Samakal:
2025-11-08@11:09:42 GMT

ঠাকুরবাড়ির কয়েক পদ

Published: 6th, May 2025 GMT

ঠাকুরবাড়ির কয়েক পদ

২৫ বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। রবীন্দ্রনাথসহ ঠাকুরবাড়ির সবাই ছিলেন ভোজনরসিক। দেশি-বিদেশি সব ধরনের খাবারের প্রচলন ছিল কবিগুরুর বাড়িতে। ঠাকুরবাড়িতে গরমের দিনে রান্না হতো এমন কিছু খাবারের রেসিপি দিয়েছেন আলিফ’স ডেলিকেট ডিসেজের শেফ আলিফ রিফাত 

আম-মুরগির কষা 
উপকরণ: মুরগি ১টি, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ বাটা ১/২ চা চামচ, মরিচ বাটা ১ চা চামচ, আম কুচি বা থেঁতো করা ১/৩ কাপ, ছোলার ছাতু ১/৪ কাপ, গলানো ঘি ১/৩ কাপ, সরিষা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: মুরগি ছোট ছোট টুকরা করে তাতে বাটা মসলা, লবণ ও আম দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। এরপর গলানো ঘি ও ছাতু দিয়ে মেখে নিতে হবে। ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। ১ চা চামচ ঘি গরম করে সরিষার ফোড়ন দিয়ে মাংস ঢেলে দিতে হবে। ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর নেড়ে দিতে হবে মাংস। মাংস থেকে যে পানি বের হবে সেই পানিতেই পুরো রান্না হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঘি ভেসে উঠলে নামিয়ে গরম গরম ভাত দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

দই-আলুর দম 
উপকরণ: আলু সেদ্ধ ১/২ কেজি, টক দই ১৫০ গ্রাম, মিষ্টি দই ১৫০ গ্রাম, শুকনো মরিচ ৩-৪টি, জিরা দেড় চা চামচ, শুকনো মরিচ বাটা ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, চিনি দেড় চা চামচ, হিং ১ চা চামচ, তেল বা ঘি ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: টক দই, মিষ্টি দই ও মরিচ বাটা একসঙ্গে মাখিয়ে রাখতে হবে। হিং ২-৩ টেবিল চামচ পানি দিয়ে গুলিয়ে রাখতে হবে। জিরা ও মরিচ একত্রে টেলে গুঁড়া করে নিতে হবে। কড়াইয়ে ঘি দিয়ে আলু লাল করে ভেজে নিতে হবে। এবার ওই ঘিতে হিং দিতে হবে। সুগন্ধ বের হলে দই ও কাঁচামরিচ ঢেলে দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। এবার আলু দিয়ে আবার কষিয়ে নিয়ে ১ কাপ গরম পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে কমে এলে ভাজা গুঁড়া মসলা দিয়ে চিনি-লবণের পরিমাণ ঠিক আছে কিনা দেখে নামিয়ে ফেলতে হবে। লুচি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

উচ্ছে মুগডাল 
উপকরণ: মুগডাল সেদ্ধ ১ কাপ, উচ্ছে গোল করে কাটা ২টি, আলু গোল করে কাটা ২টি, রাঁধুনি ১/২ চা চামচ, শুকনো মরিচ ৩-৪টি, রসুন আস্ত ৭-৮ কোয়া, হলুদ বাটা ১/২ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ১টি, লবণ চিনি স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: ডাল ভেজে পরিমাণ মতো পানি ও তেজপাতা 
দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে রাঁধুনি আর শুকনো মরিচের ফোঁড়ন দিতে হবে। সুগন্ধ বের হলে আলু, রসুন ও লবণ দিয়ে ভাজতে হবে। আলু সেদ্ধ হলে কেটে রাখা উচ্ছে ও হলুদ বাটা দিয়ে ভাজতে হবে। আলু-উচ্ছে সেদ্ধ হয়ে গেলে ডাল ঢেলে ভালো মতো ফুটিয়ে নিতে হবে। চিনি-লবণের ব্যালান্স ঠিক করে নামিয়ে ফেলতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিকেলের নাস্তায় থাকুক ‘মিষ্টি কুমড়ার স্যুপ’

বিকেল হলেই ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। শীত-আসি আসি করছে। এমন দিনে বিকেলের নাস্তায় রাখতে পারেন মিষ্টি কুমড়ার স্যুপ। ‘ক্যাজুয়ালি পেকিশ‘ অবলম্বনে জানিয়ে দিচ্ছি রেসিপি। 

উপকরণ
কুমড়া: ৫০০ গ্রাম (খোসা ও বীজ ছাড়ানো), মিষ্টি আলু: ৫০০ গ্রাম (খোসা ছাড়ানো), পেঁয়াজ: কুচি করা ১টি, রসুন: কুচি করা ৩ কোয়া, মুরগি বা সবজির স্টক: ১ লিটার, ঘন ক্রিম: আধা কাপ, জলপাই তেল: ২ চা-চামচ, লবণ: পরিমাণমতো, সাদা গোলমরিচ: পরিমাণমতো, মরিচের গুঁড়া: সিকি চা-চামচ এবং দারুচিনির গুঁড়া: সিকি চা-চামচ। 

আরো পড়ুন:

পাঁচটি উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যায় ‘দোসা’

জ্বরের রোগীর জন্য ভালো ‘আনারসের ফ্রাইড রাইস’

প্রথম ধাপ

শুরুতে ওভেন ২২০ সেন্টিগ্রেড বা ৪৩০ ফারেনহাইট তাপমাত্রায় প্রিহিট করে নিন। কুমড়া ও মিষ্টি আলু টুকরা করে কেটে করুন। এবার বেকিং ট্রেতে পার্চমেন্ট পেপার বিছিয়ে কাটা টুকরাগুলোর সঙ্গে ১ চা-চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। এক স্তরে ছড়িয়ে দিন। ওভেনে ৩০ মিনিট বেক করুন। হালকা বাদামি রং না হলে আরও কিছুক্ষণ বেক করুন।

দ্বিতীয় ধাপ

ওভেনের টাইমার শেষ হওয়ার প্রায় ৫ মিনিট আগে, একটি ভারী তলার হাঁড়িতে বাকি জলপাই তেলে পেঁয়াজ ও রসুন কম আঁচে নরম করে নিতে হবে। তারপর বেক করা কুমড়া ও মিষ্টি আলু হাঁড়িতে দিয়ে দিতে হবে। এর সঙ্গে একে একে স্টক, লবণ, মরিচের গুঁড়া ও গোলমরিচের গুঁড়া যোগ করুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। চুলা বন্ধ করে হাঁড়ির সবকিছু ব্লেন্ডারে ২ থেকে ৩ মিনিট ব্লেন্ড করুন, যতক্ষণ না স্যুপটি ঘন ও মসৃণ হয়।

সব শেষে ঘন ক্রিম মিশিয়ে দিন। প্রয়োজন হলে আরেকটু লবণ ও গোলমরিচ দিন।

সূত্র: ক্যাজুয়ালি পেকিশ

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিকেলের নাস্তায় থাকুক ‘মিষ্টি কুমড়ার স্যুপ’