ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন
Published: 7th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য নির্মিত ৪ শয্যাবিশিষ্ট নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) চালু হয়েছে। বুধবার (৭ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এর উদ্বোধন করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই আইসিইউ ইউনিট একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি নারায়ণগঞ্জ জেলার স্বাস্থ্যখাতে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের যেসব মায়েরা সরকারি হাসপাতালে আসেন, তাদের অনেকের পক্ষেই প্রাইভেট হাসপাতালের খরচ বহন করা সম্ভব হয় না। আমরা তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এই স্পেশাল কেয়ার ইউনিট চালু করেছি।
তিনি আরও জানান, এখানে একটি আইসিইউ চালুর জন্য আলোচনা চলছে। আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব শিগগিরই দশ বেডের আইসিইউ চালু করার চেষ্টা করবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা.
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইন, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জহিরুল ইসলামসহ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
রুপগঞ্জে ডাইং কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণে দ্বন্ধ ২ জনের মৃত্যু
রূপগঞ্জে মঞ্জু ডাইং এন্ড টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ দুই নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকালে রাজধানীর জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে এ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
নিহতরা হলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের প্রয়াত মো. শফিকের ছেলে মো. আব্দুল হান্নান (৫০) এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার প্রয়াত মো. রফিকের ছেলে কবির হোসেন (৪৫)। তারা দু’জনই রূপসী কাজীপাড়া এলাকার মঞ্জু ডাইং এন্ড টেক্সটাইল মিলের নিরাপত্তা কর্মী।
গত ১ মে সকালে এ কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ থাকা অবস্থায় গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে মিটার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।
ডা. শাওন বলেন, “শরীরের ৫৩ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন কবির। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মারা যান তিনি। এর আগে রাত দুইটা চল্লিশে আইসিইউতে মারা যান হান্নান। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।”
অগ্নিকাণ্ডে কারখানাটির চারজন নিরাপত্তা কর্মী দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম (৩২) নামে একজন এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শরীরের ৩৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আগুনের ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, পহেলা মে শ্রমিক দিবসে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় উচ্চ চাপে গ্যাসের মিটার ব্লাস্ট হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে যায়। এতে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হন।
বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজনের সহায়তায় স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন বলেও জানান তিনি।
তবে এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী। সোমবার দুপুরে বলেন, ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা ফলোআপ রাখছি। তবে কোনো পক্ষ চাইলে এই ঘটনায় মামলা করতে পারেন।