগুলোর উত্তর নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
ছক কেটে অঙ্ক করবে—
হিসাববিজ্ঞানে যতটুকু সময় দিয়েছ, তার পুরোটাই কাজে লাগাবে পরীক্ষার হলে আর পরীক্ষার খাতায়। অঙ্কগুলো ভালোমতো ছক কেটে খাতায় করবে। নিয়মিত ছক কেটে অঙ্ক অনুশীলন করেছ, তাই পরীক্ষার হলে ছকের পেছনে নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখতে পারবে। এতে পরীক্ষায় ছক কেটে অঙ্ক করতে গিয়ে সময় নিয়ে হিমশিম খেতে হবে না। পরীক্ষার আগে পর্যাপ্ত অনুশীলন করেছ তাই অন্যদের তুলনায় এগিয়ে যেতে পারবে। মনে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস রাখবে।
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার দুই মাস বাকি, পরীক্ষার্থীদের করণীয় ১০ পরামর্শ০১ মে ২০২৫গাণিতিক সমাধান
প্রশ্নের গাণিতিক উত্তরগুলো বুঝে সমাধান করবে। গাণিতিক সমাধানের বিষয়টি করার সময় অবশ্যই হিসাব ঠান্ডা মাথায় করবে।
এখানে কাটাকাটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তা বিশেষভাবে মনে রাখবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর ভুল সমাধানের সুযোগ নেই। উত্তর ভুল হলে নম্বর কাটা যাবে।
জেনে রাখো দরকারি তথ্য
১.
২. ঋণ গ্রহণ করার ফলে বৃদ্ধি পাবে সম্পদ ও দায়।
৩. জাবেদাকে বলা হয় প্রাথমিক বই।
৪. আধুনিক হিসাববিজ্ঞানের মূলভিত্তি হলো দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি।
৫.খতিয়ানকে বলা হয় হিসাবের পাকা বই।
৬.জের টানার অপর নাম ব্যালেন্সিং।
৭. খতিয়ানকে বলা হয় সব বইয়ের রাজা ও প্রধান বই।
৮. জাবেদা ও খতিয়ানের ভুলত্রুটি উদ্ঘাটন ও সংশোধন করে রেওয়ামিল।
লেখা: মুহাম্মদ আলী, সিনিয়র শিক্ষক, মনিপুর হাইস্কুল ও কলেজ, ঢাকা
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র স জনশ ল ছক ক ট খত য় ন
এছাড়াও পড়ুন:
গাইড বই ও মুঠোফোনে চ্যাটজিপিটি দিয়ে পরীক্ষা, গফরগাঁওয়ে ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত
সকাল ১০টা বাজতেই শুরু হয়ে যায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ২০ মিনিট পর কেন্দ্রে প্রবেশ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় পরীক্ষার্থীদের কেউ গাইড বই খুলে, কেউ মুঠোফোনে চ্যাটিজিপিটি ব্যবহার করে খাতায় উত্তর লিখছিল। পরে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে আট পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গফরগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমির সালমান উপজেলার মহিলা কলেজকেন্দ্র অভিযানে গিয়ে এ পদক্ষেপ নেন।
আমির সালমান প্রথম আলোকে বলেন, গফরগাঁও মহিলা কলেজকেন্দ্রে এসএসসি ভোকেশনালের ট্রেড দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি কেন্দ্রে ঢুকে দেখেন, গাইড বই নিয়ে পরীক্ষার খাতায় লিখছে শিক্ষার্থীরা। ওই অবস্থায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে তিনটি কক্ষ থেকে আট পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তারা সবাই ছেলে শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ছয়জনের হাতে গাইড বই ও দুজনের কাছে মুঠোফোন পাওয়া যায়। তিনি বলেন, শিক্ষকেরা থাকার পরেও কীভাবে পরীক্ষার্থীরা গাইড বই বা মুঠোফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারে। এ ঘটনায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও তাঁদের ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ আল মামুন জেএম কামিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে মুঠোফোন রাখার দায়ে দুজন কক্ষ পরিদর্শককে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। এ ছাড়া ইসলামিয়া সরকারি স্কুলকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা মুজিবুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের মুঠোফোন রাখা ও বোর্ডের নীতিমালা ভঙ্গ করে নিজের মেয়ে পরীক্ষার্থী হওয়ার পরেও পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করায় পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও এনএম আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন না করার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা চাই। নকলের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’