সময়োপযোগী গ্রাহক চাহিদা পূরণে সব ধরনের প্রযুক্তি ব্র্যান্ড স্মার্টফোনে নিত্যনতুন ফিচার ও আধুনিকতা যুক্ত করছে। দীর্ঘস্থায়িত্ব আর টেকসই নিশ্চয়তা দিতে যুক্ত করা হচ্ছে এসব প্রযুক্তি। ফ্যাশন ও দৃষ্টিনন্দন অবয়বে গুরুত্ব পাচ্ছে ফোনের রং ও অন্যসব বাহ্যিক ডিজাইন। নির্মাতারা বলছে, এসব শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশে নতুন স্মার্টফোন মডেল সি৭৫এক্স উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি। আর্মরশেল প্রটেশনযুক্ত ড্যামেজ-প্রুফ ফিচার ফোন এটি। সাশ্রয়ী বাজেটের মডেল দিয়ে করা যাবে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি।
আইপি রেটিং
মডেলটি পানি, ধুলা ও হুট করে পড়ে গেলে সুরক্ষা পায়। আইপি৬৯, আইপি৬৮, আইপি৬৬ রেটিং ও মিলিটারি গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স সার্টিফাইড মডেল এটি। মূলত আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচে আর আইপি৬৯ হাই- প্রেশার, হাই- টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ডিভাইসের সুরক্ষা দেয়।
সার্টিফিকেশন তত্ত্ব বলছে, মডেলটি ০.

৫ মিটার পানির নিচে ১০ দিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষত থাকে। তা ছাড়া ২.৫ মিটারে ১২ ঘণ্টা, ২ মিটারে ১ ঘণ্টা আর ১.৫ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ডুবে থাকাসহ উচ্চচাপের পানি স্প্রে, ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গরম পানির স্প্রেতে সক্রিয় থাকে। দুর্ঘটনায় পানিতে পড়ে যাওয়া, বৃষ্টিতে ভেজা বা অ্যাডভেঞ্চারের মতো পরিস্থিতিতে ডিভাইস সচল থাকে।
ক্যামেয়ার ফ্লিকার লেন্স
মডেলে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ও পেছনের প্যানেলে ফ্লিকার লেন্স। একে অক্সিলারি লেন্স বলে। ফ্লিকার বা অক্সিলারি লেন্সের প্রধান কাজ হলো আলোর ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্ত করা, যা ছবি তোলার সময় গ্লেয়ার কমাতে সহায়তা করে। অন্যদিকে পেছনের প্যানেলে সৌন্দর্য বাড়াতে রাখা হয়েছে বাম্প। পুরোপুরি বন্ধ রাখা বাম্পটি সেন্সর এরিয়া হিসেবেও কাজ করে। বাম্পে দুবার টাচ করলে কিউআর কোড স্ক্যান করা যাবে। রয়েছে
৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
ব্যাটারি ৫৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার, সঙ্গে রয়েছে ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা। ৫ মিনিটের চার্জে কথা বলা যায় তিন ঘণ্টা। পূর্ণ চাজে সাত ঘণ্টা টানা গেমিং, ১৩.২ ঘণ্টা ধারাবাহিক ইউটিউব ভিডিও প্লে আর স্ট্যান্ডবাই থাকবে ২৪ ঘণ্টা। ডিভাইস ফিচারে গুগল জেমিনি চ্যাটবট, যা গ্রাহকের প্রশ্নোত্তর, দ্রুত কিছুর অনুসন্ধান আর সব অ্যাপের মধ্যে নির্বিঘ্ন এআই স্মার্ট লুপ, এআই ইমেজ এডিটিং, অর্থাৎ ব্লারি বা ঘোলা ছবিকে স্পষ্ট করা সুবিধা দেবে। র‌্যাম ৬ জিবি আর স্টোরেজ ১২৮ জিবি।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

একে একে সবাই উঠে দাঁড়ালেন, করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন: আয়রনম‍্যান আরাফাত

সেই অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক আমি। বাসার কাছেই ছিল একটি ওষুধের দোকান। সেখানে পত্রিকা রাখা হতো। স্কুলে যাওয়া–আসার পথে সেই দোকানে বসে পত্রিকা পড়তাম।

কলেজে ওঠার পর প্রথম আলোতে একদিন বাংলা চ‍্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর পড়ি। পড়ে রোমাঞ্চিত হই। চিন্তা করি, কীভাবে সম্ভব সাগরে সাঁতার কাটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও সেটি মাথায় ছিল। ২০১৩ সালে সাঁতারু লিপটন সরকার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। বাংলা চ‍্যানেল সাঁতরে পার হওয়ার ইচ্ছার কথা তাঁকে জানালাম। তিনি উৎসাহ দিলেন। শুরু হলো অনুশীলন। ২০১৫ সালে সাঁতরে পাড়ি দিলাম ওই চ্যানেল। সেই খবর ছাপল প্রথম আলো। কাছের-দূরের, কম পরিচিত-বেশি পরিচিত—সবাই খবরটা জেনে শুভেচ্ছা জানালেন। অনেক উৎসাহ পেলাম।

আমার রোমাঞ্চকর যাত্রা অব্যাহত থাকল। ২০১৭ সালে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার মিশনে নামলাম। উদ্দেশ্য ছিল ‘দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থতা’র বার্তা ছড়ানো। ২০ দিনের সেই যাত্রার গল্প ছাপা হলো ‘ছুটির দিনে’তে। শিরোনাম আজও মনে আছে, ‘দৌড়ে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া’। খবরটি দেখে সেই দিন এতটা নার্ভাস লাগছিল যে সারা দিন আর কোনো কাজ করতে পারিনি।

‘চ্যালেঞ্জ রথ’ ট্রায়াথলনে বাংলাদেশের মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ