ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়ায় ফতুল্লা আন্তজার্তিক স্টেডিয়ামের সামনে অভিশপ্ত ট্রাকস্ট্যান্ড নির্মাণ পরিকল্পনায় নাভিঃশ্বাস হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি এবং একের পর এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ জানিয়েও কোন প্রতিকার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করছে।

এতোকিছুর পরও ট্রাকস্ট্যান্ড নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকায় জনমনে নানা প্রশ্নের সঞ্চার করছে। মূলতঃ নারায়ণগঞ্জের তথাকথিত গডফাদার শামীম ওসমানের অন্যতম ক্যাডার শাহ নিজামের সহযোগী জনৈক সেলিম ও তার কতিপয় দালাল ওসমান পরিবারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়েই এহেন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,একনেকে ট্রাকস্ট্যান্ড নির্মাণের বিষয়ে লিংক রোডের চাষাড়া থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত যে কোন সুবিধাজনক জায়গায় করার কথা বলা হয়েছে। লামপাড়া স্টেডিয়ামের সামনেই করতে হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নেই।

ইচ্ছে করলে নওম পার্ক (নাসিম ওসমান পার্ক) জায়গাটিতেও করতে পারে ৫ আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর হতে ওই জায়গাটি সরকারের খাস জমি হিসেবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে অথচ রহস্যজনক কারণে সেলিম গং নিজ স্বার্থ হাসিল করতে ফতুল্লা আন্তজার্তিক স্টেডিয়ামের ওই স্থানটিকেই বেছে নিয়েছে।

এলাকাবাসীর মতে, সেলিম গং স্ট্যান্ড নির্মাণের নামে আওয়ামী দোসর শামীম ওসমান ও শাহ নিজামের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন। তারা আরো জানান.

এই অঞ্চলে আমাদের শত শত পরিবারের বসবাস। এখানে আমাদের রুটি রোজগারের সংস্থান রয়েছে।

তার উপরে এলাকায় একটি আন্তজার্তিক স্টেডিয়াম রয়েছে সব মিলিয়ে আমাদের এলাকাটিকে জ্যামের নগরী করার পরিকল্পনা করছে তারা। তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসা উচিত। এই স্থানেই ট্রাকস্ট্যান্ড করতে হবে এমনতো কোন কথা নেই। সামনে প্রচুর সরকারি জায়গা রয়েছে।

নওম পাকর্ (নাসিম ওসমান পার্ক),জালকুড়ি ময়লার ভাগারসহ পরিকত্যক্ত অনেক জায়গা রয়েছে সেখানে না করে একরকম গোঁড়ামী করে সেলিম গং ট্রাকস্ট্যান্ডটি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তারা হয়তো বা বড় ধরণের কোন চুক্তি নিয়েই এই কাজটি করছি। এলাকাবাসীর জোরালো দাবি,সড়ক ও জনপথ বিভাগ জন সাধারণের জান মালের বিষয়টি বিবেচনা করে স্ট্যান্ডটি যেন অন্যত্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

অন্যথায় জীবন দেয়া হবে তবু লামাপাড়াবাসী তাদের স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য বিনষ্ট হতে দিবে না। একই সাথে অত্র অঞ্চলের পরিবেশ সমুন্নত রাখতে তারা যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় দৃঢ়ভাবে প্রস্তুত রয়েছে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স ম ওসম ন

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই প্রহরীর মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল মিলে তিতাস গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে লাগা আগুনে দগ্ধ চার প্রহরীর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ও আজ সোমবার সকালে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আবদুল হান্নান (৫০) এবং রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার কবির হোসেন (৪৫)। তাঁরা রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল মিলসের প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুর্ঘটনায় আবদুল হান্নানের শরীরের ৪০ শতাংশ ও কবির হোসেনের শরীরের ৫৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দগ্ধ চারজনকে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই দিনই ছেড়ে দেওয়া হয়। আর গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে আবদুল হান্নানকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। রাত তিনটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আইসিইউতে থাকা অবস্থায় আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কবির হোসেনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় দগ্ধ সাইফুল ইসলাম (৩২) এখনো চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরের ৩৪ শতাংশ দগ্ধ হলেও এখন অবস্থা উন্নতির দিকে।

বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার আশরাফিয়া টেক্সটাইল মিলসে (মঞ্জু টেক্সটাইল) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ১ মে শ্রমিক দিবসে রূপগঞ্জের কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে তিতাস গ্যাসের সরবরাহ লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে টেক্সটাইল মিলটির গ্যাসের মিটার বিস্ফোরিত হয়। এতে দগ্ধ হন প্রতিষ্ঠানটির চার নিরাপত্তাপ্রহরী।

ওই দুর্ঘটনায় আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী। তিনি বলেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিক মিলনের মায়ের মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশনের শোক
  • খালেদা জিয়াকে মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির অভ্যর্থনা 
  • সজল-সাহেদের নেতৃত্বে খালেদা জিয়াকে মহানগর যুবদলের অভ্যর্থনা 
  • সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে খালেদা জিয়াকে মহানগর বিএনপির অভ্যর্থনা
  • নারায়ণগঞ্জে হকার জুবায়ের হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন
  • রুপগঞ্জে ডাইং কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু 
  • রুপগঞ্জে ডাইং কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণে দ্বগ্ধ ২ জনের মৃত্যু 
  • রুপগঞ্জে ডাইং কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণে দ্বন্ধ ২ জনের মৃত্যু 
  • রূপগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই প্রহরীর মৃত্যু