Samakal:
2025-09-23@23:20:26 GMT

ঠাকুরবাড়ির কয়েক পদ

Published: 6th, May 2025 GMT

ঠাকুরবাড়ির কয়েক পদ

২৫ বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। রবীন্দ্রনাথসহ ঠাকুরবাড়ির সবাই ছিলেন ভোজনরসিক। দেশি-বিদেশি সব ধরনের খাবারের প্রচলন ছিল কবিগুরুর বাড়িতে। ঠাকুরবাড়িতে গরমের দিনে রান্না হতো এমন কিছু খাবারের রেসিপি দিয়েছেন আলিফ’স ডেলিকেট ডিসেজের শেফ আলিফ রিফাত 

আম-মুরগির কষা 
উপকরণ: মুরগি ১টি, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ বাটা ১/২ চা চামচ, মরিচ বাটা ১ চা চামচ, আম কুচি বা থেঁতো করা ১/৩ কাপ, ছোলার ছাতু ১/৪ কাপ, গলানো ঘি ১/৩ কাপ, সরিষা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: মুরগি ছোট ছোট টুকরা করে তাতে বাটা মসলা, লবণ ও আম দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। এরপর গলানো ঘি ও ছাতু দিয়ে মেখে নিতে হবে। ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। ১ চা চামচ ঘি গরম করে সরিষার ফোড়ন দিয়ে মাংস ঢেলে দিতে হবে। ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর নেড়ে দিতে হবে মাংস। মাংস থেকে যে পানি বের হবে সেই পানিতেই পুরো রান্না হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঘি ভেসে উঠলে নামিয়ে গরম গরম ভাত দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

দই-আলুর দম 
উপকরণ: আলু সেদ্ধ ১/২ কেজি, টক দই ১৫০ গ্রাম, মিষ্টি দই ১৫০ গ্রাম, শুকনো মরিচ ৩-৪টি, জিরা দেড় চা চামচ, শুকনো মরিচ বাটা ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, চিনি দেড় চা চামচ, হিং ১ চা চামচ, তেল বা ঘি ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: টক দই, মিষ্টি দই ও মরিচ বাটা একসঙ্গে মাখিয়ে রাখতে হবে। হিং ২-৩ টেবিল চামচ পানি দিয়ে গুলিয়ে রাখতে হবে। জিরা ও মরিচ একত্রে টেলে গুঁড়া করে নিতে হবে। কড়াইয়ে ঘি দিয়ে আলু লাল করে ভেজে নিতে হবে। এবার ওই ঘিতে হিং দিতে হবে। সুগন্ধ বের হলে দই ও কাঁচামরিচ ঢেলে দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। এবার আলু দিয়ে আবার কষিয়ে নিয়ে ১ কাপ গরম পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে কমে এলে ভাজা গুঁড়া মসলা দিয়ে চিনি-লবণের পরিমাণ ঠিক আছে কিনা দেখে নামিয়ে ফেলতে হবে। লুচি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

উচ্ছে মুগডাল 
উপকরণ: মুগডাল সেদ্ধ ১ কাপ, উচ্ছে গোল করে কাটা ২টি, আলু গোল করে কাটা ২টি, রাঁধুনি ১/২ চা চামচ, শুকনো মরিচ ৩-৪টি, রসুন আস্ত ৭-৮ কোয়া, হলুদ বাটা ১/২ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ১টি, লবণ চিনি স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: ডাল ভেজে পরিমাণ মতো পানি ও তেজপাতা 
দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে রাঁধুনি আর শুকনো মরিচের ফোঁড়ন দিতে হবে। সুগন্ধ বের হলে আলু, রসুন ও লবণ দিয়ে ভাজতে হবে। আলু সেদ্ধ হলে কেটে রাখা উচ্ছে ও হলুদ বাটা দিয়ে ভাজতে হবে। আলু-উচ্ছে সেদ্ধ হয়ে গেলে ডাল ঢেলে ভালো মতো ফুটিয়ে নিতে হবে। চিনি-লবণের ব্যালান্স ঠিক করে নামিয়ে ফেলতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বদ নজরের দোয়া: ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা

‘বদ নজর’ ইসলামে একটি বাস্তব সত্য, যা মানুষের ঈর্ষা, হিংসা বা অতিরিক্ত প্রশংসার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি করতে পারে। কোরআন ও হাদিসে বদ নজরের বাস্তবতা এবং এর থেকে সুরক্ষা লাভের উপায় উল্লেখ করা হয়েছে।

তাই মুসলমানদের জন্য বদ নজর থেকে রক্ষার দোয়া ও আমল জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বদ নজরের বাস্তবতা

আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আর নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করেছে, তারা যখন কোরআন শোনে তখন প্রায় তাদের দৃষ্টির দ্বারা তোমাকে পতিত করবে। আর তারা বলে: ‘সে তো অবশ্যই পাগল।’” (সুরা কলাম, আয়াত: ৫১)

রাসুল (সা.) বলেছেন: “চোখ লাগা (বদ নজর) সত্য।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৮৮)

আরও পড়ুনশিশুদের বদ নজর থেকে বাঁচাতে১৫ আগস্ট ২০২৫বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া

রাসুল (সা.) বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি প্রসিদ্ধ দোয়া হলো:

১. বদ নজর থেকে শিশুদের রক্ষার দোয়া

রাসুল (সা.) হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর জন্য এই দোয়া পড়তেন:

উচ্চারণ: উ‘ঈযুকুমা বি কালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন, ওয়া হাম্মাতিন, ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনিল লাম্মাহ।

অর্থ: “আমি তোমাদের উভয়কে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমার মাধ্যমে আশ্রয় দিচ্ছি, প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং ক্ষতিকর বদ নজর থেকে।” (সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস: ২০৬০)

২. বদ নজর থেকে রক্ষার সাধারণ দোয়া

উচ্চারণ: আ‘ঊযু বি কালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন শার্রি মা খালাক।

অর্থ: “আমি আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমার মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির অশুভ দিক থেকে আশ্রয় চাই।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৭০৮)

৩. বদ নজর দূর করার আমল

রাসুল (সা.) বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের মধ্যে এমন কিছু দেখে যা তাকে ভালো লাগে, তখন সে যেন তার জন্য বরকতের দোয়া করে। কারণ বদ নজর সত্য।” (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৫০৯)

এক্ষেত্রে দোয়া করা যায়—

উচ্চারণ: বারাকাল্লাহু ফীক।

অর্থ: “আল্লাহ তোমার জন্য বরকত দান করুন।”

আরও পড়ুনদোয়া কবুলের জায়গা০৪ জুন ২০২৪বদ নজর প্রতিরোধে করণীয়

১. সকালে-সন্ধ্যায় জিকির–আজকার পাঠ করা (যেমন আয়াতুল কুরসি, সুরা ফালাক, সুরা নাস)।

২. অন্যের প্রশংসায় বরকতের দোয়া করা।

৩. আল্লাহর উপর ভরসা রাখা এবং তাওয়াক্কুল করা।

বদ নজর মানুষের জন্য বাস্তব ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে আল্লাহর উপর ভরসা, কোরআনের আয়াতসমূহ পাঠ এবং রাসুল (সা.)-এর শিখানো দোয়া পাঠের মাধ্যমে মুসলমান সহজেই এর ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারে।

তাই প্রতিদিনের জীবনে বদ নজর প্রতিরোধের দোয়াগুলো নিয়মিত পড়া প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব।

আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ